Bengali Shayari – বাংলা শায়েরী

বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি সকলেই ভালো আছেন। বন্ধুরা আমরা আজকে বাংলা শায়েরী (Bengali Shayari) নিয়ে একটু আলোচনা করবো। শায়েরী ব্যাপারটা কিন্তু চলে এসেছে অনেক আগের থেকে তাও প্রায় ষাট, সত্তর,আশির ধমক থেকে বা তারও আগের থেকে চলে আসছে এই শায়েরী। আমরা অনেক সময় অনেক ব্যাপারেই এই শায়েরী শুনিয়ে থাকি বা বলে থাকি বা লিখেও পাঠাতে থাকি সেটা প্রেম ভালোবাসার হতে পারে সেটা কোনো দুঃখজনক ব্যাপারেও হতে পারে বা সেটা বন্ধুত্বের ব্যাপার নিয়েও হতে পারে। নানান বিষয়ব ওপরেই শায়েরী হতে পারে যদিও প্রত্যেক বিষয় বস্তু হবে আলাদা আলাদা। কিন্তু সবার আগে আমাদের জানা দরকার যে শায়েরী জিনিসটা কি বা কাকে বলে, তাহলে জেনে নেওয়া যাক যে শায়েরী কি বা কাকে বলে ?

শায়েরী কি বা কাকে বলে

শের শায়েরী হল উর্দু কবিদের ছোট ছোট কবিতা যা দিয়ে অল্প কোথায় অনেক বিশাল মনের ভাব প্রকাশ করে। আবার কথা হচ্ছে কোনো অল্প কোথায় মনের ভাব প্রকাশ করতে হবে ? মনে রাখবেন যখন শায়েরী জন্ম কাল তখন কোনো এক মুসলিম কবিদের হাত ধরেই শায়েরী  জন্ম গ্রহণ করে। শায়েরীর অন্যতম জন্মদাতা হলো অমর খৈয়াম। এবার আমরা চলে যাবো সরাসরি কিছু অসাধারণ শায়েরীর দিকে। 

1.কুয়াশার চাদরে ঢাকা শীতের ভোরে, 
মুক্ত দানার মত ছড়িয়ে হাসতে থাকা 
শিউলি ফুলের পসরা তোমার জন্য। 
মিটিমিটি তারায় ভরা আকাশ আর
জোনাক জ্বলা রাতের মৃদুমন্দ বাতাসে
ভাসা হাসনাহেনার সুবাস তোমার জন্য। 

2.যখন দূর থেকে দেখলাম, ওটা পাথর ছিল
যখন দূর থেকে দেখলাম, ওটা পাথর ছিল
যখন দূর থেকে দেখলাম, ওটা পাথর ছিল
আরে তারপর——————————–
যখন কাছে গিয়ে দেখলাম, তখনও ওটা পাথর ই ছিল।

3.ঝুম বৃষ্টির মাঝে গ্রাম্য বধূ বেশে ভিজতে
থাকা হিজল গাছের কানের দুল হয়ে
ঝুলতে থাকা হিজল ফুল তোমার জন্য।
বৈশাখে খোঁপায় পরাবো বলে কোঁচড়
ভরে জমা করা ম ম গন্ধে ভরা শ্বেত শুভ্র
এক রাশ বেলি ফুলের মালা তোমার জন্য। 

4.আমি তোমায় ভালোবেসেছিলাম ভেবে তোমায় অবলা

আমি তোমায় ভালোবেসেছিলাম ভেবে তোমায় অবলা
আর তোমার বাবাআমাকে পিটিয়েছিল যেন ভেবেছিল একটা তবলা।
৫.আমি তোমাকে ভালোবেসেছিলাম বড়োলোক ভেবে।
আমি তোকে ভালোবেসেছিলাম বড়োলোক ভেবে
আর তোমার বাবা আমায় জ্বালিয়ে দিলো ধূপকাঠি ভেবে ।।

6.বর্ষার জলে সদ্য স্নাত হয়ে কদম
গাছের দুহাত বাড়িয়ে দেওয়া উপহার
একগুচ্ছ ভেজা কদমফুল তোমার জন্য।
ঘুম চোখে ভোরে উঠে কুড়িয়ে পাওয়া
তারপর আলতো হাতের ছোঁয়ায় যত্নে
গাঁথা বকুল ফুলের মালা তোমার জন্য। 

 7.আমি তোমায় দেখছিলাম একটু অ্যাঙ্গেলে
আমি তোমায় দেখছিলাম একটু অ্যাঙ্গেলে

আর তোমার দিদিমনি আমায় তাড়ালো  ভয় দেখিয়ে স্যান্ডেলের।

8.আরে জানো না কি পাখি ছাড়া আর কে কে দেয় তা
আরে জানো না কি পাখি ছাড়া আর কে কে দেয় তা
আরে জানো না কি পাখি ছাড়া আর কে কে দেয় তা

জানো না বুঝি, জেনে নাও তবে
কবিসব দেয় বসে তা তাতে হয় কবি-তা।


9.যখন কোথাও আগুন লাগে , লোকে জল নিয়ে ছোটে
যখন কোথাও আগুন লাগে , লোকে জল নিয়ে ছোটে
যখন কোথাও আগুন লাগে , লোকে জল নিয়ে ছোটে
তাতে কি ?
বুদ্ধু বেটা ফায়ার সার্ভিসে মিসকল দিতে থাকে।

10.ঝাল খেয়েছি , মুখ পুড়েছে, ঠোঁট জ্বলছে ঝালের বিষে
ঝাল খেয়েছি , মুখ পুড়েছে, ঠোঁট জ্বলছে ঝালের বিষে
ঝাল খেয়েছি , মুখ পুড়েছে, ঠোঁট জ্বলছে ঝালের বিষে 
এখন উপায় ?
ঝালের জ্বালা মিটিয়ে দাও , গোলাপ ঠোঁটের kiss এ।


11.আজকালকার মেয়েরা নাকি বড়ই চালাক চতুর
আজকালকার মেয়েরা নাকি বড়ই চালাক চতুর
আরে আজকালকার মেয়েরা নাকি বড়ই চালাক চতুর
তোমায় ভালো বাসতে গিয়ে হয়ে গেলাম ফতুর।


12.মেলে পাখা যায়রে উড়ে পাখি.

মেলে পাখা যায়রে উড়ে পাখি.
মেলে পাখা যায়রে উড়ে পাখি.আর আমি
সুখের ঘরে ধর্ণা দিয়ে
একা একাই থাকি।
13.যদি বৃষ্টি হোতাম…… তোমার দৃষ্টি ছুঁয়ে দিতাম ।চোখে জমা বিষাদ টুকু এক নিমিষেই ধুয়ে দিতাম ।
মেঘলা বরণ অঙ্গ জুড়ে তুমি আমায় জড়িয়ে নিতে,
কষ্ট আর পারতো না তোমায় অকারণে কষ্ট দিতে..!
14.শীতের চাঁদর জড়িযে,

কুয়াশার মাঝে দাঁড়িয়ে,
হাত দুটো দাও বারিয়ে,
শিশিরের শীতল স্পর্শে যদি, শিহরিত হয় মন”
বুঝে নিও আমি আছি তোমার পাশে সারাক্ষন ।

15.মনে পড়ে তোমাকে যখন থাকি নিরবে”

“ভাবি শুধু তোমাকে সব সময় অনুভবে”
“স্বপ্ন দেখি তোমাকে চোখের প্রতি পলকে”
“আপন ভাবি তোমাকে আমার প্রতি নিশ্বাসে ও বিশ্বাসে ।

শেষ কথা 

এখানে আপনাদের জন্য বেশ কিছু মজার মজার শায়েরি দেওয়া হলেও, আবার আপনি আপনার সুবিধে মতন তাকে ব্যাবহার করতে পারবেন। ভালো করে পড়ুন ও অন্যদেরও পড়ান। বন্ধু বান্ধব ও অন্যান্য সাইবার সঠ্গে শেয়ার করে দিন। ভালো থাকবেন। শায়েরি ওমর থাকুন সারাটা জীবন এটাই চাই।