নদী নিয়ে কবিতা – River Poem in Bengali

ও নদীরে একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে

ও নদীরে,
একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে…

তোমার কোনো বাঁধন নাই তুমি ঘর ছাড়া কি তাই ।।
এই আছো ভাটায় আবার এই তো দেখি জোয়ারে
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে…

এ কূল ভেঙে ও কূল তুমি গড়ো
যার একূল ওকূল দুকূল গেল তার লাগি কি করো?

আমায় ভাবছো মিছেই পর, তোমার নেই কি অবসর
সুখ দুঃখের কথা কিছু কইলে না হয় আমারে …
বলো কোথায় তোমার দেশ
তোমার নেই কি চলার শেষ
ও নদীরে…

 

হ্যা এই নদী আমাদের দেশের প্রাণ। আর বাঙালির দেড় মধ্যে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে নদী বলতে অনেক নদী আছে ছোট বড়ো তবে গঙ্গা যদি হলো আমাদের রাজ্যের তথা সারা দেশে বিখ্যাত ও পূজনীয় এক নদী। নদী, একটি ছোট্ট নাম। অথচ কতো গভীর,ভাবে ছড়িয়ে আছে মানুষের জীবনে। মানুষের সঙ্গে এই নদ-নদীর কতো সখ্যতা আবার কতো বৈরিতাও দেখা যায়। নদ-নদীর প্রবহমান ধারা মানুষের গতিশীল জীবনের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার এক অমরগাথা বুকে নিয়ে নদ-নদী নিরন্তর ছুটে যায় উৎস থেকে মোহনা অবধি। নদ-নদীর উৎসমূল সাধারণত একটি সুউচ্চ পার্বত্য অঞ্চল, যেখানে বরফ গলা পানি ও বৃষ্টির পানি একটি ঢাল বেয়ে মধ্যাকর্ষণজনিত কারণে প্রবল স্রোতস্বিনী সৃষ্টি করে, যার কারণে একাধিক ক্ষুদ্র জলধারার পর্যায়ক্রমিক সমন্বিত প্রক্রিয়ায় পর্বতগাত্র ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে নদ-নদীর সৃষ্টি। আমরা জানি, পৃথিবীর আদি সভ্যতা ও মনুষ্য বসতি এই নদী কেন্দ্রিক। নদী তীরেই প্রাচীন সভ্যতাগুলো গড়ে ওঠেছিল। যেমন ইরাকের ইউফ্রেতিস-তাইগ্রিস নদের সুমেরীয় সভ্যতা, সিন্ধুনদের মোয়েনজদারো ও হরপ্পা সভ্যতা, চীনের হোয়াংহো ও ইয়াংসি নদী সভ্যতা এবং মিশরীয়দের নীল নদের সভ্যতা। এর কারণ হিসেবে দেখা গেছে যে, প্রাচীন মানুষ প্রধানত যাতায়াতের সুবিধার্থেই নদীর তীরে বসতি গড়ে তুলেছিল। নদীর সুপেয় পানি এবং চাষাবাদের জন্য পানি- এ দুটো কারণ এক্ষেত্রে অগ্রণি ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়াও নদীর মাছ, পরিবহণ সুবিধা, আমদানি-রফতানি সুবিধা ইত্যাদি বিষয়গুলো মানুষকে নদী কেন্দ্রিক করে গড়ে তুলেছিল।

যে কোনো নদ-নদীর গঠনরূপ, পর্যায়, প্রকৃতি ও ক্রিয়াকাণ্ড নিয়তই বিবর্তনশীল। তাছাড়া নদ-নদীর এই নিরন্তর ছুটে চলার সঙ্গে মানুষ নিবিড়ভাবে একাত্ম হয়ে আছে। বেশির ভাগ নদ-নদীর জন্ম পাহাড়ে। তবে জন্ম যেখানেই হোক না কেন, সবার উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। ঘুরে ফিরে সাগরের কাছে ছুটে চলা। বাংলাদেশের অধিকাংশ নদ-নদীর উৎপত্তি হয়েছে ভারতে। একমাত্র ব্রহ্মপুত্র নদ এসেছে তিব্বত থেকে। এছাড়া বান্দরবান জেলার কিছু ছোট নদী মায়ানমার থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করেছে। উত্তরবঙ্গের দু-একটি ছোট নদী এসেছে ভূটান থেকে ভারত হয়ে। এজন্য আমাদের বড় বড় নদ-নদীর উৎস খুঁজতে হলে যেতে হবে ভারত ও তিব্বতে। যেহেতু, ভৌগোলিক কারণে দেখা যায় যে, বাংলাদেশ নদীর দেশ। তাই, বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। হাজার হাজার ফুট উঁচু পাহাড় থেকে তীব্র বেগে ধেয়ে আসা জলরাশিতে একধরনেরর প্রচণ্ড গতি সঞ্চারিত হয়। ছুটে আসা এই দ্রুতগতি সম্পন্ন জলস্রোত স্থলভাগ অতিক্রম করার সময় নদ-নদী নামে পরিচিত হয়। নদ-নদী যখন পাহাড়ি এলাকায় প্রবাহিত হয় তখন নদীর যৌবনাবস্থা। এ সময় সে ব্যাপক খনন কাজ চালায়। উৎপত্তিস্থল থেকে নুড়ি, বালি, পলি প্রভৃতি আহরণ করে অতি সহজে সমূদ্রে নিক্ষেপ করে। নদ-নদীগুলো এভাবেই আবহমান কাল ধরে পৃথিবীপৃষ্ঠকে ক্ষয় করে চলেছে। তাছাড়া, যখন দু-তিনটি স্রোতস্বিনীর মিলনে একটি নদীর সৃষ্টি হয়। কয়েকটি নদী মিলে একটি বড় নদী সৃষ্টি হয়। তখন বড় নদীতে এসে মিলিত হওয়া ছোট ছোট নদীগুলোকে বলে উপ-নদী । যা সাগর বা হৃদে এসে মিলিত হয়। সাগরের কাছে এসে পৌঁছালে তখন নদীর বৃদ্ধাবস্থা। তখন সেই  নদী একই ধারায় প্রবাহিত না হয়ে কয়েকটি ধারায় ভাগ হয়ে সাগরে পড়ে। এমন নদীগুলোকে শাখা নদী বলা হয়। শাখা নদীগুলো আবার প্রশাখায় বাঁক নেয়।

1. ভালোবাসা তোকে খুঁজে খুঁজে ,
এই হৃদয়টা বড়ই ক্লান্ত ,
ভালোবাসা তোকে ভেবে ভেবে …
হৃদয়টা এখন আর হয় না বিভ্রান্ত ।
ভালোবাসা তুই ভুলেছিস তোর শপথ ,
এই হৃদয়টা ভুলেছে ভালোবাসার জনপদ ।
কতো আনন্দের ধারা বয় এই ভুবনে ,
শুধু নীল কষ্টের বেদনা
গভীর হৃদয়ের নীল গগণে ।
ভালোবাসার কষ্টের এক নদী ।।

2. নির্জন টলমল জলভরা একটি নদী
বয়ে চলে নিরবধি ।
নদীর উপর নীল আকাশের ছায়া
তাইতো আকাশের প্রতি নদীর এতো মায়া ।
নদী ছুটে যায় কখনো ধুসুর মেঘলোকে ,
নীল আকশের প্রাণের মনোলকে ।
আকশের হরেক রঙ ,
ক্ষণে ক্ষণে রঙ বদলায় ,
কখনো আকাশ ফিরে আসে
নিজের রুপে ,
কখনো আকাশ ছায়া ফেলে ,
নদীর বুকে ,
আকাশ নিজেকে দেখে
—— নদীর চোখে ।।

3. আবুঝ হৃদয়ের …………
ভালোবাসার এক নদী
আমি চেয়েছি দিতে পাড়ি ,
ভালোবাসা শুধু তোকে ভালোবেসে ।
নোঙ্গর ছেঁড়া হৃদয় হতে
ভালোবাসা তুই এসেছিলি
হৃদয়ের জোয়ার স্রোতে ।
হৃদয় আকাশের ধুসর কালো মেঘ
হৃদয়ে জেগেছিলো আবেগ ,
দু’চোখে সেটা ঝিরঝিরিয়ে ভাসে
হৃদয়ের নীল আকাশে ।
ভালোবাসা তোর জন্য …দু’চোখ জ্বলেছে
মনটাও পুড়ে গেছে ।

4. আকাশের ও বুকে কখনো সাদা –
কালো মেঘে যায় ঢেকে ।
কখনো আবার দুঃখের ঝড় উঠে ,
কখনো আবার রোদেলা সূর্য হাসে ।
আকাশ যখন অঝোর ধারায় কাঁদে
আকাশের বেদনার মেঘগুলো ,
দুঃখের বৃষ্টি হয়ে
ঝরে পড়ে নদীর বুকে ।

5. আকাশ অঝর বৃষ্টির ধারা ছড়িয়ে দিয়ে
নদীর বুকে তুলে আলোড়ন ।
তাইতো নদী আকাশকে ভালোবেসে
নদীর বুকে বাঁধে ।
আকাশের ও কান্নায় …
নদীর বুকে বয়ে যায় বন্যায় ।
আকাশ তো বুঝে না
নদী ও যে আকাশকে ভালোবাসে ।

6. ভালোবাসা তুই বসন্তের কোকিল হয়ে
একদিন এই হৃদয়ে সুর ছড়িয়েছিলি ,
তাইতো আজ হৃদয়ের আঙ্গিনায়
ছড়িয়ে আছে তোরই ধূলিকণা ।
ভালোবাসা তোর জন্য …
এই হৃদয় হতে বের হয়
প্রচণ্ড কষ্টের অজস্র ঘাম ,
ভালোবাসা তুই দিলিনা
এই হৃদয়ের এতোটুকু দাম ।

7. আকাশের ও বুকে
কখনো রংধনু উঠে
কখনো নীলিমায় যায় ঢেকে,
কখনো আবার চাঁদ,
তারা ভাসে ,
দুরের ঐ রাতের আকাশে ।
আকাশ ও নদী
দুই দিগন্তে দুই জন
কেঁদে মরে আমরণ ,
নদীর ও যে ইচ্ছে জাগে
দূরের আকাশ টাকে ছুঁতে ।

8. ভালোবাসা তুই ছিলি হৃদয়ের বসন্ত বাতাস
আর আজ হেমন্তের ঝরা পাতা ।
হেমন্তের ঝরা পাতা ঝরে যায়
বিনিময়ে কিবা পায় ?
একটু ঠাই পায় ……
ভালোবাসার সবুজ পাতায় ।
ভালোবাসা তোর মিষ্টি কুয়াশায়
হৃদয় নদে তুলেছিলাম পাল ,
অবহেলায় ছেঁড়ে দিলি এই হৃদয়ের হাল ।

9. নদীর উপর আকাশের অনুরাগের ছায়া
তাইতো আকাশের প্রতি নদীর এতো মায়া ।
মায়ার হাওয়ায় , মায়ার ডানায় ,
নদীর বুকে যখন পড়ে
আকাশের নীল আলো
নদীর ও তো লেগেছিলো ভালো …।।

10. ভালোবাসা তোর জন্য ……
করেছি কতো আরাধনা
প্রভুর নিকট করেছি কতো প্রার্থনা ।
ভালোবাসা তোর জন্য ………
এই হৃদয়ে বয়েছিলো উষ্ণস্রোত
টগবগে রক্ত ধারা ।
কিন্তু আজ ধীর হয়ে গেছে
এই হৃদয়ের চোখের তারা ।
নিভে গেছে হৃদয়ের প্রদ্বীপ শিখা ।