চাঁদ নিয়ে স্ট্যাটাস – Moon Poem in Bengali

পথে চলতে মানুষ আকাশ দেখে না। সাঁইসাঁই গাড়ির গতি আর অজস্র বাতির মিছিলে চোখ সতর্ক থাকে। তখন চাঁদ দেখতে গেলে গাড়িচাপার ভয় থাকে। মূহুর্তের জন্য চট করে মাথা তুলে বড়োজোর একবার দু’বার তাকিয়ে নেয়া যায়; দেখা যায় না। তাকানোর মানে তো আর দেখা নয়।গ্রামের তুলনায় শহরে অনেক রাত অবধি জেগে থাকে মানুষ। গ্রামে রাত সাড়ে দশটা মানে তো গভীর রাত; শহরে তখন সন্ধ্যা মাত্র। তারপরও নাগরিক রাতেরপূর্ণিমার বঞ্চনা বেশি। যান্ত্রিক চোখ দিয়ে কাছে টেনে দেখলে বেশ বোঝা যায়, দৃশ্যমাণ বস্তু হিসেবে চাঁদ তেমন সুন্দর নয়। তবু চাঁদ আর জ্যোৎস্না নিয়ে এতো বন্দনা! চাঁদের জ্যোৎস্নারা নাকি গলে গলে পড়ে। আর ওই জ্যোৎস্নায় নাকি স্নান করা যায়। বয়স্ক বিচক্ষণ বলেন, “ধুর মিয়া! এইগুলান হইলো ভাবের ফাইজলামি…গাগলামি। চাঁদ কি সাইবেরিয়ার বরফ নাকি যে গইল্যা পড়বো?” তবু কেউ কেউ পূর্ণিমার চাঁদে বুঁদ হয়ে থাকে। গলা জ্যোৎস্নার ধারায় স্নান করে। পাগলামি বটে।

বাংলা চাঁদের কবিতা – Moon Poem

1.“আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে
আমার নয়ন দু’টি শুধুই তোমারে চাহে ব্যাথার বাদলে যায় ছেয়ে”।।

2.“এখনো আকাশে চাঁদ ওই জেগে আছে, যদি-গো আলো তার আসে নিভে
তবু জেনে গেছি তুমি আছো কাছে”।।

3.“ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলোনা, ও বাতাস আঁখি মেলো না
আমার প্রিয়া লজ্জা পেতে পারে……………”।।

4.“আকাশের ওই মিটিমিটি তারার সাথে কইবো কথা, নাই বা তুমি এলে
তোমার স্মৃতির পরশভরা অশ্রু নিয়ে গাঁথবো মালা, নাইবা তুমি এলে”।।

5.আমি পূর্ণিমা দেখবো বলে বসে আছি।
আমি কোন নভোচারী নই, যে চাঁদকে দেখে নিকট ভবিষ্যতের আবাস হিসেবে।
আমি কোন জ্যোতির্বিদ নই, যে চাঁদকে জানে একটি মৃত উপগ্রহ বলে।
আমি পুরনো ধাঁচের মানুষ, চাঁদকে দেখি পুরনো মানুষের মতোই,
যারা আকাশের দিকে তাকিয়ে।

6.অনাদিকাল ধরে শরীরে এক আশ্চর্য শিহরণ বোধ করে।
আমি সেই মানুষগুলোর একজন, যারা এখনো আকাশ দেখতে ভুলে যায় নি।
এখনো যারা রোমাঞ্চ খোঁজে জোছনায়, পূর্ণিমায়;
নক্ষত্রখচিত কালো আকাশে।

7.আমি একবিংশ শতাব্দীর মানুষ,
কিন্তু এখনো আমি কৃত্রিম আলোয় ডুবে যাই নি।
আর সবার মতো ফ্লোরোসেন্ট আলো আমাকে ভোলাতে পারে নি
আদিম সেই চন্দ্রালোকিত শিহরণের কথা।
প্রতি পূর্ণিমায় তাই আমি সব আলো নিভিয়ে দিই।

8.অমাবস্যা আমার কাছে অন্ধকার, অশুভ।
আমি অপেক্ষা করি সেই রাত্রিটির, যে রাত্রে শুভ্র গোল থালার মতো চাঁদ
জগৎকে ধুয়ে দেয়, স্নিগ্ধ পবিত্রতায় আচ্ছন্ন করে গোটা সৃষ্টিকে।
আমি ভালোবাসি চাঁদ, ভালোবাসি জোছনা।
ভালোবাসি স্নিগ্ধ কোমল আলোটিকে।

9.আজ পূর্ণিমা।
যেমনটি বলেছিলাম, তার চেয়েও সুন্দর আজকের জোছনা।
হয়তো বিগত সব জোছনাকে ছাপিয়ে গেছে তার সৌন্দর্য, তার তীব্রতা।
কিংবা কে জানে, অনেক অপেক্ষার পর এসেছে বলেই হয়তো … …

10.চাঁদের সাথে সখ্য গড়তে রাত জেগেছি বহু,দুরের চাঁদ দুরেই থাকে আপন হয়না কভু।

কৃষ্ণ পক্ষে ঘুমিয়ে থেকে শুক্লপক্ষে দেখি, নীল আকাশে বসে থাকে ঐচাঁদ একাকি।

কতবার জোৎস্নায় নেয়ে করেছি স্নান, কতবার ভেঙ্গেছি আমার আপন অভিমান।

আকাশের তাঁরাগুলো আজ দেবে সব প্রমান, কতটা রাত নির্ঘুম গেছে আছে তার আখ্যান।

চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে

চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে?

সেই অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি,
অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি,
আসবে কিনা সে ফিরে।

3. জোয়ার ভাটায় চাঁদ আসে চাঁদ যায়
আলো করে আঙ্গিনা সবার
আমি আছি ভরসায়, ঘোর অমানিশায়
কাটেনা কেন যে এই আধাঁর ?
ভালবাসা গুমড়ে কেঁদে মরে ,
চাঁদ তবু আসেনা আমার ঘরে।
ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে
সেই অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি
অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি
আসবে কিনা সে ফিরে।
চাঁদ কেন……

চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে,
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে?

সেই অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি,
অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি,
আসবে কিনা সে ফিরে।
ও ও ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে?
দিন যায় রাত যায়,বয়ে যায় সময়
ম্লান মুক্তার আজ ও সেই
চোখ চায় মন চায়,
তবু ভাঙ্গা হৃদয়
সবই আছে চাঁদ শুধু নেই।
মেঘেরা যদি গিয়েছ দুরে সরে ,
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে ?

জোয়ার ভাটায় চাঁদ আসে চাঁদ যায়
আলো করে আঙ্গিনা সবার
আমি আছি ভরসায়, ঘোর অমানিশায়
কাটেনা কেন যে এই আধাঁর ?
ভালবাসা গুমড়ে কেঁদে মরে ,
চাঁদ তবু আসেনা আমার ঘরে।
ও চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে
চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে
সেই অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি
অভিমানিনী আজ ও তো বলেনি
আসবে কিনা সে ফিরে।
চাঁদ কেন……