হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন সবাই ? জানি জানি অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন কি তাই তো ? দেখুন আমরা যতই বলিনা কেন আমাদের জীবনে কেউ আমরা সুখী না। আমাদের কাছে সব থাকা সত্ত্বেও আমরা হয়তো অভাবী। কিন্তু কি সেই অভাব তা সেটাও আমরা হয়তো অনেকেই জানি না বা জানার চেষ্টাও করি না। আর যাদের কাছে কিছু নেই তাদের তো কোনো সমস্যায় নেই বরং তারাই ভালো আছে। যাইহোক বন্ধুরা আজকের একটা খুউব গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস যেটা নিয়ে আমাদের বা আমাদের বাবা মা বা আমাদের ছেলেমেয়েদের নিয়ে আমরা সর্বদাই একটু আধটু চিন্তিত থাকি আর সেটা হলো সু খাদ্য বা ভালো ভিটামিন। আমাদের নানান লোকের নানান সমস্যার একমাত্র কারণ হলো ভিটামিন এর অভাব বা ভিটামিনের অভাবজনিত রোগ। আমাদের জানতে হবে ভিটামিনের বৈশিষ্ট্য।
ভিটামিন হলো জৈবিকভাবে সক্রিয় পদার্থ যা মানুষের শরীরের অনেকগুলি প্রক্রিয়া সক্রিয় থাকে। ভিটামিনের জন্য ধন্যবাদ, আমরা আরও আনন্দিত হয়ে উঠি, প্রাণশক্তি এবং শক্তি অর্জন করি। ভিটামিন এর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে আরো বিস্তারিত।
ভিটামিন বিভিন্ন রাসায়নিক গঠন আছে, কিন্তু তারা এক প্রভাব আছে – তারা পণ্য এবং additives থেকে দরকারী পদার্থ আত্মত্যাগ সাহায্য। ভিটামিন শরীরের কোষ পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য এবং সংখ্যাবৃদ্ধি।
সব ভিটামিনের অনাক্রম্যতা বৃদ্ধি, খারাপ কলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে, রক্তের গঠন সক্রিয় এবং সমৃদ্ধ করার জন্য সম্পত্তি রয়েছে। ভিটামিন এছাড়াও সক্রিয়ভাবে বার্ধক্য বিরুদ্ধে যুদ্ধ, স্বাভাবিক অবস্থায় মানুষের শরীর বজায় রাখা, টিস্যু পুনর্জন্মের প্রক্রিয়া জোরদার।
ভিটামিনের কাজ ও গুরুত্ব ( Functions and Importance of Vitamins )
ভিটামিন (Vitamins)
সংজ্ঞা ( Definition ) – যে বিশেষ জৈব পরিপোষক সাধারণ খাদ্য অতি অল্প পরিমানে থেকে দেহের স্বাভাবিক পুষ্টি ও বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধে শক্তি বৃদ্ধি করে, তাকে ভিটামিন বলে।
ভিটামিনের অভাব কি বিপজ্জনক?
শরীরের ভিটামিন অভাব হলে, বিপাক কমিয়ে দেয়, ব্যক্তির দুর্বলতা, তীব্র ক্লান্তি, মাথাব্যাথা, অভ্যন্তরীণ অঙ্গের কাজ ব্যাহত হতে পারে। স্নায়ুতন্ত্রেরও ক্ষতি হয়, এবং এটির সঙ্গে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল হয়।
যদি শরীরের ভিটামিন ডি কম থাকে, তবে শিশুরা সুখের মুখোমুখি হতে পারে, কারণ হাড়ে যথেষ্ট পরিমাণ লেবু অবশিষ্ট থাকে না, তারা শক্তিশালি এবং বাঁক না পেতে পারে। এই থেকে শরীরের আকার এছাড়াও আকৃতি পরিবর্তন, সন্তানের খুব পাতলা এবং পাতলা হাত এবং পায় হতে পারে, তারা দুর্বল, তাদের ফাংশন সঞ্চালন করতে পারবেন না
কিন্তু যদি ভিটামিন ডি অত্যধিক হয়, তবে এটি শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তারপর হাড়ের টিস্যু অংশ যা ক্যালসিয়াম, এটি থেকে অন্যান্য অঙ্গে প্রেরণ করে এবং হার্ট, কিডনি, অন্ত্র, এবং লিভার থেকে উপকারী পদার্থ গ্রহণ করে। এই থেকে, অভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলির কাজগুলি লঙ্ঘন করা হয়, তারা ভাল কাজ করে না এবং ব্যক্তিটি খুব অসুস্থ হয়।
1. রাসায়নিক প্রকৃতিঃ ভিটামিন এক প্রকার জৈব অনুঘটক।
2. ক্রিয়া প্রকৃতিঃ ভিটামিন অল্প গাঢ়ত্যের কাজ করে এবং দৈনিক অল্প মাত্রায় প্রয়োজন হয়।
3. উৎসঃ ভিটামিনের প্রধান উৎস হল উদ্ভিদ। তবে ভিটামিন A,D,B12,KA,D,B12,K প্রাণীদেহে সংশ্লেষিত হয়।
4. অন্যান্য বৈশিষ্ট্য- (1) ভিটামিন পচনে বিনষ্ট হয় না,কিন্তু বিপাকের সময় বিনষ্ট হয়। (2) ভিটামিন উৎসেচকের সঙ্গে সহ উৎসেচক রূপে কাজ করে।
ভিটামিনের প্রয়োজনীয়তা ( Importance of Vitamin )
1. স্বাভাবিক বৃদ্ধিতেঃ জীব দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য ভিটামিন অপরিহার্য।
2. রোগ প্রতিরোধেঃ ভিটামিনের প্রধান কাজ হল রোগ প্রতিরোধ করা।
3. খাদ্য প্রাণ হিসাবেঃ জীবের জীবন ধারণের জন্য অত্যাবশ্যকীয় খাদ্য উপাদান হল ভিটামিন সেই কারণে একে খাদ্য প্রাণ বলে।
নিম্নলিখিত রোগ গুলি কোন ভিটামিনের অভাবে হয়।
রোগের নাম ও ভিটামিনের নাম
টোড-স্কিন বা ফ্রিনোডার্মা – ভিটামিন A
রাতকানা বা জেরপথ্যালমিয়া – ভিটামিন A
কেরাটোম্যালেসিয়া – ভিটামিন A
রেনাল স্টোন – ভিটামিন A
বেরিবেরি – ভিটামিন B1B1
পারনিসিয়াস অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা – ভিটামিন B12B12
পেলেগ্রা – ভিটামিন B5B5
স্টোমাটাইটিস – ভিটামিন B2B2