চাঁদ নিয়ে কবিতা – Moon Poem

1.ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে
কারো নজর লাগতে পারে
মেঘেদের উড়ো চিঠি
উড়েও তো আসতে পারে
ও চাঁদ …
সামলে রাখো জোছনাকে
ঝলমল করিও না গো তোমার ঐ অতো আলো
বেশী রূপ হলে পরে সাবধানে থাকাই ভালো
মুখের ঐ উড়নিটাকে একটু রাখো
খুলোনাকো দোহাই… একেবারে.
ও চাঁদ …
সামলে রাখো জোছনাকে
এই সবে রাত হয়েছে এখনি অমন হলে
মাঝরাতে আকাশটাতে যাবে যে আগুন জ্বলে
সেই ফাঁকে তুমিও কখন চুরি যাবে
কাকে পাবে বাঁচাতে তোমারে
ও চাঁদ সামলে রাখো জোছনাকে

2.কিছু কথা চাঁদের বুকে আচর কেটে কেটে এঁকে গেছে কলঙ্কের আলপনা,
বাকি কথারা জমেছে পাহাড়ের পাঁজরে আর হৃদপিন্ডের মতো মৌন পাথরে!
প্রতিটি সমুদ্র কানায় কানায় ভরে গেছে আমার বেদনার লোনা জলে,
ঝড়ের মতো দীর্ঘ্যশ্বাস যখন সেই সমুদ্রে মাতালের মতো ঢেউ তোলে
একটি চন্দ্রাহত গাঙচিল আশ্রয় খোঁজে ধ্বংসের স্তূপে, ভেঙ্গে পড়া মাশ্তুলে।

3.সবকিছু ভেসে যাচ্ছে অনুপম জোছনায়।

নীরব বনানীতে, অনেক দূরে নেকড়ের ডাক শুনতে শুনতে,
পানিতে চাঁদের প্রতিবিম্ব দেখতে কেউ যেন ভুলে যেও না।
অনেক কিছু মনে পড়বে – অতীতকে, মৃত্যুকে, ছোট ছোট বেদনাগুলোকে।
আমি অসহ্য আনন্দ নিয়ে তাকিয়ে আছি আকাশের দিকে, মুগ্ধ দৃষ্টিতে।
প্রথম মানব বোধহয় এতটাই মমতা নিয়ে তাকিয়েছিলেন;
ঠিক এই চাঁদটির দিকেই।
হ্যাঁ, এই বুড়ি চাঁদটিই কত হাজার বছরের প্রতিফলন বয়ে বেড়াচ্ছে।

4.অমাবস্যা আমার কাছে অন্ধকার, অশুভ।
আমি অপেক্ষা করি সেই রাত্রিটির, যে রাত্রে শুভ্র গোল থালার মতো চাঁদ
জগৎকে ধুয়ে দেয়, স্নিগ্ধ পবিত্রতায় আচ্ছন্ন করে গোটা সৃষ্টিকে।
আমি ভালোবাসি চাঁদ, ভালোবাসি জোছনা।
ভালোবাসি স্নিগ্ধ কোমল আলোটিকে।

5.আমি পূর্ণিমা দেখবো বলে বসে আছি।
ষষ্ঠী, সপ্তমী, অষ্টমীর রাতগুলো কেটে যাচ্ছে, ধীরে হলেও।
আমি জানি, অপেক্ষার রাতটি আর কয়েক রাত তফাতে।

6.এই সব জোছনা রাতের দুপুরে,
জীবনের ভিতরে জীবন নিয়ে
তাঁরার মতো অজস্র সোনালী ফুলে
অথবা ফুলের মতো অজস্র তাঁরায়
ক্লান্তি শীতল হলে মৃত্যু আসে।

7.স্বপ্নের ভিতরে স্বপ্ন খুঁজিছে যারা
জীবনের মৃত্যু কূপে এসে,
তেমনি আমি পেয়ে ছিলাম তারে
একটি তাঁরার খোঁজে রাতের আঁধারে!
চোখের পাতায় ঘুম জমেছিল ঢের
হৃদয়ের কাছ হতে খুব কাছে এসে
আমরা ক্লান্ত হলে ভালো বেসে বেসে
তুমি আমি দুটি পথে গেছি অবশেষে।

8.চাঁদ মামা , চাঁদ মামা ,
কোথায় তোমার রঙ্গিন জামা ?
সারা রাত খালি গায়ে,
ঘুরে বেড়াও ডানে বাঁয়ে ।
নেই কি তোমার শীত তাপ ?
কোথায় তোমার মা , বাপ ?
মেঘ মামা তাড়ালে …
লুকিয়ে যাও মেঘের আড়ালে ।
একটু মুচকী হেসে …
ক্ষণিক পরে আকাশেতে উঠো আবার ভেসে ।
তোমার হাসি দেখি জোছনা মাখা পূর্ণিমা রাতে ,
তোমার বেদনা দেখি অমাবস্যার সাথে ।
চাঁদ মামা চেয়ে থাকো তুমি…
পৃথিবীর পানে অবাক দৃষ্টিতে ,
কখনো আবার ভিজে যাও ঝড় – বৃষ্টিতে ।
মহাকালের ঝড় – বৃষ্টির আঘাতে আঘাতে ,
তাই কি দেখি না তোমায় সুপ্রভাতে ?
কতো কবি তোমায় নিয়ে
লিখেন কতো কবিতা ,
চিত্র শিল্পী আঁকেন আবার ,
চাঁদ মামার সুন্দর ছবিটা ।
কতো বিজ্ঞানী চাঁদের দেশে গিয়েছে ,
ছেলে বেলার চাঁদের বুড়ীকে …
কেউ কি খুঁজে পেয়েছে ?
চাঁদ মামা তুমি রয়েছো দূর বহুদূর ,
তোমার বুকে লিখা আছে কি …
পৃথিবীর স্মৃতির সব মহীসুর ?
তোমার নেই কি কোনো সুখ – দুঃখ ?
তোমায় নিয়ে রচিত হয় কতো গীতি – কাব্য ।
চাঁদ মামা তুমিতো সারাক্ষণ নীরব নিস্তব্ধ ,
মেঘের আড়ালে যদিও থাকো কিছুক্ষণ আবদ্ধ ।

10.আমিও জেনে গেছি প্রতি ভোরে একটি গোলাপ জেগে ওঠে
আমার ঘ্রানের খোঁজে হাঁটে তোমার ঠোঁটে ঠোঁটে।
বিসৃত বেদনার নীল জলে ডুবো নাকো আর
ডাহুকের চঞ্চল চোখে খুঁজো নাকো আর,
তবে ফিরে এসো তুমি এই জীবনের কূপে
তুমি ফিরে এসো এই ঘাস, হৃদয়ে আমার।

শেষ কথা 

চাঁদ পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ এবং সৌর জগতের পঞ্চম বৃহত্তম উপগ্রহ। পৃথিবীর কেন্দ্র থেকে চাঁদের কেন্দ্রের গড় দূরত্ব হচ্ছে ৩৮৪,৩৯৯ কিলোমিটার (প্রায় ২৩৮,৮৫৫ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের প্রায় ৩০ গুণ। চাঁদের ব্যাস ৩,৪৭৪.২০৬ কিলোমিটার (২,১৫৯ মাইল) যা পৃথিবীর ব্যাসের এক-চতুর্থাংশের চেয়ে সামান্য বেশি। এর অর্থ দাড়াচ্ছে, চাঁদের আয়তন পৃথিবীর আয়তনের ৫০ ভাগের ১ ভাগ। আমরা অনেকেই চাঁদ কে নিয়ে অনেক কিছুই ভাবি অনেক গল্প[ও করি ছোটদের কাছে অনেক স্বপ্ন চাঁদ কে ঘিরে। ছোট বেলায় একটাই কথা সবাই কে বলতে সোনা যায় যায় যায় চাঁদ মামা টি (টিপ্) দিয়ে যা।