আমরা অনেকেই অনেক রকম ধ্যান করে থাকি অনেক কারণে বা ধ্যান করলে আমাদের কি কি লাভ হয় সেটা আজকের আলোচনা। ধ্যান করলে শরীর মন ভালো থাকে। ধ্যান কি, কিভাবে করে, ধ্যান করার লাভ, ধ্যান কিভাবে করে বা করতে হয় এই যাবতীয় জিনিস আজ আমরা জানবো। মানুষের জীবনের সমস্ত রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা সাধারণত ১৬ থেকে ২৫ – এই কয়েক বছরের মধ্যে হয়। তখন একান্ত প্রয়োজনীয় হল পরিস্হিতির ধরন ও মাত্রা বুঝে বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে শেখা। যা পছন্দ হয়, যা বলা হয়, যা করা হয় সব কিছু চিন্তার চেয়ে দ্রুতগতিতে হয়। এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে এই অভিজ্ঞতার সঙ্গে আমাদের প্রথম সরাসরি পরিচয় হয়। আমাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা আমাদের ওপর সবচেয়ে বেশী প্রভাব ফেলে এবং তাদের কাছ থেকেই আমরা সবচেয়ে বেশী আনন্দ পাই। জীবনের এই পর্বে ধ্যান হল আমাদের সবচেয়ে ভাল ও শক্তিশালী বন্ধু।
- 1 ধ্যানের ভূমিকা
- 2 ধ্যানের গভীরে প্রবেশ করার ৬ টি সহজ সরল উপায়
ধ্যানের ভূমিকা
ধ্যানের জন্য প্রথম কাজ হল স্থিতি জেক আমরা শান্ত হতে হবে। ধ্যান করার সময় আপনি যেভাবে পারবেন বসবেন, ধ্যানের জন্য বসা তা খুউব দরকার। তবে এই বসাটা আরাম দায়ক ও নিরাপদ হতে হবে। আমরা মাটিতে, মেঝেতে বা চেয়ার এ বসেও ধ্যান করতে পারি। ধ্যান আমরা যেকোনো জাগায় করতে পারি যেখানে আমরা সুখদায়ী হবো বা থাকবো। আরাম করে বাবু হয়ে বসুন। দুহাতের আঙ্গুল গুলো একে ওপরের সাথে ঝুরে দিন। চোখ দুটো বন্ধ করুন। বাইরের আর ভিতরের আওয়াজ যাতে না শুনতে পাওয়া যায় বা সেদিকে কোনোরকম কান দেওয়া চলবে না। প্রথমে কোনো মন্ত্রের উচ্চারণ করবেন না পুরো মন ও শরীর কে ঢিলা ছেড়ে দিন। একদম ঢিলা। যখন আমরা পা দুটো মুড়ে নি আর আঙ্গুল গুলো একে ওপরের সাথে জুড়ে নি ঠিক তখনি একটা শক্তির দায়রা পরে যায় যেটা আমরা দেখতে পারি না। স্থিরতা বেড়ে যায়। আমাদের নিঃশ্বাস প্রশ্বাস এর ওপর ধ্যান দিতে হবে, আর আমরা এই নিঃশ্বাস প্রশ্বাস স্বাভাবিক ভাবে নেবো বা নিতে হবে। জোর করে আমরা নিঃশ্বাস প্রশ্বাস নেবো না তাতে ধ্যান করতে বাধা ও বিপত্তি আস্তে পারে বা ধ্যান বিভ্রাট হতে পারে। প্রাকৃতিক নিঃশ্বাস প্রশ্বাস এর ওপর ধ্যান দিন। এটাই নিয়ম। চলুন আমরা আবার জেনে নি ধ্যানের গভীরে প্রবেশ করার ৬ টি সহজ সরল উপায়।
ধ্যানের গভীরে প্রবেশ করার ৬ টি সহজ সরল উপায়
নীরবতার ধ্বনি শোনার অভ্যাস কর:
মনে কর তুমি ভোর বেলা ছাদে উঠে সূর্যোদয়ের সময় রক্তিম আকাশকে দেখছো আর তার সৌন্দর্যে সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়ে পড়েছ। তখন কি তোমার ভেতরে এক গভীর নীরবতা আর ওই সৌন্দর্যের সঙ্গে একাত্মতার অনুভব হয় না? সৌন্দর্য তোমাকে ভাষাহীন করে দেয়। মন একেবারে স্থির শান্ত হয়ে যায়। এর কারণ কি সেটা কি কখনও ভেবে দেখেছো? মৌন থাকলে অনেক কম ভাবনা মনে আসে আর মন স্থির হয়। বেশিরভাগ সময় যখন আমরা কথা বলি আমাদের মনও কথা বলে। আমাদের ইন্দ্রিয় তথ্য সংগ্রহ করে আর বিভিন্ন ভাবনায় মনকে ভরিয়ে তোলে। মনে অজস্র চিহ্ন এঁকে দেয়। নীরবতা ধ্যানের পরিপূরক। মৌন থাকলে তুমি সহজে ধ্যানের গভীরে যেতে পারবে। মৌনতা ও ধ্যান একসঙ্গে পাওয়ার সহজ উপায় হল (আর্ট অফ লিভিং –এর পার্ট টু প্রোগ্রাম ) এই পার্ট টু প্রোগাম বেঙ্গালুরু আশ্রমে প্রত্যেক সপ্তাহের শেষে নেওয়া হয়। হিতাংসী সচদেবের ভাষায় –“মাঝে মাঝে আমি অসংখ্য ভাবনার জালে আবদ্ধ হয়ে পড়ি। মৌন থাকলে ধীরে ধীরে সেই ভাবনা চলে যায় আর আমি ধ্যানের গভীরে যেতে পারি।”
শরীরকে যোগব্যায়ামের দ্বারা স্বাস্থ্যবান করে তোল
লক্ষ্য করে দেখেছ কি কোন কোন দিন তোমার ধ্যান করতে বসে অস্থির লাগে। ধ্যানের গভীরে যেতে পারনা। এর কারণ হল তোমার দীর্ঘ কর্মব্যস্ততা তোমার শরীরের মাংসপেশীকে অনমনীয় করে তুলেছে, তাই তুমি অস্থির হয়ে আছ। কিছু যোগাসন করলে এই অনমনীয় শরীর নমনীয় হয়ে উঠবে। তোমার মন স্থির হয়ে তোমাকে ধ্যানের গভীরে যেতে সাহায্য করবে।
ধ্যানের নির্ধারিত সময়
ধ্যানের গভীরে যাওয়ার আর একটি সূত্র হল ধ্যানের জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় রাখা ও সেই সময় রক্ষার বিষয়ে শৃঙ্খলাপরায়ণ হয়ে ওঠা। দিব্যা সচদেব বলেন – “আগে আমি বিভিন্ন সময়ে ধ্যান করতাম। কিন্তু গত কয়েক মাস ধরে আমি দুপুরে খাদ্যগ্রহণের আগে ধ্যান করছি। দেখছি এই একই সময়ে রোজ ধ্যান করলে ধ্যান খুব ভালো হচ্ছে আর খুব গভীর হচ্ছে।” লেখক: দিব্যা সচদেব (শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের বাণী এবং সহজ সমাধির শিক্ষক প্রিয়দর্শিনী হরিরামের কথার ভিত্তিতে লেখা)।
নিজেকে নিজে গান শেখাও
তোমার মনের উপর বিভিন্ন গান বিভিন্ন আবেগ সঞ্চার করে। আমদের শরীরের ৯০ শতাংশ কিম্বা তারও বেশি অংশ খালি জায়গা দিয়ে তৈরি। তাই শব্দের বিশেষ প্রভাব আছে আমাদের উপর৷ সৎসঙ্গে গান করলে আমাদের আবেগ শুদ্ধ হয় আর আমরা আমাদের ভেতরে একটা প্রসারণ লক্ষ্য করি। ক্ষুদ্র মনের সর্বদা কথা বলার অভ্যাস সৎসঙ্গে এসে শান্ত হয় আর আমাদের মনও স্থির হয়ে ধ্যানের গভীরে যেতে সাহায্য করে।
অন্যের মুখে হাসি ফোটাও
কাউকে যখন সাহায্য কর তখন কেমন লাগে? খুব তৃপ্ত মনে হয়না? তাছাড়া তোমার ভেতরে কি একটা আনন্দের ইতিবাচক শক্তির বিস্ফোরণ ঘটছে – এরকম মনে হয় কি? মনে হয় যে ভেতরটা প্রসারিত হয়ে উঠল – ছড়িয়ে গেল? এর কারণ যখন তুমি কারো মুখে হাসি আনো তখন তার কাছ থেকে ইতিবাচক স্পন্দন আর আশীর্বাদ, শুভকামনার তরঙ্গ তোমার কাছে ভেসে আসে। সেবা তোমার ভেতরে কিছু ভালো গুণ সঞ্চিত করে। এই গুণ তোমাকে তোমার ধ্যানের গভীরে যেতে সাহায্য করে। শিল্পী মদনের ভাষায় – “আমি যখন সেবা করি তখন সরাসরি উপকার পাই। আমার মন তৃপ্তিতে সুখে আর শান্তিতে ভরে ওঠে। এই তৃপ্তি আর শান্তি আমাকে ধ্যানের গভীরে নিয়ে যায়।”
খাবারের বিষয়ে যত্নবান হও
তুমি আগে আমিষ খাবার খেয়ে, তৈলাক্ত, ভাজা খাবার খেয়ে ধ্যান করতে, আর এখন হাল্কা সাত্ত্বিক খাদ্য গ্রহণ করে ধ্যানে বস – এই দুই ধ্যানের মধ্যে কোনো পার্থক্য কি বুঝতে পার? এর কারণ মনের ওপর খাদ্যের সরাসরি প্রভাব আছে।যে ধ্যান করে তার পক্ষে আদর্শ খাদ্য হল শস্য, সবুজ তাজা শব্জি, তাজা ফল, স্যালাড, স্যুপ ইত্যাদি। সহজপাচ্য হাল্কা খাবার প্রাণশক্তিকে উচ্চস্তরে উন্নীত করে।
যুব সম্প্রদায়ের জন্য সাতটি ধ্যান মন্ত্র
1. তোমার স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত কর
“আমি গায়ক হতে চেয়েছিলাম; আমার উচ্চাকাঙ্খা ছিল কিন্তু নিজের সামর্থ্যের উপর সংশয় ছিল। নিয়মিত ধ্যান করার ফলে আমার আত্মবিশ্বাস জাগল যে আমি তা করতে পারি । আজ আমি একটা ব্যান্ডের সাথে যুক্ত, প্রায় প্রতি সপ্তাহে আমাদের অনুষ্ঠান থাকে।” সজল জাজু নবীন প্রজন্ম হিসাবে আমাদের স্বপ্ন আর লক্ষ্য আকাশ ছুঁতে চায়। ধ্যান আমাদের সেই শক্তি ও আত্মবিশ্বাসের অধিকারী করে যার দ্বারা আমরা স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সক্ষম হই।
2. বাবা মায়ের সাথে শান্তিপূর্ণ অবস্হান তৈরি কর
“ধ্যান আমাকে বাবা-মায়ের সাথে অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক স্হাপনে সাহায্য করেছে, এখন আমরা নিজেদের মধ্যে সবরকম আনন্দ ও সমস্যা ভাগাভাগি করে নিতে পারি, একই সঙ্গে ধ্যান করার জন্য আমাদের সম্পর্ক এক বিশেষ মাত্রা পেয়েছে।” অভিষেক দাওয়ার যখন ধ্যান করি তখন শান্ত হয়ে কুশলতার সঙ্গে আমরা আমাদের বাবা-মায়ের সাথে আদান-প্রদান করতে পারি, যার ফলে আমাদের মধ্যে দূরত্ব কমে যায়। ধ্যান আমাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও বেশী সচেতন ও দক্ষ করে তোলে। যার ফলে নিজেদের ইচ্ছা ও বাবা-মায়ের উপদেশ – এই দুয়ের মধ্যে আমরা সামঞ্জস্য রেখে চলতে পারি। শ্রী শ্রী রবিশঙ্করের জ্ঞানের বাণী দ্বারা অনুপ্রাণিত শ্রেয়া চুঘ ও রাজেন্দ্র সিংয়ের তথ্যের ভিওিতে লিখিত। শ্রেয়া ও রাজেন্দ্র বিশ্ব জুড়ে আর্ট অফ লিভিং যুব কার্যক্রমের প্রধান প্রশিক্ষক যারা ধ্যানের প্রক্রিয়ার শিক্ষাদানের মাধ্যমে হাজার হাজার যুবার জীবনে রূপান্তর ঘটিয়েছেন।
3. কিছুই তোমায় নাড়া দিতে পারে না
আগে আমি আমার জীবনে অপ্রীতিকর পরিস্হিতিতে ও অন্যের ব্যবহারে বিব্রত হয়ে পরতাম, কিন্তু নিয়মিত ধ্যান করে এখন আমার সামনে যাই আসুক, আমি সহজে মেনে নিতে পারি। যুবাবয়সে আমরা প্রায়ই অপ্রীতিকর পরিস্হিতির দ্বারা বিব্রত হই। এই ধরনের সমস্যায় কখনও কখনও আমরা ভীষণভাবে ভেঙ্গে পরি। ধ্যান আমাদের ভিতরে শক্তি আনে এবং মেনে নেবার ক্ষমতা জোগায় যা শান্ত মনে কঠিন পরিস্হিতির মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আমাদের দায়িত্ববোধ অনেক বেড়ে যায় এবং উন্নততর একজন মানুষ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আমরা বৃষ্টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না, কিন্তু সঙ্গে ছাতা থাকলে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারি। সমস্যাসঙ্কুল সময়ে ধ্যান ছাতার কাজ করে।
4. ধ্যানের সুখে ভাস
“আমি সাত বছর ধরে ‘চেইন স্মোকার’ ছিলাম। আমার এক বন্ধু ধ্যান শেখার পরামর্শ দেন।‘সহজ সমাধি ধ্যান’ নিয়মিত অভ্যাসের দ্বারা আমি সম্পূর্ণভাবে ধূমপান ছেড়ে দিতে পেরেছি। রোজ ধ্যানের পর আমার সেই সুখানুভূতি হয় যা আগে ধূমপান করার পর অনুভব করতাম।”- অরিজিৎ সিং ধ্যান ধূমপানের স্হায়ী বিকল্প যা ধূমপান কমাতে এবং ছাড়তে সাহায্য করে। সজাগতা ও স্বাস্থ্য নষ্ট না করে প্রবল সুখানুভূতির এক স্বাভাবিক উপায় হল ধ্যান। ধূমপান, মদ্যপান বা অন্য কোনো নেশার অভ্যাস থেকে ধ্যান মনকে মুক্ত করে। অতএব ধূমপান বন্ধ কর এবং বাঁচা শুরু কর।
5. তোমার শক্তিকে একমুখী কর
যখন থেকে আপনি ধ্যান অভ্যাস করা শুরু করবেন, সারাদিন ধরে অনেক বেশী উৎসাহ ও শক্তি পাবেন । আরো বেশী সৃজনশীল কাজ এবং কিছু সেবামূলক কাজও করতে পারবেন । সাক্ষী বর্মা যৌবনে আমরা শক্তি, উৎসাহ ও সৃজনশীলতার একটি সাগর। ধ্যানের দ্বারা আমরা নিজেদের শক্তিকে আবিষ্কার করি। আমরা আরও সক্রিয় হই। নতুন কিছু করার জন্য উন্নত বুদ্ধিসম্পন্ন হয়ে উঠি এবং সৃষ্টিধর্মী ও ইতিবাচক কাজের দিকে আমাদের শক্তিকে একমুখী করে তুলতে সক্ষম হই।
6. গণ্ডীর বাইরে বেরিয়ে এসো
“নিয়মিত ধ্যান অভ্যাসের দ্বারা আমি নিজের মধ্যে নতুন প্রতিভা আবিষ্কার করেছি। আমার নিজের সৃজনশীল ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গন্ডীর বাইরে বেরিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পারি। এখন আমি যা কিছুই করি,ধ্যানের জন্য তাতে এক বিশেষ মাত্রা যোগ হয়।”- দিব্যা সচদেব। যখন আমরা মোবাইল মার্টে যাই এমন কিছু পছন্দ করি যা সাধারণ চলতি মোবাইলের চেয়ে সবদিক থেকে আকর্ষণীয়। যখন আমরা ধ্যান করি, আমাদের সৃজনশীলতা জাগ্রত হয় এবং আমরা নতুন কিছু, আলাদা কিছু ভাবতে পারি আর সহজেই নিজের জন্য একটি যথাযোগ্য স্হান তৈরী করতে পারে।
7. অমায়িক হও
“আমি ভীষণ আক্রমণাত্মক এবং ডানপিটে স্বভাবের ছিলাম, প্রায়্ই কলেজে মারপিট করতাম, আমার কোনো বন্ধু ছিল না। নিজেকে কিভাবে সাহায্য করব সে বিষয়ে আমার কোন ধারণা ছিল না; ধ্যান করে আমি শান্ত হয়েছি। এখন আমার অনেক বন্ধু যাদের জন্য আমি ভাবি এবং আমার মধ্যে হিংসাত্মক, আক্রমণাত্মক মনোভাব আর নেই।”- রাজেশ নায়ার প্রকৃতিগতভাবে প্রত্যেকে বন্ধুভাবাপন্ন হয়। যদি আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপরায়ণতা না থাকে, তবে তার কারণ হল মানসিক চাপ। ধ্যান মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে এবং আমাদের মধ্যে সুপ্ত সম্ভাবনাকে সম্পূর্ণভাবে বিকশিত হতে সহায়তা করে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক তৈরী করা ও বজায় রাখা।
শেষ কথা
আমাদের মানব জাতির জীবনে ধ্যান টা একটা খুব জরুরি একটা জিনিস। তার কারণ হল সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অর্থাৎ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর থেকে সেই রাত এ ঘুমোনোর আগে পর্যন্ত আমরা যে সকল ধকলের মধ্যে দিয়ে যায় সেগুলোকে আয়ত্তে আনার জন্য বা মনকে শান্ত রাকার জন্য আমাদের ধ্যানের খুব প্রয়োজন। আমাদের মন, শরীর, বুদ্ধি বিদ্যা ইত্যাদি তরতাজা রাখার জন্য ধ্যান একটা কৌশল বলা যেতে পারে। হ্যা বন্ধুরা একথা সত্যি যদি প্রত্যেক দিন আপনি ১০ মিন করে ধ্যান করে থাকেন বা আপনার সময়সীমানুযায়ী প্রত্যেকদিন যদি ধ্যান করে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনার প্রত্যেক কাজ কত ভালো ভাবে সফল হয় আর আপনার মন কত তরতাজা থাকে। ধ্যান করার কৌশল বা ধ্যান কি কি ভাবে করা যায় বা ধ্যান কিভাবে করতে হয় সেটা ওপরের লেখাতে আছে। তোমরা ধ্যান করতে চাইলে ভালো করে লেখাটা পরে চালু করে দাও ধ্যান করা। ধ্যান করো আর ভালো থাকো। আর অপরকেও সাহায্য করো ধ্যান করার জন্য। ভালো থাকবেন।
লেখক – শান্তনু পাল