মহালয়ার গান,মহিষাসুরমর্দিনী,লিরিক্স – Mahalaya Song,Lyrics

মহালয়া মানেই ভালো করে দম কষা ঘড়িতে অ্য়ালার্ম দিয়ে রাখা। ঘড়ির কাঁটা চারটে ছুঁলেই রেডিও-র নবে হাত। এরপরই বেজে উঠত – বীরকষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে ‘আশ্বিনের শারদপ্রাতে বেজে উঠেছে আলোক মঞ্জির…’। কিন্তু, টেলিভিশন আর এফএম চ্যানেলের দাপটে এখন রেডিও-তে মহালয়া শোনার চল অনেকটাই কমে গিয়েছে। ভোর চারটায় নয়, অধিকাংশ বাংলা বিনোদন টেলিভিশন চ্যানেলগুলি আরও এক ঘণ্টা পিছিয়ে তাদের মহালয়া শো শুরু করছে। আর সত্যি  কথা বলতে মহালয়ার নাম শুনলেই আমাদের বাঙালিদের মনে কেমন একটা শিহরণ জেগে ওঠে। আর মহালয়ার গান মানে তো কোনো কোথায় হবে না। যতবার শুনি ততবার মনে হয় দুর্গাপুজো এক্কেবারে দর গোড়ায়। তাই আজকে বেশ কিছু মহালয়ার গান বা মহালয়ার গানের কথা লিরিক্স সহ আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি।

মহালয়ার গান – Mahalaya Song

জাগো, তুমি জাগো, জাগো দুর্গা,
জাগো দশপ্রহরণধারিণী,
অভয়াশক্তি বলপ্রদায়িনী তুমি জাগো।
প্রণমি বরদা অজরা অতুলা
বহুবলধারিণী রিপুদলবারিণী জাগো মা।
শরণময়ী চন্ডিকা শংকরী জাগো, জাগো মা,
জাগো অসুরবিনাশিনী তুমি জাগো।।

বাজলো তোমার আলোর বেণু – Bajlo Tomar Alor Benu

বাজলো তোমার আলোর বেণু, মাতলো যে ভুবন
আজ প্রভাতে সে সুর শুনে খুলে দিনু মন।।

অন্তরে যা লুকিয়ে রাজে
অরুণবীণায় সে সুর বাজে—
এই আনন্দযজ্ঞে সবার মধুর আমন্ত্রণ।।

আজ সমীরণ আলোয় পাগল নবীন সুরের বীণায়,
আজ শরতের আকাশবীণা গানের মালা বিলায়।

তোমায় হারা জীবন মম
তোমারই আলোয় নিরুপম—
ভোরের পাখি ওঠে গাহি তোমারই বন্দন।।

জাগো দুর্গা দশপ্রহরণধারিণী ― দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়

জাগো, তুমি জাগো, জাগো দুর্গা,
জাগো দশপ্রহরণধারিণী,
অভয়াশক্তি বলপ্রদায়িনী তুমি জাগো।
প্রণমি বরদা অজরা অতুলা
বহুবলধারিণী রিপুদলবারিণী জাগো মা।
শরণময়ী চন্ডিকা শংকরী জাগো, জাগো মা,
জাগো অসুরবিনাশিনী তুমি জাগো।।

ওগো আমার আগমনীর আলো

ওগো আমার আগমনীর আলো , জ্বালো প্রদীপ জ্বালো জ্বালো
ওগো আমার আগমনীর আলো।
এই শরতের ঝঞ্ঝাবাতে , নিশার শেষে রুদ্রবাতে এ.. (২)
নিভলো আমার আ..পথের বাতি , নিভলো প্রাণের আলো ও.. |
ওগো আমার ও..পথদেখানো আলোও জীবন জ্যোতিরূপের সুধা ঢালো ও..
দিক হারানো শঙ্কাপথে আসবে এ..অরুণরথে আসবে কখন আসবে
টুটবে পথেরও নিবিড়ও আঁধারো সকলো বিষাদ-কালো
বাজাও আলোর কন্ঠবীণা ,ওগো পরম ভালো করো মা ভালো |

হে চিন্ময়ী ― তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়

চিন্ময়ী,
হিমগিরি থেকে এলে, এলে কারে রেখে নির্মল প্রাতে,
বসুন্ধরা যে সুবিমল সাজে অঞ্জলি হাতে।
হে চিন্ময়ী,
নবনীলিমায় বাজে মহাভেরী, দিকে দিকে তব মাধুরী যে হেরি,
সুললিত তানে, প্রাণে সুধা আনে আলোকেরই সাথে।

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ― সমবেত কণ্ঠ

জয়ন্তী মঙ্গলা কালী ভদ্রকালী কপালিনী |
দুর্গা শিবা ক্ষমাধাত্রী স্বাহা স্বধা নমোহস্তু তে ||
মধুকৈটভবিধ্বংসি বিধাতৃ-বরদে নমঃ
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি ||
মহিষাসুরনির্নাশি ভক্তানাংসুখদে নমঃ
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি ||
ধূম্রনেত্রবধেদেবি ধর্মকামার্থদায়িনি
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি ||
রক্তবীজবধেদেবি চণ্ডমুণ্ডবিনাশিনি
রূপং দেহি জয়ং দেহি যশো দেহি দ্বিষো জহি |

আনন্দে মাতে গিরিরাজ পুরী

আনন্দে মাতে গিরিরাজ পুরী(২) বরষপরে ঊমা এল ফিরি
আনন্দে মাতে গিরিরাজ পুরী(২)
সঙ্গে এল লক্ষী-সরস্বতী , কার্ত্তিক এল আর গণপতি
সবে গিরিরাণী পদে করে নতি , উলুধ্বনি দিল পুরনারী |
হরষে আদরে নিয়ে বুকে রাণী বলেন মা ছিলি তো সুখে?
মোরা ভেবে মরি সারা মনোদুঃখে, পাঠায়ে তোমারে হরের বাড়ি ,
আনন্দে মাতে গিরিরাজ পুরী(২)
লোকে কয় মহামায়া কন্যা ভগ্নি কভুজায়া ,তাই তুমি মায়ায় ভোলাইয়ে আজ তুমি মহামায়া ,
মা হয়ে মায়ের বোঝোনা মন জগজ্জননী না জানি কেমন,
বুঝি শিবের হাতে তুমি হলে এমন সে চির বৈরাগী শ্মশানচারী !

ওগো আমার আগমনী-আলো ― শিপ্রা বসু

ওগো আমার আগমনীর আলো , জ্বালো প্রদীপ জ্বালো জ্বালো
ওগো আমার আগমনীর আলো।
এই শরতের ঝঞ্ঝাবাতে , নিশার শেষে রুদ্রবাতে এ.. (২)
নিভলো আমার আ..পথের বাতি , নিভলো প্রাণের আলো ও.. |
ওগো আমার ও..পথদেখানো আলোও জীবন জ্যোতিরূপের সুধা ঢালো ও..
দিক হারানো শঙ্কাপথে আসবে এ..অরুণরথে আসবে কখন আসবে
টুটবে পথেরও নিবিড়ও আঁধারো সকলো বিষাদ-কালো
বাজাও আলোর কন্ঠবীণা ,ওগো পরম ভালো করো মা ভালো |

তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা ― মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়

তব অচিন্ত্য রূপ-চরিত-মহিমা,
নব শোভা, নব ধ্যান রূপায়িত প্রতিমা,
বিকশিল জ্যোতি প্রীতি মঙ্গল বরণে।
তুমি সাধন ধন ব্রহ্ম বোধন সাধনে।।
তব প্রেমনয়ন ভাতি নিখিল তারণী
কনককান্তি ঝরিছে কান্ত বদনে।।
হে মহালক্ষ্মী জননী গৌরী শুভদা,
জয় সংগীত ধ্বনিছে তোমারই ভুবনে।।