যীশুর বাণী – Jesus Christ Words

বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি আপনারা সকলেই ভালো আছেন। বন্ধুরা সামনেই বড়দিন মানে ২৫শে ডিসেম্বর অর্থাৎ ভগবান যীশুর জন্মদিন। আর তার নাম উৎসর্গ করেই আজকের কিছু লেখা। বন্ধুরা জগতে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তি রয়েছে। কেউ কেউ তাদের নিজেদের সমাজ, শহর বা দেশে সুপরিচিত। অন্যেরা সারা বিশ্বে পরিচিত। কিন্তু, কেবল বিখ্যাত কারো নাম জানা থাকলেই তা বোঝায় না যে, আপনি সত্যি সত্যি তাকে জানেন। এটা বোঝায় না যে, আপনি তার পটভূমি এবং ব্যক্তি হিসেবে তিনি কেমন, তা বিস্তারিতভাবে জানেন।

 সারা পৃথিবীর লোকেরা যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে কিছু-না-কিছু শুনেছে, যদিও তিনি প্রায় ২,০০০ বছর আগে পৃথিবীতে বেঁচে ছিলেন। তা সত্ত্বেও, যিশু আসলে কে ছিলেন, তা নিয়ে অনেকে বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছে। কেউ কেউ বলে যে, তিনি নিতান্তই একজন ভালো মানুষ ছিলেন। অন্যেরা দাবি করে যে, তিনি একজন ভাববাদী ছাড়া আর কিছুই ছিলেন না। আবার কেউ কেউ বিশ্বাস করে যে, যিশু হলেন ঈশ্বর এবং তাঁকে উপাসনা করা উচিত। আসলেই কি তাঁকে উপাসনা করা উচিত? আমরা কিন্তু কম বেশি সকলেই ভগবান যীশুর নাম শুনেছি আর কম বেশি জানিও তার সম্পর্কে। আমরা জেনে নেবো ভগবান যীশুর কিছু অমূল্য বাণী

যিশুখ্রিস্ট বাণী

1.ধন্য দীনহীনেরা কারণ ঈশ্বরের রাজ্যে তোমাদেরই।

2.ধন্য যারা ক্ষুদিত তারা পরিতৃপ্ত হবে।

3.ধন্য যারা রোদন করে তাদের মুখে হাঁসি ফুটবে।

4.শত্রুকেও ভালোবেসো ও তাদের মঙ্গোল কোরো।

5.ধার দিও ফেরত পাবার কথা না ভেবে, বিনিময়ে তুমি মহা পুরস্কার পাবে।

6.দয়ালু হু যেমন তোমার পিতাও দয়ালু।

7.অন্যের বিচার করো না তুমিও বিচারিত হবে না।

8.কাউকে দোষ  দিও না দেখবে তুমিও দোষী হবে না।

9.ক্ষমা করো তুমিও ক্ষমা পাবে।

10.দান করো প্রতিদানে তুমিও পাবে আর তুমি যেমন দেবে ঠিক ততখানি ফেরত পাবে।

11.এক অন্ধ আরেক অন্ধকে পথ দেখতে পারে না, সে চেষ্টা করলে দুজনেই গর্তে পড়বে।

12.ভাইয়ের চোখের কুটটা দেখতে পাও অথচ নিজের চোখের কড়িকাঠ নজরে আসে না।

13.এমন ছেলে যার সে মা কত সুখী, তার চেয়েও সুখী যে ঈশ্বরের বাক্য শুনে সেই মতো চলে।

14.যদি কেউ তোমার এক গালে চর মারে তাকে তুমি অন্য গাল পেতে দাও ।

15.যে তোমার চাদরটা নিয়ে নেয় তাকে তুমি তোমার জামাটাও দিয়ে দাও ।

16.কেউ ভিক্কা চাইলে তাকে কিছু দিও ।

17.কেউ তোমার কিছু জিনিস নিলে সেটাকে আর ফেরত চেও না ।

18.অন্যের কাছে যা আশা করো তাদের প্রতি তুমি তেমনি ব্যবহার করো ।

19.যারা তোমাকে ভালবাসে শুধু তাদেরকেই ভালবাসলে তোমার কৃত্বিত কোথায় বলো ? পাপীরাও তো তাই করে ।

20.আমি আছি তোমার সঙ্গেচিন্তা কেনো তোমার…একবার ডাকো ..দেখবে  সারা পাবে আমার ।

শেষ কথা 

ঈশ্বর আমাদের সৃষ্টি করেছেন কিন্তু তা সত্ত্বেও নিজেদের পাপী চরিত্রের জন্য আমরা তাঁকে জানতে পারি না এবং তাঁর থেকে আলাদা থাকি৷ ঈশ্বরকে ছাড়া আমাদের জীবনের কোনো অর্থ বা উদ্দেশ্য নেই৷ আমাদের পাপের পরিণতি  হল মৃত্যু, আধ্যাত্মিক এবং দৈহিক উভয় দিক থেকেই ৷ আধ্যাত্মিক মৃত্যুর অর্থ হল ঈশ্বরের কাছ থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া ৷ দৈহিক মৃত্যু হল শরীরের ক্ষয়প্রাপ্তি ৷ আমরা যদি পাপের ফলে মৃত্যু লাভ করি তবে আমরা চিরদিনের জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে পৃথক হয়ে যাব এবং আমাদের স্থান হবে নরকে ৷ আমরা কিভাবে নিজেদের পাপ থেকে রক্ষা করতে পারি ঈশ্বরের কাছে ফিরে যেতে পারি ? আমরা নিজেদের রক্ষা করতে পারি না কারণ একজন পাপী ব্যক্তির পক্ষে নিজেকে রক্ষা করা সম্ভব নয় (যেরকম একজন ডুবে যাওয়া মানুষ নিজেকে রক্ষা করতে পারে না) ৷ অন্যরাও আমাদেরকে রক্ষা করতে পারে না কারণ আমরা প্রত্যেকেই পাপী (একজন ডুবন্ত ব্যক্তি আর এক জন ডুবন্ত ব্যক্তিকে রক্ষা করতে পারে না কারণ দু’জনেরই সাহায্যের প্রয়োজন) ৷ আমাদের পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এমন কাউকে প্রয়োজন যিনি কিনা পাপ মুক্ত (ডুবন্ত নন) ৷ শুধুমাত্র একজন নিষ্পাপ ব্যক্তিই আমাদের রক্ষা করতে পারেন৷ এই পাপের পৃথিবীতে এমন কোনো ব্যক্তিকে কিভাবে খুঁজে পাওয়া যেখানে সবাই পাপী ৷