কন্যাশ্রী প্রকল্প রচনা – Kanyashree Prakalpa Paragraph Writing

কন্যাশ্রী প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারকে নগদ সহায়তার মাধ্যমে মেয়েদের জীবন ও অবস্থার উন্নয়নে পশ্চিমবঙ্গের সরকার কর্তৃক গৃহীত একটি উদ্যোগ, যাতে অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে কন পরিবার আঠার বছর আগে তাদের মেয়ে সন্তানের বিয়ের ব্যবস্থা না করে। এই প্রকল্পের অন্যতম অভিপ্রায় হল, আর্থিক ভাবে পিছিয়ে থাকা গরিব ও দুস্থ মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার জন্য তুলে আনা। এই প্রকল্প তার নক্সা ও সুশাসনের বৈশিষ্ট্যের জন্য একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে। সমগ্র রাজ্য জুড়ে এই প্রকল্পটি উন্নীত করার জন্য ১৪ই আগস্ট কন্যাশ্রী দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়। ১৪ই আগস্ট,২০১৩ তারিখে রাজ্যের ব্যাপক অনুষ্ঠানগুলি প্রকল্পটি প্রচারের জন্য অনুষ্ঠিত হয়। কলকাতায় এই অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সভাপতিত্ব করেন। জেলাগুলিতে সরকার দ্বারা সচেতনতা প্রচারের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের সিলেবাসে পাঠ্য হিসেবে আগেই এসেছে কন্যাশ্রী প্রকল্প। এবার উচ্চমাধ্যমিকের বিভিন্ন বিষয়ের প্রজেক্টে অন্যতম বিষয় হিসেবে যুক্ত হল কন্যাশ্রী প্রকল্প। বুধবার এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ।

কন্যাশ্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের প্রকল্প। এই প্রকল্পের আওতায় এখন আর শুধু স্কুল এবং কলেজের ছাত্রীরাই নেই, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরেই বিশ্বজয় করেছে এই প্রকল্প। আন্তর্জাতিক সম্মান পেয়েছে কন্যাশ্রী। তারপরই প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের পাঠ্যক্রমে পাঠ্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে কন্যাশ্রীর এই বিশ্বজয়ের কাহিনী। উচ্চমাধ্যমিকের সিলেবাসেও এই প্রকল্পকে অন্তর্ভুক্ত করার ব্যাপারে সিলেবাস কমিটির সঙ্গে সংসদের আলোচনা হয়। ঠিক হয়, প্রজেক্টের অন্যতম বিষয় হিসেবে কন্যাশ্রীকে আনা হবে। সেইমতো এদিন নির্দেশিকা জারি করেছে সংসদ। তাতে বলা হয়েছে, দ্বাদশ শ্রেণিতে স্বাস্থ্য ও শারীরশিক্ষা, বাংলা,  অর্থনীতি, জার্নালিজম এবং মাস কমিউনিকেশন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, শিক্ষা ও সমাজবিজ্ঞান— এই বিষয়গুলির পড়ুয়ারা ২০ নম্বরের প্রজেক্ট হিসেবে কন্যাশ্রী প্রকল্প নিতে পারে। প্রজেক্টে কী করতে হবে তার ১০টি বিষয়ও দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কন্যাশ্রীদের আত্মরক্ষমূলক প্রকল্প কীভাবে ছাত্রীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলেছে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বিষয়ে প্রতিবেদন, উচ্চমাধ্যমিক স্তরের ছাত্রীদের ব্যক্তিত্ব গঠনে কন্যাশ্রীর ভূমিকা, ‘‌কন্যাশ্রী এখন বিশ্বশ্রী’‌— তুমি কীভাবে তাতে শামিল হতে চাও এবং অন্যদের উদ্বুদ্ধ করতে চাও, নারীদের ক্ষমতায়নে কন্যাশ্রীর গুরুত্ব, কন্যাশ্রীর কারণে বাল্যবিবাহ সম্পর্কে কীভাবে সচেতনতা গড়ে উঠেছে ইত্যাদির ওপর প্রতিবেদন।‌

‘‌কন্যাশ্রী’‌র স্বীকৃতি এবার পাঠ্যবইয়ে।রাষ্ট্রপুঞ্জের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির স্বপ্নের প্রকল্প ‘‌কন্যাশ্রী’‌ পেয়েছে স্বীকৃতি। সেই ঐতিহাসিক, আনন্দময় ঘটনাটি এবার অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে স্কুলের পাঠ্যবইয়ে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে রাজ্যের প্রতিটি স্কুলের পড়ুয়া বিশ্বের দরবারে ‘‌কন্যাশ্রী’র সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার ঘটনাটি পড়বে পাঠ্যক্রমে। জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি। তিনি বলেন, ‘‌রাষ্ট্রপুঞ্জে কন্যাশ্রীর এই সাফল্য অবিস্মরণীয় কৃতিত্ব। ইতিমধ্যেই পাঠ্যবইয়ে ‘‌কন্যাশ্রী’র উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের এই বিশ্বজয়ের কাহিনী, মুখ্যমন্ত্রীর পুরস্কার গ্রহণের সংবাদ সংযুক্ত করা হবে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সমাজে কন্যাশ্রী প্রকল্পের অবদান ও স্বীকৃতি যেন মনে রাখতে পারে।’‌ এখন চতুর্থ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত এবং একাদশ শ্রেণীতে কন্যাশ্রী প্রকল্পটি পড়ানো হয়। অষ্টম শ্রেণীতে বাংলার রচনা হিসেবেও আছে কন্যাশ্রী। পড়ানো হয় কন্যাশ্রী কবিতা, কন্যাশ্রী প্রকল্পের কারণে উপকৃত হয়েছে এমন মেয়েদের গল্প, ছবি। সিলেবাস কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, ‘‌কন্যাশ্রী প্রকল্পের এই সম্মান বিরল সম্মান। মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে কন্যাশ্রী বিশ্বের দরবারে স্বীকৃতি পেয়েছে। যথাযথ গুরুত্ব দিয়েই কন্যাশ্রীর এই বিশ্বজয় পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।’‌ যে শ্রেণীতে কন্যাশ্রী পড়ানো হয় সেখানে তো বটেই, এছাড়া অন্য কোথাও পাঠ্য হিসেবে কন্যাশ্রী প্রকল্প এবং বিশ্বজয় আনা যায় কিনা, গেলে কীভাবে, ইত্যাদি বিষয় খতিয়ে দেখতে বুধবার আলোচনায় বসতে চলেছে সিলেবাস কমিটি। অভীকবাবু বলেন, ‘‌ইংরেজি বইয়ে কন্যাশ্রীকে কীভাবে আনা যায়, আনলে কোন শ্রেণী থেকে তা নিয়েও আলোচনা হবে।’‌

২৩ জুন নেদারল্যান্ডসে রাষ্ট্রপুঞ্জের জন পরিষেবা দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে সম্মানিত করা হয় বাংলার এই প্রকল্পকে। এই প্রকল্প যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত সেই মমতা ব্যানার্জির হাতেই কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য পুরস্কার তুলে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ। ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্প নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। তার মধ্যে প্রথম হয় কন্যাশ্রী। এরপরই কন্যাশ্রীর স্বীকৃতিকে স্কুল পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সিলেবাস কমিটির কাছে প্রস্তাব দেয় রাজ্য৷ নাবালিকা কন্যাদের পড়াশোনা থামিয়ে বিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বন্ধ করার উদ্দেশ্যেই মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে শুরু হয়েছিল এই প্রকল্প। এই প্রকল্পের কারণেই স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে ৫৬ শতাংশ। কম বয়সে বিয়ে দেওয়ার সংখ্যা কমেছে ৩৩ শতাংশ। ৪০ লক্ষ ৩১ হাজার ছাত্রী এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছে। যাদের পরিবারের বার্ষিক আয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম, সেই পরিবারের মেয়েদের কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় বৃত্তি দেয় রাজ্য সরকার৷ রাজ্যের স্কুলগুলির মাধ্যমে সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীদের নাম সরকারি এই প্রকল্পে নথিভুক্ত করা হয়৷ ১৮ বছর হওয়ার পর স্কুলের গণ্ডি পেরোলে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার জন্য সরকারের তরফে এককালীন ২৫ হাজার টাকা অথবা বার্ষিক ৫০০ টাকা দেওয়া হয়৷ গড়ে প্রতি বছর ১৮ লক্ষ ছাত্রী বার্ষিক স্কলারশিপ ও ৩.৫ লাখ পড়ুয়া এককালীন বৃত্তি পায়৷‌‌‌

মমতার সাধের ‘কন্যাশ্রী’র দৌলতে বাংলা আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন দখল করেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্প রাষ্ট্রসঙ্ঘের বিচারে ৬৩টি দেশের ৫৫২টি প্রকল্পকে পিছনে ফেলে বাংলাকে এনে দিয়েছে সেরার সম্মান। যা ২০১৭ সালে বাংলা কাছে একটা বড় পাওনা। অবশ্যই বাংলাকে এই সম্মান এনে দেওয়ার নেপথ্য কারিগর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর কেরামতিতেই বিশ্বের দরবারে বাজিমাত করেছে বাংলা। দেশকেও উচ্চাসনে তুলে ধরেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি কন্যাশ্রীকে পৌঁছে দিয়েছেন স্কুলপাঠ্য, স্কুল থেকে তা উন্নীত হয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে। এমনকী মমতার কন্যাশ্রীর জনপ্রিয়তা তা পৌঁছে গিয়েছে বিনোদনের জগতেও। দেড়ঘণ্টার চিত্রনাট্যে তা স্থান করে নিয়েছে যাত্রাপালাতেও।

৬২টি দেশকে হারিয়ে ‘বিশ্বসেরা’ কন্যাশ্রী

রাজ্যে কন্যাশ্রী প্রকল্পের সফল রূপায়ণে মেয়েদের মধ্যে শিক্ষার হার বেড়েছে বহুগুণ। নারী শিক্ষায় প্রভূত উৎসাহ এসেছে। কন্যাশ্রী প্রকল্পের সবথেকে বড় সাফল্য হল নাবালিকা বিয়ে রোখা। এই প্রকল্প চালুর পর স্কুলছুটের সংখ্যাও অদ্ভুতভাবে কমেছে। প্রায় ৪০ লক্ষ স্কুলপড়ুয়াকে স্কলারশিপের সুবিধা দেওয়া থেকে পুস্তিকা আকারে ভিন দেশের প্রতিনিধিদের হাতে কন্যাশ্রীর যাবতীয় পরিসংখ্যান তুলে ধরতেই বাজিমাত, ৬২টি দেশকে হারিয়ে ৫৫২টি প্রকল্পের মধ্যে সেরার শিরোপা উঠল কন্যাশ্রীর মাথায়।

‘হেগে’র মঞ্চে বাজিমাত মমতার ‘কন্যাশ্রী’র

নেদারল্যান্ডের দ্য হেগের মঞ্চে সেরা প্রকল্প হিসেবে ঘোষিত হয় কন্যাশ্রীর নাম। মঞ্চে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকার পর বাকিটা ইতিহাস। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে সম্মানিত হলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে মমতা বললেন, ‘কথা নয়, কাজ করাটাই প্রধান দায়িত্ব হিসেবে মনে করেছি। আরও দায়িত্ব বেড়ে গেল।’ মানুষ আর সমাজের উন্নয়নের স্বার্থে সাধারণের সমস্যার সমাধানকেই সবথেকে গুরুত্ব দিতেই এই ‘কন্যাশ্রী’র বাস্তবায়ন। আর তাতেই সাফল্য। আজ মমতার প্রকল্পিত এই ‘কন্যাশ্রী’ অনেক দেশেই আদর্শ।

নারী শিক্ষার প্রসারে ‘কন্যাশ্রী’কে কুর্নিশ

রাষ্ট্রসঙ্ঘের জন-পরিষেবা সম্মেলনে সেরার শিরোপা বাংলার মাথায় উঠেছে। বিশ্বের দরবারে এই জন পরিষেবার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তাস হিসেবে ব্যবহার করেছিলেন ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পকে। নারীশিক্ষার হার বাড়ানোর পাশাপাশি নাবালিকা বিয়ে ঠেকানো ও স্কুলছুটের সংখ্যা কমানো ছিল মূল উদ্দেশ্য। ছ’বছরে ৪০ লক্ষ স্কুলপড়ুয়াকে কন্যাশ্রীর স্কলারশিপের সুবিধা তুলে দেওয়া হয়। মমতার দেওয়া পুস্তিকা আকারে কন্যাশ্রীর পরিসংখ্যান পাওয়ার পর, তার ধারেকাছে আর কোনও প্রকল্প যায়নি। বিশ্বের কুর্নিশ আদায় করে নিল ‘কন্যাশ্রী’।

সিঙ্গুরের পর পাঠ্যপুস্তকে ‘কন্যাশ্রী’ও

সিঙ্গুরের কৃষক আন্দোলনের পর পাঠ্যপুস্তকে জায়গা পাওয়া পাকা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের কন্যাশ্রীর। বিশ্বের দরবারে সেরার স্বীকৃতি মেলার পর কন্যাশ্রী এবার পাকাপাকিভাবে মলাটবন্দি হতে চলেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের মঞ্চে ‘কন্যাশ্রী’ যে সেরার সম্মান এনে দিয়েছিল বাংলাকে, সেই ইতিহাস রাজ্যের পড়ুয়ারা পড়বে তাদের পাঠ্যপুস্তকেই। এতদিন বাংলার নারীশিক্ষায় আলো জ্বালিয়ে এসেছে ‘কন্যাশ্রী’। এই একটি প্রকল্পকে ঘিরেই আমূল পরিবর্তন এসেছে নারীশিক্ষায়। স্কুলছুটের সংখ্যা কমেছে। বাল্যবিবাহের হার কমানো সম্ভব হয়েছে, মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিকে ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ‘কন্যাশ্রী’র সাফল্যেই।

বিশ্বশ্রী’ হয়ে ‘কন্যাশ্রী’ অবশ্য পাঠ্য

রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতিতে ‘কন্যাশ্রী’ এখন ‘বিশ্বশ্রী’তে রূপান্তরিত হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের সেই কন্যাশ্রীকে পাঠ্যপুস্তকে জায়গা করে দেওয়ার পরিকল্পনা আগেই নিয়েছিল সিলেবাস কমিটি। বিশ্বসেরার স্বীকৃতি আসার পর স্কুলের সমস্ত ক্লাসেই পড়া বাধ্যতামূলক হল কন্যাশ্রীর স্বীকৃতি। সিলেবাস কমিটি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, মাধ্যমিকস্তর পর্যন্ত কন্যাশ্রী প্রকল্পটি পাঠ্যপুস্তকে ছিল। এবার সেই পাঠ্যের সঙ্গে যুক্ত হবে কন্যাশ্রীর স্বীকৃতির অংশটুকু। যে শ্রেণির পাঠ্যে নেই কন্যাশ্রী, সেই শ্রেণিতেও কন্যাশ্রীর স্বীকৃতি পাঠ্যসূচিতে যুক্ত হবে। কন্যাশ্রী কী, কী তার উপযোগিতা, কেন সেরা প্রকল্প হল- যাবতীয় বিষয় উল্লেখ থাকবে এই পাঠ্যে।

কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ও ‘কন্যাশ্রী’র আওতায়

আর শুধু স্কুলে সীমাবদ্ধ নয় কন্যাশ্রী। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও কন্যাশ্রীর আওতাভুক্ত হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে। কন্যাশ্রীকে রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় আরও বড় আকারে নিয়ে আসার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নজরুল মঞ্চে শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি ঘোষণা করেন। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে মান্যতা দিতে তৎপর হয় শিক্ষা দফতর। কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়কেও ‘কন্যাশ্রী’র আওতায় আনার কাজ চলছে। দেড়ঘণ্টার চিত্রনাট্যে ‘কন্যাশ্রী’ এবার যাত্রাপালায় বিশ্বসেরার স্বীকৃতি মেলার পর কন্যাশ্রীকে প্রচারের আলোয় তুলে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয় রাজ্যজুড়ে। তাই বাংলার যাত্রাপালাতেও জায়গা করে নেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাধের ‘কন্যাশ্রী’। নাটকের মোড়কে এবার বাংলার ‘কন্যাশ্রী’কে প্রচারের আলোয় আনার পরিকল্পনা পশ্চিমবঙ্গ যাত্রা অ্যাকাডেমির সৌজন্যে। এতদিন কেন্দ্রের বেটি বাঁচাও কর্মসূচি সেভাবে প্রচার পেয়েছে, তার সিকি শতাংশ প্রচারও পায়নি বাংলার কন্যাশ্রী। তবু বিশ্বের তাবড় তাবড় দেশের জনসেবামূলক প্রকল্পকে হারিয়ে বাংলার কন্যাশ্রী হয়ে উঠেছে সর্বোত্তম। বিশ্বজয়ের স্মারক নিয়ে বাংলায় ফেরার পর থেকেই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ‘কন্যাশ্রী’ একের পর এক ‘মাইল ফলক’ ছুঁয়ে স্থান করে নিল যাত্রাপালাতেও। 

স্বাধীনতা দিবসে বাতিল ‘কন্যাশ্রী’ই সেরার আসনে

একটা সময় কন্যাশ্রীর ট্যাবলো স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ থেকে বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। সেই কন্যাশ্রীই বিশ্বের দরবার থেকে সেরার শিরোপা অর্জন করে নিয়ে এসেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই সুযোগ কিছুতেই হাতছাড়া করতে চাইছেন না। তিনি কন্যাশ্রীকে ঘিরেই বড়সড় প্রচারে নামার পরিকল্পনা নিয়েছেন। আর সেই প্রচার কাজে শিক্ষা দফতরের পাশাপাশি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পেয়ে গিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ্ যাত্রা অ্যাকাডেমিকেও।

শেষ কথা 

আমরা সত্যি গর্ভ বোধ করি যে বিশ্বের সেরা জায়গায় আমাদের ভারত বর্ষের পসিসচিম্বঙ্গ নাম করেছে এই প্রকল্পের যার নাম কন্যাশ্রী। আজকের এই প্রকল্পের জন্য অনেক মায়ের মুখে হাসি ফুটেছে, হাসি ফুটেছে অনেক মেয়ের মুখে।  আমাদের পশ্চিমবঙ্গের মেয়েরা আর মেয়েদের মায়েরা আগে ভাবেই নি যে আমাদের রাজ্যেও এমন একদিন আসবে যাতে করে অনেকাংশ মেয়ে আর মায়েদের কিছুরটা হলেও কষ্ট দূর হবে এই প্রকল্পের মাধ্যমে। হ্যা একটা কথা বলাই বাহুল্য যে গরিবদের অনেকটাই সাহায্য হবে এই প্রকল্পের দ্বারা। কন্যাশ্রী জগ জগ জিও। মানুষের পাশে আর মানুষের সাথে। জয় কন্যাশ্রীর জয়।