বাংলা জোকস – Bengali Jokes

বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি সবাই ভালোই আছেন। বন্ধুরা আমরা সবাই মানব জীবনে দুঃখ আর সুখ এই নিয়েই বেঁচে থাকি বা এইসব নিয়েই কিন্তু জীবন। কখনো কারোর মনে দুঃখ আসে আবার কখনো কারণ মনে সুখ আসে। টানবে একটা কথা আমরা সবাই জানি যে দুঃখ আসলে সুখ এক না একদিন আসবেই আর ঠিক তেমনি দুঃখও একদিন আপনার দরজায় করা নাড়বে। আমাদের বাংলায় এমন অনেক কথা বা অনেক জিনিস আছে যেটা আমাদের দুঃখ থেকে সুখে পরিণত করে থাকে, আবার এমন অনেক জিনিস আছে যেটা সুখের থেকে দুঃখে পরিণত করে থাকে। কিন্তু আমরা কেউই কখনোই দুঃখ কে চাই না সুখকেই চাই। আর সেটার কথা চিন্তা করে আজকে আমাদের এই বাংলা জোকসের কিছু ডোম ফাটানো হাসির সোমবার নিয়ে এসেছি আপনাদের কাছে। আর দেরি না করতে সরাসরি চলে যাবো বেশ কিছু  চটপটি ডোম ফাটানো হাসির ও বিভিন্ন ভালো ভালো জোকস নিয়ে।

1. গৃহ পরিচারিকার কাছে পল্টু আর সুমিকে রেখে বেড়াতে গেছেন ওদের বাবা-মা। গৃহ পরিচারিকাকে বাবার চেয়ারে বসতে দেখে চেঁচিয়ে উঠল সুমি, ‘তুমি আমার বাবার চেয়ারে বসলে কেন? ‘গৃহপরিচারিকা: বাবা তো এখন বাড়িতে নেই। তা ছাড়া এখানে আমিই সবচেয়ে বড়, সুতরাং আমিই তোমাদের বস। পল্টু: তাহলে তুমি মায়ের চেয়ারে বসো।

2. প্রত্যেকটা মানুষ দেখতে ততটা খারাপ নয়, যতটা তাঁকে আধার কার্ডে দেখায়, আর দেখতে ততটা ভালোও নয়, যতটা তাঁকে ফেসবুকে দেখায়….!!

3. ছেলেরা ততটা খারাপ নয়, যতটা তাঁর বৌ তাঁকে ভাবে, আর ততটা ভালোও নয়, যতটা তাঁর মা তাঁকে ভাবে…..!!

4. প্রত্যেক পুরুষ ভাবে তাঁর বৌ হবে “মিস ইউনিভার্স ” এর মতো সুন্দরী, আর তাঁর ব্যবহারটা হবে “কাজের মাসীর” মতো….!!

 5. প্রত্যেক নারী ভাবে তাঁর স্বামী রোজগার করবে “মুকেশ আম্বানীর” মতো, আর তাঁর ব্যবহারটা হবে “মনমোহন সিং” এর মতো…..!!

6. ম্যাজিস্ট্রেট : ২০ টাকা পকেট মারার জন্য তোমাকে একশ টাকা জরিমানা দেওয়া হল। পকেটমার : আমার কাছে মাত্র ২০ টাকা আছে, স্যার। বাকি টাকা এক্ষুনি এনে দিতে পারি, কিন্তু কিছুক্ষণের জন্য ছাড়তে হবে।

7. অপু এবং টুলি দুই বন্ধু একই অফিসে চাকরি করে। অপু: দোস্ত, কত দিন ধরে ছুটি পাই না। কাজ করতে করতে হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু বস তো কিছুতেই ছুটি দেবেন না। টুলি : হুমম্। আমিও হাঁপিয়ে উঠেছি। কিন্তু আমি বসের কাছ থেকে ছুটি নিতে পারব, দেখবি? বলেই টুলি টেবিলের ওপর উঠে দাঁড়াল এবং ছাদ থেকে বেরিয়ে আসা একটা রড ধরে ঝুলতে শুরু করল। কিছুক্ষণ পর বস এলেন। বস: এ কী টুলি ! তুমি ঝুলে আছ কেন? টুলি খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বলল, ‘স্যার আমি লাইট, তাই ঝুলে আছি।’ বস ভ্রূ কুঁচকে তাকালেন। কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, ‘অতিরিক্ত কাজের চাপে তোমার মস্তিষ্ক বিকৃতি দেখা দিচ্ছে। তুমি বরং এক সপ্তাহের ছুটি নাও।’ টুলি অপুর দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে রুম থেকে বিদায় নিল। অপু চেয়ে চেয়ে দেখল।টুলি বেরিয়ে যেতেই সেও টুলির  পিছু নিল। বস: সে কী! ছুটি তো ওকে দিয়েছি! তুমি কোথায় যাচ্ছ? অপু: কী আশ্চর্য! লাইট ছাড়া কাজ করব কী করে?!

8. বড় বাবু টেলিফোন ধরে শুনলেন , অন্য দিক খুব বয়স্ক একজন লোক কাঁপা কাঁপা গলায় বলছেন – মাফ করবেন আপনাদের অফিসের সুভাষকে একটু ডেকে দেবেন? কে বলেছেন ?- বড় বাবু জিজ্ঞেস করলেন আমি ওর ঠাকুদা বলছি – জবাব এলো বড় বাবু এবার গম্ভীর ভাবে বললেন- দুঃখিত সুভাষ আফিসে নেই । সে আপনাকে পোড়াতে গিয়েছে।

9. নতুন বছরের প্রথম দিন মালিক বলছেন চাকরকে, ‘গত বছর তুই বেশ ভালো কাজ করেছিস। এই নে ১০ হাজার টাকার চেক। এ বছর এমন ভালো কাজ দেখাতে পারলে আগামী বছর চেকে সই করে দেব!’

10. এক মহিলা শিব কে প্রার্থনায় খুশি করল শিব আমি খুশি হয়েছি বলো কি বর চাও মহিলা টি বললো আমার তিন টি বর চাই প্রভু শিব একটু চালাকি দেখালো শিব বললো, ভেবে দেখো তুমি যা চাইবে তোমার শাশুড়ি তার দশগুন পাবে শিব ভাবলো মহিলা ঠিক থতমত খাবে মহিলা বললো  আচ্ছা তাই হবে। শিব : বেশ তবে চাও

বর১: আমাকে অনেক সম্পত্তি দিন(শাশুড়ি দশ গুন পেল)

বর২:আমাকে অনেক সুন্দর করে দিন (শাশুড়ি দশগুণ সুন্দরী হয়ে গেল)

বর৩: আমাকে একটা ছোট্ট দেখে হার্ট এট্যাক দিন (শাশুড়ী হার্ট এট্যাক হয়ে মরে গেল), ব্যস তার পর আর কি এবার তো সব কিছু বউ এর শিব আজ ও ত্রিশূল নিয়ে ওই ব্যটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে যে বলেছিল মেয়েদের বুদ্ধি হাঁটুতে থাকে।????

শেষ কথা 

যদিও আমাদের এই জোকস গুলো সংগৃহিত হলেও আমার বিশ্বাস আপনাদের মনে অনেকটাই আনন্দ ও হাসিখুশি রাখবে। আর আপনাদের তো হাসি খুশি থাকতেই হবে নিজেকে ভালো রাখার জন্য। যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। আমরা চেষ্টা করবো আরও অনেক অনেক জোকস আপনাদের সাথে শেয়ার করে আপনাদের আনন্দ দিতে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আর অনেক হাসিখুশি থাকবেন। ধন্যবাদ।