Facebook Status Bangla – বাংলা ফেসবুক স্ট্যাটাস

জীবন নিয়ে বলতে গেলে অনেক কথা মনে আসে। আর এখন জীবন মানেই, জি বাংলা না ফেসবুক! ফেসবুক এখন আমাদের জীবনের একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। সুখ দুঃখ সবটাই এখন ফেসবুক। হ্যা এখন মনে কষ্ট হলে আর কাউকে আমরা খুঁজি না মনের কথা প্রকাশ করার জন্য আমরা হয়তো কখনো জানতেও চাইনা, গালে হাত দিয়ে ভাবতে বসিনা জীবনের কতটা লাভ আর কতটা ক্ষতি, কতটাই আমরা পেলাম আর কাকেই বা পেলাম। মনের মধ্যে যাই ঘুরপাক খাক না কেন, তা সাত পাঁচ না ভেবেই গুছিয়ে চালান করে দি আমাদের টাইম লাইনে, ভাগ করেনি আমাদের হাজার হাজার চেনা বা অচেনা বন্ধু বন্ধুনীদের সাথে। তাই আমরা এখন অনেকেই আছি যারা এতসত আর ভাবিই না। এখন আমাদের ভাবনা তা হচ্ছে, ভাবি কেউ নেই তো কি আছে আমাদের ফেসবুক দাদা তো আছে তাকে বললেই ঠিক কোনো না কোনো একটা উপায় বেরিয়ে আসবে আর আমার সমস্যাটাও সমাধান পেয়ে যাবে। এ ছাড়াও আমাদের জীবনে ফেসবুক স্টেটাস অনেকটাই প্রাধান্য পেয়ে থাকে। যেমন ধরা যাক এখন বর্ষা কাল বাড়িতে একা  বাইরে মুষল ধারে বৃষ্টি, যাবার জায়গা নেই কোথাও; এই যে একাকিত্ব আমরা কিন্তু আর কাউকে না বললেও ফেসবুক স্টেটাস এর মাধ্যমে সব বন্ধু দের কে শেয়ার করে দি’, প্রতি নিয়ত। আবার ধরুন এই বর্ষা কালে আমাদের বাঙালির প্রধান খাবার খিচুড়ি আর এই খিচুড়ির সাথে যদি কিছু সাঙ্গ পাঙ্গ মানে (বেগুন ভাজা, আলু ভাজা,পটল ভাজা, ডিম ভাজা,আর যদি ইলিশ মাছ ভাজা পাওয়া যায় তো সোনায় সোহাগা) পেয়ে যাই ব্যাস আর কি চাই, আর চাওয়া পাওয়াটা আমরা আমাদের ক্যামেরায় বন্দি করে ফেসবুক স্টেটাস দিয়ে দি।  ইতিহাস সাক্ষী আছে বাঙালি হল খাদ্য রসিক। আমরা এখন কোনো রেস্তোরাতে গিয়ে খাওয়ার মুখে তোলার আগেই আমাদের মোবাইল এর ক্যামেরায় বন্দি করে ফেসবুক স্টেটাস এ না দিলে রেস্তোরায় যাওয়াটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়।ফলস্বরূপ এখন আর পরেরদিন সকালে কাগজ বা রাতে বাড়ি  ফিরে টিভির পর্দা অব্দি অপেক্ষা করতে হয়না  আমরা ফেসবুকের ওয়ালে পেয়ে যাই। তাই সেই ফেসবুকের জন্যই রইল কিছু কথা (বাংলা লেখা পিকচার)।

Facebook Status Bangla – বাংলা ফেসবুক স্ট্যাটাস

সত্যি কথা বলতে এখন ফেসবুক আর তার সাথে ফেসবুক স্টেটাস যদি না থাকে আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এর অর্ধেক আনন্দই চলে যায়। ফেসবুক জীবনের একটা প্রধান অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে মানুষের কাছে। সব জিনিসের মধ্যেই ভালো আর মন্দ দুইই আছে  কিন্তু আমাদের মাথায় রাখতে হবে যে আমরা ভালো কে কাছে নিয়ে মন্দ টাকে দূরে ফলে দেব আর প্রতি নিয়ত ফেসবুক আর ফেসবুক স্টেটাস কে বরণ করে নেবো আমাদের জীবনে।আর আপনার এই ফেসবুকের পোস্টের জন্যই রইল কিছু ফেসবুক ফটো কমেন্ট কালেকশন।

1. চাঁদ কেন আসেনা আমার ঘরে। 

ক্ষনিকের খুশি পেতে গিয়ে হায়, কিযে ভুল আমি করলাম, চাঁদ টা ছোবার আগে আমি নাকি হাত বাড়ালাম।

আমাদের জীবনে আমরা খুব কমই সময়ের কাজ সময়ে করে থাকি। কোনো না কোনো ভাবে আমরা কোনো একটা প্রলোভন, কোনো একটা ভালো লাগা বা মন্দ লাগাকে প্রাধান্য দি’ এবং সময় হাত থেকে চলে যায়, পরে গিয়ে ভুল বুঝি। সেই ভুল আমরা কখনো খান শুধরেও নি’, চেষ্টা করি সেই ভুল দ্বিতীয়বার না করার। এই ঠিক ভুলের এল ছায়ার খেলার মধ্যেই এগিয়ে যেতে হয় জীবনে। ঠিক ভুলের মধ্যে দিয়ে যেতে যেতে আমরা শিখি দুটোর পার্থক্য, এই তো জীবন।

2. বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহু দূর।

পুতুল নাচের পট ঘুমিয়ে পৃথিবী রঙ মাখা পুতুলের ভিড় , কেউ এরা  বিশ্বাসী কেউ বা অবিশ্বাসী কেউ ধীর কেউ অস্থির।

আমাদের জীবনে আমাদের মানুষদের মধ্যে এক অদ্ভুত ব্যাপার আছে, যার কারনে আমরা বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন রকম ব্যবহার করে থাকি। আমাদের মধ্যে নানান সময়ে নানান রকম রূপ থাকে। আমরা আমাদের বন্ধুদের  তেমন আমাদের বড়দের কাছে থাকিনা, আবার একই রকম ভাবে আমরা আমাদের ভালোবাসার  থাকিনা। সবার কাছে সবারক্ষেত্রে , পরিস্থিতি অনুযায়ী আমাদের স্বত্ত্বা পরিবর্তিত হয়।  আর এই পরিবর্তনের জন্যি কখনো কখনো আমাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও হয়।

3. পিছুটানহীন জীবন, সে কি সত্যিই ভালো ?

কে জানে আজ কোনো মন দূর আকাশ ছুতে  চায় ,তবু দুপায়ে কিসের বাঁধা  যেন থমকে দাঁড়ায়।

আমাদের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে আমরা অনেক বাধা পাই, কিন্তু সেই বাধা পেরোলেই যে আমরা এগিয়ে যেতে পারি তা নয়। তা ছাড়াও আমাদের জীবনে এমন কিছু জিনিস থাকে যা আমরা পেরোতে পারিনা, কিছু জিনিস যা আমাদে খুব কাছের মানুষ, খুইব কাছের কিছু অনুভূতির সাথে থাকে। কিছু পিছুটান, যা আমাদের পায়ের কাছে জড়ো হয়ে থাকে, যেটা ছাড়িয়ে বেরোতে আমাদের বেশ বেগ  পেতে হয়। আর কখনো কখনো সেই পিছুটান গুলো এটি ভারি হয়ে ওঠে যে আমরা সেগুলো পেরিয়ে এগোতে পারিনা, কখনো কখনো পারি।

4. কৈশোর আর যৌবনের মেশার সময়ের একটা রঙ থাকে, অধ্যুত সুন্দর সেই রঙ। 

সন্ধ্যা ঘনাতো যখন পাড়ায় পাড়ায় রক থাকতো ভোরে কিছু বকাটে ছড়ায় , হিন্দি গানের কলি সদ্য শেখা গালাগালি এক ঘেয়ে হয়ে যেত সময় সময়।

আমাদের কৈশোর আর যৌবনের সন্ধিক্ষণ জেক আমরা বয়ঃসন্ধি বলি আর কি, সে সময়টা বেশ জটিল আবার বেশ সুন্দর। ভালো খারাপ নতুন পুরোনো সব মিলিয়ে বেশ একটা ঘটনাবহুল সময়। এই সময়টা আমরা বেশ একটা অবস্থার মধ্যে থাকি, ভবিষ্যৎ, পড়াশোনা, চাকরি, কলেজ, প্রেম, শরীর সবই কেমন একটা তাক লাগানো রকম বদলে যাচ্ছে একের পর এক। পুরোনো চেনা সম্পর্ক গুলো সমস্ত বদলে যাচ্ছে, এক নতুন গড়ন নিচ্ছে পুরোনো চেনা সম্পর্ক গুলো।

5. স্বপ্ন ছাড়া কি আর বাঁচা যায়। 

যখন সময় থমকে দাঁড়ায় নিরাশার পাখি দুহাত বাড়ায় খুঁজে নিয়ে মন নির্জনে কোন কি আর করি তখন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন স্বপ্ন দেখে মন।

স্বপ্ন ছাড়া মানুষ বাঁচেনা, যে মানুষ স্বপ্ন দেখেনা সে মানুষের বেঁচে থাকায় খামতি থাকে। আমাদের সকলের মনের একটা কোনায় খুব পরিষ্কার দৃশ্যমান না হলেও সুপ্ত কিছু স্বপ্ন থেকেই যায়।  যে স্বপ্ন গুলো আঁকড়ে ধরে, অবলম্বন করে বেঁচে থাকি।  যা আমাদের জীবনে একটার পর একটা সূর্যাস্ত থেকে পরের সূর্যোদয়ে নিয়ে যায়।

6.জীবনে কারুর চাঁদ না হতে হলে সূর্য হও। 

এই জীবন ছিল নদীর মতো গতিহারা দিশাহারা, ওগো তোমার আকাশ দুটি চোখে আমি হয়েগেছি তারা।

জীবন, জীবনের আদিম ও অকৃত্রিম যে কারন, আমাদের জন্মানর কারন, আমাদের অস্তিত্বের কারন সবটা নিয়েই আমাদের বাস।  আমাদের জীবনের যে আদি সত্য তাই নিয়েই কাজ করে গেছেন আমাদের গতকার, লেখক আর বাকি আরো সবাই, আমাদের জীবনের মানে খোঁজার পথ করে দিয়ে গেছেন প্রশস্ত।  এমনি একটি রাস্তার কথা আছে এই গানে।

7. যে আসার সে ঠিক আসবে। 

তুমি আসবে বলে আকাশ মেঘলা বৃষ্টি এখনো হয়নি, তুমি আসবে বলে কৃষ্ণচূড়ার ফুল গুলো ঝরে যায়নি।

জীবন আমাদের কখন কোথায় কিভাবে নিয়ে গিয়ে ফেলে তার কোনো ঠিক ঠিকানা নেই। জীবনকে কখনোই আটকে রাখা যায়না, নদীর স্রোতের মত সে এগোতে থাকে, আর আমাদের সম্মুখীন করে রোজ এক নতুন  চ্যালেঞ্জের। আর এভাবে এগোতে এগোতেই আমরা পেয়ে যাই আমাদের শেষ অন্তিম অবস্থা, ইচ্ছা যা ই বলনা কেন।  এমন ভাবেই জীবন চলে।

8. কাজ করে যায় ফল একদিন ঠিক পাবে। 

জীবনে কি পাবনা ভুলেছি সে ভাবনা, সামনে যা দেখি জানিনা সেকি আসল কি নকল সোনা।

আমাদের জীবনে আমরা প্রত্যেকটা দিন বাঁচতে গিয়ে অনেক সময়  ভুলে যাই, যে আমরা জীবন হয়তো একবারই পাবো। আর সময় আমাদের হাতে বেশ বেশ কম। আর আমরা সময় আছে ভেবে আমাদের ইচ্ছে, স্বপ্ন সমস্ত ভুলে গিয়ে শুধু মাত্র জীবনের দায়িত্ব, কর্তব্য পালনে একটা যান্ত্রিক জীবন যাপন করতে থাকি। যা একেবারেই উচিৎ না, আমাদের জীবন একবার আসুক বা একশো বার আমাদের জীবন এর প্রত্যেকটা দিন আমাদের এই পৃথিবীতে শেষ দিন হিসেবে বাঁচা উচিৎ যাতে আমরা বেঁচে থাকার মানেটা বুঝতে পারি।তাই সামনে সোনা হোক বা রুপো চকচকে যাই পাও তাই লুফে নাও।

 

9. জন্মালে মৃত্যু অনিবার্য। 

তারে ধরতে পারলে মনো বেড়ি দিতাম পাখির পায়, কেমনে আসে যায়। খাঁচার ভিতর অচিন পাখি কেমনে আসে যায়।

জীবন আমাদের কাছে একটা অসম্ভব কঠিন ধাঁধার মত, এই জীবন কেন? এর কারন কী? এই জীবন আমরাই কেন পেলাম? আমাদের আদপে কাজ তা কি এই ধরাধামে? আমরা আজ যেখানে আছি সেখানে কেন আছি? আমাদের যা আছে বা যা নেই সেগুলোই বা কেন। সব মিলিয়ে আদি ও অন্তিম প্রশ্ন আমরা কেন? এই প্রশ্নেরই উত্তর  চলেছেন বুদ্ধ দেব থেকে শুরু করে, লালন ফকির অব্দি।

10. নিজেকে ভালোবাসো তুমি এবার। 

আমার জন্য এল জ্বেলোনা কেউ আমি মানুষের সমুদ্রে গুনেছি ঢেউ এই স্টেশন এর চত্বরে হারিয়ে গেছি শেষ ট্রেন এ ঘরে ফিরবো না।

কখনো কখনো কিছু সম্পর্কে থাকার জন্য এমনই মরিয়া হয়ে উঠি যে, আদৌ সেই সম্পর্কে আমরা ভালো আছি না খারাপ। সেই সম্পর্ক আমাদের আদৌ আমাদের প্রাপ্য শান্তি-ভালোলাগা-আনন্দ টুকু দিচ্ছে কিনা তা দেখতে ভুলে যাই।  শুধু মাত্র সম্পর্কে থাকার আনন্দে থেকে যাই।  যখন তা বুঝতে পারি তখন অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে, ফিরতি পথে কষ্ট হয় তও আবার বেশ খানিকটা পথ ফায়ার এসে আবার এগোনো শুরু হয়।  এই ফায়ার আসার পর আবার সেই এক পথে যাওয়ার র কোনো জায়গায় থাকেনা।  তখন সব শেষ হয়ে যায়।

শেষ কথা  

জীবন খুউব সুন্দর খুব মধুর একে খারাপ করবেন না একে কষ্ট দেবেন না। মনুষ্য জীবন হলো পৃথিবীর সব থেকে বড়ো আশীর্বাদ সব থেকে বড়ো বরদান। একে নিজের মতো করে নিয়ে বাঁচুন আর ভালোবাসুন। দেখবেন আপনি হ্যা একমাত্র আপনি সুখী হবেন আর হবেন আপনার বাবা মা।ভালো থাকবেন ও ভালো রাখবেন। আর হ্যা আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে শেয়ার করতে ভুলবেন না কিন্তু এই বাংলা কোটেশন যা আপনি ব্যবহার করতে পারেন বাংলা স্টেটাস  হিসেবে।