ঘরে বসে গণেশ চতুর্থীর গণেশপূজা এইভাব করতে পারেন (Simple Ganesh Puja at Home) – ভাদ্র ও মাঘমাসের শুক্লাচতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। সনাতন ধর্মমতে এই দিনটি ভগবান গণেশের জন্মদিন। একটি কিংবদন্তী অনুযায়ী, এই দিনে শিব গণেশকে লুকিয়ে কার্তিকেয়কে একটি ফল দিয়েছিলেন। চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন বলে শিব চন্দ্রকে অভিশাপ দেন, যে চতুর্থীর দিন চাঁদ কেউ দেখবে না। আমরা দেখে নেবো গনেশ পূজা পদ্ধতি Ganesh Puja Paddhati in Bengali .
- 1 গণেশ চতুর্থী – Ganesh Chaturthi Pooja
- 2 গণেশের ধ্যান – Ganesh Mantra
- 3 গণেশের প্রণামমন্ত্র
- 4 গণেশের প্রার্থনা মন্ত্র
- 5 কৃষ্ণ প্রিয়া ভগবতী রাধারানী কৃত বিঘ্ননাশক গণেশ স্তোত্র
- 6 শ্রী রাধিকা উবাচ –
- 7 জেনে নিন বাড়িতে গনেশ পুজো করার বিশেষ কিছু তথ্য
- 8 মোদক
- 9 মতিচুরের লাড্ডূ
- 10 কলা
- 11 গনেশ আরতি – Ganesh Aarti Lyrics
- 12 Om Gan Ganpataye Namo Namah Lyrics
গণেশ চতুর্থী – Ganesh Chaturthi Pooja
ভাদ্র ও মাঘমাসের শুক্লাচতুর্থীকে গণেশ চতুর্থী বলা হয়। সনাতন ধর্মমতে এই দিনটি ভগবান গণেশের জন্মদিন।একটি কিংবদন্তী অনুযায়ী , এই দিনে শিব গণেশকে লুকিয়ে কার্তিকেয়কে একটি ফল দিয়েছিলেন। চন্দ্র তা দেখে হেসে ফেলেন বলে শিব চন্দ্রকে অভিশাপ দেন, যে চতুর্থীর দিন চাঁদ কেউ দেখবে না।
গণেশের ধ্যান – Ganesh Mantra
“খর্বং স্থূলনু গজেন্দ্রবদনং লম্বোদরং সুন্দরং প্রস্যন্দন্মদ্গন্ধলুব্ধমধুপব্যালোলগণ্ডস্থলম্। দন্তাঘাতবিদারিতারিরুধিরৈঃ সিন্দূরশোভাকরং বন্দে শৈলসুতাসুতং গণপতিং সিদ্ধিপ্রদং কামদম্।।”
অর্থাৎ, “যিনি খর্বাকৃতি, স্থূলশরীর, লম্বোদর, গজেন্দ্রবদন অথচ সুন্দর; বদন হইতে নিঃসৃত মদগন্ধে প্রলুব্ধ ভ্রমরসমূহের দ্বারা যাঁহার গণ্ডস্থল ব্যাকুলিত; যিনি দন্তাঘাতে শত্রুর দেহ বিদারিত করিয়া তাহার দন্ত দ্বারা নিজ দেহে সিন্দূরের শোভা ধারণ করিয়াছেন; সেই পার্বতীপুত্র সিদ্ধিদাতা ও কামদাতা গণপতিকে বন্দনা করি।
গণেশের প্রণামমন্ত্র
একদন্তং মহাকায়ং লম্বোদরং গজাননং।
বিঘ্ননাশকরং দেবং হেরম্বং প্রণমাম্যহম্।।
অর্থাৎ, “যিনি একদন্ত, মহাকায়, লম্বোদর, গজানন এবং বিঘ্ননাশকারী সেই হেরম্বদেবকে আমি প্রণাম করি।”
গণেশের প্রার্থনা মন্ত্র
দেবেন্দ্রমৌলিমন্দারমকরন্দকণারুণাঃ।
বিঘ্নং হরন্তু হেরম্বচরণাম্বুজরেণবঃ।।
অর্থাৎ, “দেবরাজ ইন্দ্রের মস্তকে বিরাজিত মন্দারপুষ্পের পরাগসমূহের দ্বারা রক্তিম হেরম্বের পাদপদ্মের রেণুসমূহ আমার বিঘ্নহরণ করুক।” ব্রহ্মাণ্ড পুরাণ মতে, তাঁর উদরে সমগ্র জগৎসংসারের অবস্থান বলেই তিনি লম্বোদর। গণেশের বাহন মুষিক বা ইঁদুর। ইঁদুর ধর্মের অবতার; মহাবল ও পূজাসিদ্ধির অনুকূল।মনে করা হয়, গণেশের পদতলে ইঁদুর, গণেশ কর্তৃক বিঘ্নবিজয়ের প্রতীক। বৃহদ্ধর্ম পুরাণ ও ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে পৃথিবী গণেশকে মুষিক বাহন দিয়েছিলেন।
কৃষ্ণ প্রিয়া ভগবতী রাধারানী কৃত বিঘ্ননাশক গণেশ স্তোত্র
শ্রী রাধিকা উবাচ –
পরং ধাম পরং ব্রমহ পরেশং পরমীশ্বরম।
বিঘ্ননিঘ্ন করং শান্তং পুষ্টং কান্তমনন্তরম।।
সুরাসুরেন্দ্রঐঃ সিদ্ধেন্দ্রঐঃ স্তুতং স্তউমি পরাতপরম।
সুরপদ্মদিনেশং চ গণেশ মঙ্গলায়নম।
এদং স্তোত্রং মহাপুন্যম বিঘ্ন শোক হরং পরম।
যঃ পঠেত প্রাতঃ উত্থায় সর্ব বিঘ্নাত প্রমুচ্যতে।।
এই স্তোত্র মহাপুন্যদায়ী এবং বিঘ্ন ও শোক নাশক, সকালে নিদ্রা ভঙ্গ করে এই স্তোত্র পাঠ করলে সকল বিঘ্ন হতে মুক্ত হওয়া যায়।
জেনে নিন বাড়িতে গনেশ পুজো করার বিশেষ কিছু তথ্য
গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্যে দেশের বিভিন্ন অংশে মহাসমারোহের আয়োজন। বিশেষত দক্ষিণভারতে গণেশ চতুর্থী ঘিরে ধুমধাম আর জাঁকযমক কিছু কম নয়। তবে শুধু মহারাষ্ট্র বা অন্ধ্রপ্রদেশ , তামিলনাড়ু নয়, গণেশ চতুর্থী উপলক্ষ্য়ে এরাজ্যেও বহু জায়গায় পূজার আয়োজন করা হয়। অনেকেই তাঁদের বাড়িতে আড়ম্বরে করে থাকেন এই পূজা। বর্তমান সমাজে কলকাতা তোতা গোটা পশ্চিমবঙ্গও কিছু কম যায় না। প্রত্যেক বছর পুজো রীতি নীতি বেড়েই চলেছে। মহারাষ্ট্র হলো গনেশ পুজোর এক অন্যতম স্থান। প্রত্যেক ঘরে বাইরে পুজো হয়। এই পুজো সাধারণত 1.5 দিন 3 দিন 5 দিন 7 দিন আর 10 দিনের হয়ে থাকে।
গণেশ পুজোয় সবচেয়ে বড় বিষয় হল প্রসাদ। গণেশের জন্য বিশেষ প্রসাদ না তৈরি করলে এই সিদ্ধিদাতা দেবতা রুষ্ট হন বলে কথিত রয়েছে। তাই গণেশপুজোতে যে প্রসাদগুলি পরিবেরসনের রীতি রয়েছে সগুলি জেখে নেওয়া যাক।
গণেশের খাবার ও পৌরানিক কাহিনি শিবপূরামে বর্ণিত রয়েছে, ধনী কুবের একবার আমন্ত্রণ করে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন গণেশকে। দেখা যায় যে , সমস্ত খাবার খেয়েও সন্তুষ্ট হন না গণেশ। শেষে তাঁকে মোয়া খেতে দেওয়া হলে খুবই খুশি হন তিনি। এই কাহিনি থেকে মনে করা হয় যে , খাবার শেষ পাতে কিছু না থাকলে রুষ্ট হন গণেশ।
মোদক
গণেশের আরেক নাম “মোদপ্রিয়”। নারকোল ও গুরের পুরকে ময়দার মধ্যে ঢুকিয়ে তৈরি করা হয় মোদক। যা গণেসের বিশেষভাবে প্রিয় খাবার।
মতিচুরের লাড্ডূ
মিষ্টি জাতীয় যেকোনও খাবার পছন্দ করেন গণেশ। তার মধ্যে অন্যতম হল মতিচুরের লাড্ডু। তাঁর মূর্তিতেও একহাতে লাড্ডু থাকে। হলুদ-কমলা রঙের এই লাড্ডু গণেশ পুজোর আবশ্যিক অংশ।
কলা
মনে করা হয় যেকোনও হলুদ রঙের বস্তুই পছন্দ গণেশের। তাই ফলের মধ্যে কলাও পছন্দ গণেশের। দূর্গাপুজোতে আবার যেহেতু কলা গাছকে ,গণেশের স্ত্রী রূপে দেখা হয়, তাই গণেশের সঙ্গে সব সময় ফল হিসাবে কলা রাখার প্রচলন রয়েছে।
মোয়া প্রসাদের ক্ষেত্রে সবশেষে মুড়ির মোয়া পছন্দ করেন গণেশ দেব। তাই তাঁর প্রসাদে অবশ্যই রাখা হয় মুড়ির মোয়া। গুরের সঙ্গে মুড়ি দিয়ে এই বিশেষ মোয়া বাানো হয়।
গনেশ আরতি – Ganesh Aarti Lyrics
আরতির সময় প্রার্থনা করুন এই গান দিয়ে…
‘জয় গণেশ জয় গণেশ
জয় গণেশ দেবা।
মাতা জাকি পার্বতী পিতা মহাদেবা।।
একদন্ত দয়াবন্ত চার ভূজাধারী।
মাথে সিঁন্দুর সোহে মুসে কী সবারী।।
দীনন কি লাজ রাখো শম্ভু পুত্রয়ারী।
মনোরথ কো পুরা করো
জয় বলিহারী।’
Om Gan Ganpataye Namo Namah Lyrics
Om Gan Ganapataye Namo Namah
Shree Siddhi Vinayak Namo Namah
Ashtavinayak Namo Namah
Ganapati Bappa Moraya