হ্যালো বন্ধুরা তেতুল এর সমন্ধে বলতে গেলে।মেয়েদের এক অন্যতম মুখরোচক খাবার। তবে শুধু মেয়েদের বললে এখন ভুল বলেও হবে। কেননা এখনকার ছেলেরাও কিছু কম যায় না। মানে টক খেতে একদম ওস্তাদ। তেতুল এর ব্যাপারে বলতে গেলে আমাদের কথাই আছে যা আমাদের জানা দরকার। তাহলে আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলে যাবো এক এক করে তেতুলের ব্যাপারে জানতে।
তেঁতুলের উপকারী দিক
তেতুল খেলে ক্ষতি হয়-এমন একটা ধারনা চালু আছে বহু দিন ধরে। মুরবিবদের কেউ কেউ বলেন, রক্ত জল হয়ে যায়। তবে এর আদ্যোপান্ত ঘাটতে গিয়ে সে রকম কিছু পাওয়া যায়নি। বরং জানা যায়, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে খুব উপকারী তেতুল। হৃদরোগীদের জন্য বিশেষ উপকারী।
1. এতে রয়েছে প্রচুর ভেষজ ও পুষ্টিগুন।
2.তেতুল দেহে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে রাখতে সাহায্য করে।
3.রক্তে কোলষ্টেরল কমায়।
4.তেঁতুল চর্বি কমানোয় বেশ বড় ভূমিকা রাখে।
5.এতে কোলস্টেরল ও ট্রাইগ্রাইসেরাইডের মাত্রা এবং রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে।
6.শরীরের মেদ কমাতেও কাজ করে তেতুল।
7.এতে টারটারিক এ্যাসিড থাকায় খাবার হজমে সহায়তা করে।
8.শরবত করেও খাওয়া যেতে পারে তেতুল।
9.পেটের বায়ূ, হাত-পা জ্বালায় এ শরবত কার্যকর পথ্য।
10.তিন-চার দানা পুরনো তেতুলের এক কাপ রসের সঙ্গে চিনি বা লবন মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন ভেষজ চিকিৎসকরা।
11.তেতুল গাছের বাকলেও উপকার আছে। শুকনো বাকলের প্রলেপ ক্ষতাস্থানে লাগালে ক্ষত সারে।
12.বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো ও রক্তের প্রকোপে তেতুল উপকারী।
13.কাচা তেতুল গরম করে আঘাত পাওয়া স্থানে প্রলেপ দিলে ব্যথা সারে।
14.পুরনা তেতুল খেলে আমাশয়, কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার পাওয়া যায়।
15.পুরনো তেতুল খেলে কাশি সারে।পাকা তেতুল খেলে কাশি সারে।
16.পাকা তেতুলের খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।তেতুলে 1
17.তেতুলে খাদ্যশক্তির পরিমান নারিকেল ও খেজুর ছাড়া সব ফলের চেয়ে বেশি।
18.আয়ূর্বেদীয়, হোমিও, এলোপ্যথিক ওষুধ, তৈরিতেও ব্যবহার করা হয় তেতুল।
19.তেতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ ওঠা সারায়।
20.মুখে ঘা বা ক্ষত হলে পাকা তেতুল জলে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায়।
21.ক্যালসিয়ামের পরিমান সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ১৭ গুন বেশি। আয়রনের পরিমান নারিকেল ছাড়া সব ফলের চেয়ে ৫ থেকে ২০ গুন বেশি। সব মিলিয়ে তাই তেতুল খেতে পারেন আপনিও।
তেঁতুলের ক্ষতি – তেঁতুলের ক্ষতিকর দিক
কবে ছোটবেলা থেকে কথাটি শুনে আসছি, জানা নেই, তবে শুনতে শুনতে একসময় সত্যিই মনে হয়, আসলে কথাটি কিন্তু মোটেই সত্য নয়, উপরুন্ত তেঁতুলের (Tamarind) এসকর্বিক এসিড এসিড খাবার থেকে আয়রন আহরণ, সংরক্ষণ এবং তা বিভিন্ন কোষে পরিবহন করে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুব প্রয়োজন। মস্তিষ্কে আয়রনের পর্যাপ্ত সরবরাহ চিন্তা ভাবনার গতি …
1. রক্তপাত বৃদ্ধি করে নির্দিষ্ট ঔষধের ক্ষেত্রে
2. হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারেতেতুল বীজ
3. অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করতে পারে
4. দাঁতের এনামেল নষ্ট করে
5. পিত্তপাথর গঠনে সাহায্য করে
6. এসিড রিফ্লাক্স বৃদ্ধি করে
তেঁতুল খাওয়ার নিয়ম
তেমন করে তেতুল খাওয়ার কোনো নিয়ম নেই।তবে সকালে ঘুম থেকে উঠেই তেতুল একদম খাবেন না। কারণ তা হল যে কোনো টক জাতীয় খাবারেই থাকে অ্যাসিড আর তেতুল একটি টক জাতীয় খাবার তাই বিকেলের দিকে বা দুপুরের দিকে খেলে কোনো অসুবিধায় নেই। আর যারা গান বাজনা করে থাকেন তারা একদমই তেতুল কোনো কোনো রকম টক খাবেন না। আর তেতুল তো নাই।
তেঁতুলের বিচির গুড়ার উপকারিতা
তেঁতুল! কম-বেশি তেঁতুল খেতে অনেকেই ভালোবাসেন। সে তেঁতুলের আচার হোক কিংবা তেঁতুলের টক। জিভে যেন একেবারে জল এনে দেয়। কী ঠিক বলেছি তো? আবার তেঁতুল দিয়ে পিতলের বাসন মাজলে যেন রুপোর মতো চকচক করে। এগুলো তো সবারই জানা বিষয়।
কিন্তু এটা কী জানেন? তেঁতুল দিয়ে অনেক কিছু সমস্যার সমাধান হতে পারে।
ভাবছেন খাওয়ার কাজে ছাড়া আবার তেঁতুল দিয়ে কী সমস্যার সমাধান হতে পারে। না, এখানে কিন্তু তেঁতুলের পরিবর্তে কাজে লাগবে তেঁতুলের বীজ।
সেই কারণে বাড়িতে তেঁতুলের বীজ তো একটু জমিয়ে রাখতেই হবে। এখনো কী ভাবছেন? আর অত না ভেবে একবার জেনে নেবেন নাকি তেঁতুলের বীজ ঠিক কী কী কাজে লাগতে পারে।
1.৮-১০টি তেঁতুলের বীজ, টক দই, হলুদ
আগে তেঁতুলের বীজটাকে বেটে নেবেন। বেটে রাখা ওই বীজের মধ্যে ২ চামচ টক দই ও ১ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। মুখের যেখানে ব্রণ রয়েছে সেখানে ভালো করে প্যাকটি লাগান। ১৫ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
2. ৭-৮টি তেঁতুল, টক দই
প্রথমে তেঁতুলটা বেটে নিতে হবে। বেটে রাখা তেঁতুলের মধ্যে ২ চামচ দই মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট মুখে প্যাকটি লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
3. ১০-১২টি তেঁতুল বীজ, গোলাপ জল, মধু
তেঁতুল বীজটা আগে বেটে নিন। বেটে রাখা বীজের পেস্টের মধ্যে ২ চামচ গোলাপ জল, ২ চামচ মধু মিশিয়ে প্যাকটি বানিয়ে নিন। ২০ মিনিট গলার কালো জায়গায় লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩-৪ দিন এই প্যাকটি গলায় লাগান। দেখবেন আস্তে আস্তে গলার কালো দাগ মিলিয়ে যাচ্ছে।
4. ১০-১২টি তেঁতুল বীজ, মধু, সুজি, ময়দা
আগে তেঁতুল বীজটা বেটে নিন। তেঁতুলের পেস্টের মধ্যে ১ চামচ মধু, ২ চামচ সুজি, ২ চামচ ময়দা দিয়ে প্যাকটি বানিয়ে ফেলুন। ১৫-২০ মিনিট মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে হালকা উষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে নিন।
তেতুলের আচার
তেঁতুল খুবই একটি জনপ্রিয় খাবার যা সবাই পছন্দ করেন বিশেষ করে মেয়েরা বেশি। এই মজাদার খাবারটি যদি আর একটু বেশি মজাদার করে খাওয়া যায় তবে কেমন হয়? তাই আজ বিডি রমণী আপনাদের জন্য নিয়ে এলো তেতুলের টক ঝাল মিষ্টি আচার তৈরির সহজ রেসিপি। রেসিপি জেনে তৈরি করুন আর পরিবেশন করুন অনেকদিন পর্যন্ত।তাহলে আর দেরি না করে চলুন জেনে নিই রেসিপিটি।
উপকরণ
তেতুল – ১/২ কেজি
গুড় – ১/২ কেজি
লবন – সাদ মতন
পাচ ফোড়ন – ১ টেবিল চামচ
লাল মরিচের গুড়া – সাদ মতন ( আমি বেশি ঝাল খাই দেখে আমি ৪ চা চামচ দিয়েছি)
ধনে গুড়া – ২ চা চামচ
তালা জিরা গুড়া – ১ চা চামচ
সাদা সির কা – ১/২ কাপ
সরিষা তেল – ১ কাপ
রসুন কুচি – ৩ টেবিল চামচ
প্রস্তুত প্রণালী
১.তেতুলকে ২ ঘন্টা গরম জলে ভিজিয়ে রেখে তার থেকে আশগুলা বের করে নিয়ে চটকিয়ে রাখতে হবে।
২. একটা পাতিল নিয়ে তাতে সরিষার তেল গরম করে তাতে সব মসল্লা এবং রসুন কুচি নিয়ে কষাতে হবে।
৩.কষানোর পরে তেতুলগুলা ওগুলার মাঝে দিয়ে দিতে হবে এবং অন্তত ৫ মিন সেটা কে কষাতে হবে।
৪.কষানোর পরে গুড় আর লবন দিয়ে আরো কিছুক্ষণ কষাতে হবে।
৫.একটু সিরকা দেওয়া যেতে পারে যদি মাখা মাখা না করতে চান।
টিপস
গুড়-এর বদলে চিনি বেবহার করা যেতে পারে তবে গুড় দিলে সাদ বেশি মজাদার হয়।