জীবন আনন্দ পলিসি – Jeevan Anand Policy Details in Bengali

বন্ধুরা আজ আপনাদের সাথে এমন একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো যা জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপের জন্য অত্যন্ত জরুরি সেটা জীবনের সাথেও থাকবে আর জীবনের পরেও থাকবে। সেটা হলো জীবন আনন্দ পলিসি। গ্রাহকদের আর্থিক নিরপত্তা ও সর্বোচ্চ সেবা প্রদানে একইসঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ সঞ্চয় ও আজীবন বীমার সুবিধা দিচ্ছে এলআইসি বাংলাদেশ লিমিটেড’র নব জীবন আনন্দ পরিকল্প। এতে প্রিমিয়ামে ছাড়সহ রয়েছে বীমা অংকের ভিত্তিতে বিশেষ ছাড়। ৩ বছর পর ঋণ সুবিধা ছাড়াও  গ্রাহকদের দেয়া হচ্ছে নানান সুবিধা।

একইসঙ্গে মেয়াদ উত্তীর্ণ সঞ্চয় ও আজীবন বীমা সুবিধা

নব জীবন আনন্দ পরিকল্পের সম্পূর্ণ প্রিমিয়াম পরিশোধের পর অর্থাৎ মেয়াদ শেষে গ্রাহক তার জমাকৃত টাকার (বীমা অংক) সঙ্গে কোম্পানি ঘোষিত বোনাস ও চূড়ান্ত অতিরিক্ত বোনাস পাবেন। এছাড়া ৩ বছর নিয়মিত প্রিমিয়াম দেয়ার পর নিশ্চিত সমর্পন মূল্য পাওয়া যায়। অর্থাৎ ৩ বছর পর এই পলিসি সমর্পন করা যায়।

বীমা অংক ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি হলে প্রতি হাজারে ৩ টাকা ছাড় দেয়া হয় এ পলিসিতে। অর্থাৎ ১০ লাখ টাকা বীমা অংক হলে গ্রাহক পাবেন ৩ হাজার টাকা ছাড়। ৫ লাখ টাকা থেকে ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা বীমা অংকে হাজারে ২.৫ টাকা ছাড়। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকায় গ্রাহক পাবেন ১ হাজার ২৫০ টাকা ছাড়া। এছাড়া ২ লাখ টাকা বীমা অংকে হাজার প্রতি ১.৫ টাকা হিসাবে ৩০০ টাকা ছাড় পাবেন গ্রাহক। এই সীমা ৪ লাখ ৯৫ হাজার টাকা পর্যন্ত।

বাৎসরিক, ষান্মাসিক, ত্রৈমাসিক ও মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম পরিশোধ করা যায়। তবে বাৎসরিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম পরিশোধ করলে ২ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। অর্থাৎ ৫ লাখ টাকার একটি পলিসিতে গ্রাহককে প্রিমিয়াম দিতে হবে ৪ লাখ ৯০ হাজার টাকা। তাছাড়া ষান্মাসিক ভিত্তিতে প্রিমিয়াম পরিশোধেও ছাড় রয়েছে। এক্ষেত্রে ১ শতাংশ ছাড় পাওয়া যাবে। তবে ত্রৈমাসিক ও মাসিক মোডে কোন ছাড় নেই।

নব জীবন আনন্দ পলিসি মূলত লাভসহ বীমা পরিকল্প। এতে একইসঙ্গে এনডোওমেন্ট বা মেয়াদ উত্তীর্ণ সঞ্চয় ও আজীবন বীমা সুবিধা পাওয়া যায়। এই পরিকল্পে ৩ বছর প্রিমিয়াম প্রদানের পর গ্রাহককে ঋণ সুবিধা দেয়া হয়। এছাড়া কোন কারণে গ্রাহক প্রিমিয়াম প্রদান করতে না পারলে পরবর্তী দু’বছরের মধ্যে পলিসি পুনরায় চালু করা যায়। অর্থাৎ প্রিমিয়াম প্রদান বন্ধের দুই বছরের মধ্যে এই পলিসি পুনরায় চালুর সুযোগ রয়েছে।

পলিসি পূর্ণতা পাওয়ার আগে গ্রাহকের মৃত্যু হলে বোনাসসহ বীমা অংকের ১২৫ শতাংশ প্রদান করা হয়। যার পরিমাণ হবে বার্ষিক প্রিমিয়ামের নূন্যতম ১০ গুণ। আর পলিসি পূর্ণতার পর গ্রাহকের মৃত্যু হলে মেয়াদ উত্তীর্ণ সঞ্চয় প্রদানের পর আজীবন বীমার সুবিধা হিসেবে আবারও মূল বীমা অংকের সমপরিমাণ প্রদান করা হয়। ৭০ বছর বয়সের মধ্যে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু হলে বীমা অংকের দ্বিগুণ পাওয়া যাবে। কোন অবস্থাতেই মৃত্যু দাবির পরিমাণ প্রদত্ত প্রিমিয়ামের ১০৫ শতাংশের কম হবে না।

নব জীবন আনন্দ পরিকল্প গ্রহণের জন্য গ্রাহকের সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে শেষ জন্মদিন অনুসারে ১৮ বছর। আর সর্বোচ্চ বয়স ধরা হয়েছে নিকটতম জন্মদিন অনুসারে ৫০ বছর। এক্ষেত্রে ম্যাচুরিটির সর্বাধিক বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে নিকটতম জন্মদিন অনুসারে ৭৫ বছর।

১৫ থেকে ৩৫ বছর মেয়াদে এ প্লান নিতে পারবে গ্রাহক। এক্ষেত্রে ন্যুনতম বীমা অংক ১ লাখ টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার গুণিতকে নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে এর কোন সর্বাধিক সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। অর্থাৎ সর্বোচ্চ বীমা অংক যেকোন পরিমাণ হতে পারে।

শেষ কথা 

আমাদের জীবনে কম বেশি যাই আমাদের আর্থিক ইনকাম থাকুক না কোনো আমাদের কম বেশি বা ছোট হলেও আমাদের প্রত্যেকের বীমা করানো একজন বুদ্ধিমতীর বা বুদ্ধিমানের কাজ বা অনেক বড়ো কাজ।  সেটাতে শুধু আমরাই না আমাদের পরিবারও অনেক ক্ষেত্রে অনেক সুবিধে পেয়ে থাকে। ভালো ভাবে বাছুন জীবন বীমাকে সাথে নিয়ে বাঁচুন। ধন্যবাদ