Bengali Romantic Movie – ভারতীয় বাংলা সিনেমা

প্রেম যে বরাবরই লেখক  রঙিন বেশি সুন্দর হয়ে ওঠে তা আমরা সকলেই জানি, কিন্তু এটাও কি আমরা জানিনা যে টিভির পর্দায় প্রেমের একটা লাদা মোহো আছে।  সুদর্শন এক নায়ক তার ততোধিক সুন্দরী নায়িকা একসাথে জীবনের নানান পরিস্থিতিতে একে ওপরের সাথে থাকছে পাশে থাকছে। জীবনের নানা সুন্দর মুহূর্ত নানা প্রেমময় সময় তারা এমন সুন্দর করে  কাটায়,তার সাথে ভারতীয় চলচিত্রের এক বিশেষ ব্যাপার গান, এমন সুন্দর গান  এই গোটা ঘটনা তা অভিনয় জেনেও তাদের বিশ্বাস করেন মন থেকে, ভাবেন তাদের প্রেম বুঝি সত্যি, সত্যি জীবনেও তারা অমনি একে ওপরের হাত ধরে সংসার করবে।  আর সেখানেই প্রেমে সাফল্য প্রেম আপনাকে বিশ্বাস করতে শেখ, স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে। আপনার মনের কোনে বেড়ে ওঠে এই অনুভূতি একেবারে চুপটি করে, সবার আড়ালে সমস্ত রকম অবহেলা সত্বেও দিব্বি বেড়ে ওঠে। আর এই সমস্ত  মুহূর্ত হ\গুলি দেখার  বার বার ফিরে যাই এই ছবি গুলির কাছে।

Bengali Romantic Movie – ভারতীয় বাংলা সিনেমা

ভ্যালেন্টাইন ডে’র মত এমন আধুনিক দিনে বাংলা ছবি! তাও আবার টালিউডের? অনেকেই ভ্রুকুঞ্চিত করতে পারেন। কিন্তু উত্তম সুচিত্রা সামনে থাকলে প্রেম যে এমনিই আসে, সেকথাটিও তো জানাতে হবে নতুন প্রজন্মকে। তাই স্বাদ বদলের জন্য আজ আরও একবার ফিরে দেখতে পারেন সেই স্বর্ণ যুগের বাংলা ছবি। প্রিয় মানুষদের সঙ্গ দেওয়ার পাশাপাশি এদিনে বিনোদনটাও চাই নিশ্চই। এ জন্য আজ আপনি কিছু রোমান্টিক সিনেমা দেখে নিতে পারেন। যারা বাংলা সিনেমার দর্শক, তাদের জন্য আজকের এই আয়োজন। টালিউডের স্বর্ণ যুগের কিছুরোমান্টিক  বাংলা সিনেমার সন্ধান দিচ্ছি আজ।

1. রাজলক্ষী শ্রীকান্ত 

ছবি সৌজন্যে : ইউ টিউব 

মুক্তির সময় –  ১৯৫৮

পরিচালনা – হরিদাস ভট্টাচার্য

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, রেবা দেবী, রাজলক্ষ্মী দেবী, রমা দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, জহর রায়, হরিধন মুখোপাধ্যায়, অনিল চ্যাটার্জী।

১৯৫৮ সালে হরিদাস ভট্টাচার্যের পরিচালনায় এই ছায়াছবিটি মুক্তি পায়। শরৎচন্দ্রের বিখ্যাত উপন্যাস শ্রীকান্ত থেকে তৈরী এই ছবিতে শ্রীকান্তের ভূমিকায় ছিলেন উত্তম কুমার, ও রাজলক্ষ্মীর ভূমিকায় ছিলেন সুচিত্রা সেন।  এছাড়াও চরিত্রে ছিলেন রেবা দেবী, রাজলক্ষ্মী দেবী, রমা দেবী, তুলসী চক্রবর্তী, জহর রায়, হরিধন মুখোপাধ্যায়, অনিল চ্যাটার্জীর  মত স্বনামধন্য অভিনেতারা।

রাজলক্ষ্মী সাহসী সুন্দরী রমনী। সামাজিক বিভিন্ন জটিলতার কারনে সে বাঈঁজীর কাজ বেছে নিলেও মনে প্রানে সে শুধু শ্রীকান্তকে ভালবাসে। তার অপরিসীম ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধ শ্রীকান্তকে আকৃষ্ট করে। রাজলক্ষ্মী চায় শ্রীকান্ত তাকে এই অনৈতিক জীবন থেকে তাকে মুক্ত করবে। কিন্তু শ্রীকান্তের জীবনে কমললতার আগমন ঘটলে রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্তের জীবন থেকে দূরে সরে যায়। রাজলক্ষ্মী চায় শ্রীকান্তকে একান্ত নিজের করে পেতে, আর কমললতার দৃঢ় বিশ্বাস শ্রীকান্তের অন্তরে একমাত্র সেই আছে এবং তার কাছ থেকে শ্রীকান্তকে কেউই দূরে নিতে পারবেনা। কমললতাকে ভালোবাসা সত্বেও রাজলক্ষ্মীর নির্ভয় নিরাপদ আশ্রয়ে নিজেকে সঁপে দিতেই ভালোবাসে শ্রীকান্ত। আর তাই শ্রীকান্ত চায় রাজলক্ষ্মীর দায়িত্ববোধের আওতায় থাকতে ও কমললতার মনে গোপন স্বপ্ন হয়ে থাকতে।

2. সাত পাকে বাঁধা

ছবি সৌজন্যে – uppersteal.com

মুক্তির সময় – ১৯৬৩

পরিচালনা – অজয় কর

অভিনয়ে  – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, সুচিত্রা সেন।

সাত পাকে বাঁধা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং সুচিত্রা সেন অভিনীত একটি বাংলা সিনেমা । ছবিটি  সালে মুক্তি পায়। পরিচালকঅজয় কর। সাত পাকে বাঁধা চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য মস্কো চলচ্চিত্র উৎসবে নায়িকা সুচিত্রা সেন “সিলভার প্রাইজ ফর বেস্ট অ্যাকট্রেস” জয় করেন। তিনিই প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী যিনি কোনো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছিলেন।

সিনেমাটিতে খুব নিখুঁত ভাবে পরিচালক দুই মানুষ, স্বভাবতই স্বামী-স্ত্রী, তাদের সামাজিক-পারিবারিক-ও অর্থনৈতিক পার্থক্যের কারনে তাদের নিজেদের বোঝাপড়ায় অসুবিধে। আমাদের সমাজে রোজকার মানুষের নিজেদের সামাজিক শ্রেণীর থেকে নিচুদরের মানুষের প্রতি ভাবনা চিন্তা ব্যবহার সমস্ত দেখিয়েছেন। দারিদ্র ও অভাবের মধ্যে সৎ ভাবে বেড়ে ওঠা সুখেন্দু একটি কলেজের প্রাণ ও তার সাথে সাথে বড়োলোক বাড়ির ছেলেমেয়েদের প্রাইভেট টিউশন প্রিয় তার চলে, এবং এমন এক আত্মসম্মান সম্পন্ন মানুষের সম্পর্ক তৈরী হয় অর্চনার সাথে যে এক সুন্দরী, শিক্ষিতা সর্বপরি এক বড়োলোক বাড়ির মেয়ে।  তাদের বিয়েও হয় এবং তারপর নানান জটিলতা।  অসম্ভব সুন্দর একটি সিনেমা যা দুইমানুষের মধ্যেকার স্বত্বগুলি নিয়ে খুব সুন্দর আলোচনা করেছে।

3. সপ্তপদি 

ছবি সৌজন্যে : ইউ টিউব 

মুক্তির সময়- ১৯৬১

পরিচালনা – অজয় কর

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন

এমন কোনও বাঙালি নেই যার ডক্টর কৃষ্ণেন্দু ও রিনা ব্রাউনের এই বাংলা ছায়া ছবিটি ভালো লাগে নি। উত্তম-সুচিত্রা জুটির এই ছবিটি মনে হয় সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। ভালোবাসা দিবসের জন্য পারফেক্ট ছবি। বিশেষ করে ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’- গানটি তো তরুন প্রেমিক জুটির জন্য একেবারে যুৎসই।

স্বাধীনতার আগের কলকাতা, তায় আবার মেডিকেল কলেজ।  সেখানে বাঙালি ও মেঁ ও সাহেব সবাই একসাথে পড়াশোনা করছে. এমন একটি মেডিকেল ক্লাসের সহপাঠী কৃষ্ণেন্দু ও রিনা, সহপাঠী হলেও তাদের মধ্যে যে বিশেষ সদ্ভাব আছে তা ঠিক নয়. বরং দুজনে দুজনের ধরে কাছে খুব বিশেষ আসেনা।  এই চুরসত্রু দুই সহপাঠী েকে ওপরের প্রেমে পি[রবে এবং শেষ অব্দি হবে এক অভাবনীয় অবসান তাদের প্রেম কাহিনীর। বাংলা সিনেমার একটি কাল্ট। না দেখলে আপনার বাংলা সিনেমা দেখা অসম্পূর্ন থেকে যায়।

4. দেয়া নেয়া

ছবি সৌজন্যে : ইউ টিউব 

মুক্তির সময় –

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, তনুজা, পাহাড়ি স্যান্যাল, ছবি বিশ্বাস।

একেই বোধ হয় বলে প্রেম। যেটা উত্তম কুমারের গান শুনে হয়েছিল তনুজার। মিষ্টি এক প্রেমের গল্প দেয়া নেয়া। প্রিয়জনের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটাতে চাইলে সামনে দেয়া নেয়া চালিয়ে রাখুন। হাতে হাত রেখে কখন সময় কেটে যাবে, টেরই পাবেন না। আজও সেই  আমাদের কানে ভাসে, গানের ভুবন ভরিয়ে দেবে ভেবেছিলো একটি পাখি।

বিরাট শিল্পপতির ছেলে প্রশান্ত, তার গান অন্ত প্রাণ আর তার কাঠ খোট্টা ব্যবসায়ী বাবা তাকে দিয়ে ব্যবসা ই করবেন। বরাবর, জগ জগ ধরে চলে আসা সেই দুই প্রজন্মের বোঝার ভুল।  বাড়ি থেকে চলে গিয়ে তাই প্রশান্ত নিজের গানের কাজ করতে থাকে, ইতিমধ্যে এক বাড়িতে আপাত ভাবে ড্রাইভারের চাকরি নেন। সেখানে তাঁর দেখা হয় সুচরিতার সাথে সেই বাড়ির একমাত্র রাজকন্যে যে আবার তাঁর ই গানের ভক্ত।  এবং সেখান থেকে নানা মজার ভুল বোঝা বুঝির মধ্যে দিয়ে অদ্ভুত সুন্দর সমাপতন সব চরিত্রের।

5. অগ্নি পরীক্ষা

ছবি সৌজন্যে : ইউ টিউব 

মুক্তির সময় – ১৯৫৪

পরিচালনা – অগ্রদূত

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, অনুপ কুমার, জহর রায়।

বুলু এক কিশোর বয়েসি জমিদার তার বিয়ে হল তাপসীর সাথে, সুন্দরী এক কিশোরী। এই বিবাহে তাপসীর মায়ের একেবারেই মত ছিলনা তাই তাকে সেখান থেকে বেশ দূরে নিয়ে আসে, এবং বড় করে তোলেন।  এরপর তাপসী পাহাড়ে ঘুরতে যায় এবং সেখানে তার দেখা হয় এক অসাম্য ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন পুরুষ কিরীটি, তাদের দিজনের মধ্যে এক সম্পর্কের সৃষ্টি। কিন্তু তাপসীর মনের মধ্যে একটি গ্লানি কাজ করতে থাকে যে তার যে আগেই বিয়ে হয়ে গেছে, তাহলে কি সে কিরীটি কে ঠকাচ্ছে। এমন\তাবস্থায় তার মা তাকে বলে পুরোনো ছোট বেলার কথা ভেবে নিজের জীবন নষ্ট না করতে এগিয়ে যেতে ও কিরীটি কে বিবাহ করতে। কি করবে বুঝতে জন্য পেরে তাপসী তার ঠাকুমার কাছে যায় সাহায্যের জন্য। এবং তার ঠাকুমা তাকে সাহায্য করে।  এটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে একটি অন্যতম রোম্যান্টিক সিনেমা। এক ওপর বিস্তৃতি প্রেমের গল্প আছে এই সিনেমায়, আপনার প্রাণের মানুষের সাথে দেখতে পারেন এই সিনেমা।

6. নায়ক 

মুক্তির সময়- ১৯৬৬

পরিচালনা -সত্যজিৎ রায় 

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, শর্মিলা ঠাকুর, কামু মুখার্জি, বীরেশ্বর সেন, সুমিতা স্যান্যাল, ভর্তি দেবী।

হল ১৯৬৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ও সত্যজিৎ রায় পরিচালিত একটি ভারতীয় বাংলা ড্রামা চলচ্চিত্র। এই ছবির কাহিনী ও চিত্রনাট্যওসত্যজিৎ রায়ই রচনা করেছিলেন। উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত কাঞ্চনজঙ্ঘা ছবিটির পর এই ছবির চিত্রনাট্যই সত্যজিৎ রায়রচিত সম্পূর্ণ মৌলিক চলচ্চিত্র।

এই ছবির প্রধান চরিত্র বাংলা চলচ্চিত্রের এক ম্যাটিনি আইডল অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। তিনি একটি জাতীয় পুরস্কার গ্রহণের জন্য রেলপথে কলকাতা  থেকে দিল্লি যাচ্ছিলেন। সেই ২৪ ঘণ্টার যাত্রাপথে অদিতি নামে এক অল্পবয়সী সাংবাদিকের কাছে নিজের ভুলভ্রান্তি, নিরাপত্তাহীনতা ও অনুতাপ প্রকাশের মধ্যে দিয়ে তিনি যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন, তা-ই এই ছবির উপজীব্য বিষয়। অদিতি পূর্বে ম্যাটিনি আইডল জাতীয় খ্যাতনামা ব্যক্তিদের বিশেষ অপছন্দ করতেন। কিন্তু অরিন্দমের কথা শুনে তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর খ্যাতির আড়ালে তাঁর মনের মধ্যে কোথাও একটি একাকীত্বের ভাব রয়েছে। অদিতির মনে অরিন্দমের প্রতি সহানুভূতি জাগে। তিনি স্থির করেন, অরিন্দমের কথা তিনি প্রকাশ করবেন না এবং ম্যাটিনি আইডল জনমানসে তাঁর ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে সাহায্য করবেন। এই ছবিতে সাতটি ফ্ল্যাশব্যাক এবং দু’টি স্বপ্নের মধ্যে দিয়ে অরিন্দমের জীবনের সঙ্গে তাঁর মনস্তাত্ত্বিক অবস্থানটিকে পরিস্ফুট করে তোলা হয়েছে।

7. বসন্ত বিলাপ  

মুক্তির সময়- ১৯৭৩

পরিচালনা – দীনেন গুপ্ত 

অভিনয়ে  – সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, অপর্ণা সেন, রবি ঘোষ, চিন্ময় রায়, অনুপ কুমার, সুমিত্রা মুখার্জি।

১৯৭৩ সাল এবং সাদা-কালো ছবির যুগ। তবুও অপর্ণা সেন, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘বসন্ত বিলাপ’ যে দাগ রেখে গিয়েছে দর্শকের মনে এবং বাংলা ছায়াছবির ইতিহাসে, তা উপেক্ষা করার মতো নয়। বিমল করের এই বড়োগল্পটি যেমন সেই সময়ে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টেনে এনেছিল, পরে তার ধাঁচে ধারাবাহিক করা হলে একই রকম ভাবে টেলিভিশনের সামনে বসিয়ে রেখেছিল দর্শককে।

সামনে সামনি দুই বাড়ি, এক ই পারে; একটি হল একদম অবিবাহিত মেয়েদের হোস্টেল, আর সামনের বাড়িতে একটি ছেলে ও তার প্রায় একদল বন্ধু যারাও ঘটনা কর্মে অবিবাহিত এবং এরা সবাইই চাকুরিরতা। এবং খুব স্বাভাবিক ভাবেই এদের মধ্যে নানা বিষয়ে ছোট খাটো মতবিরোধ লেগেই থাকতো। এবং এই ঝগড়া যাহতির মধ্যে থেকেই এক একটা করে ছোট ছোট সুন্দর প্রেমের গল্প তৈরী হয়।  সেই নিয়েই একটা খুব সুন্দর মজার প্রেমের সিনেমা। আপনার পড়ুয়জনের সাথে সিনেমাটা দেখে একটি সুপার বা একটি রাট কাটাতেই পারেন, আশাহত হবেন না।

8. হারানোর সুর 

মুক্তির সময়- ১৯৫৭

পরিচালনা – বিমল কর

অভিনয়ে  – উত্তম কুমার, সুচিত্রা সেন, উৎপল দত্ত, পাহাড়ি স্যান্যাল।

উত্তম কুমার ও সুচিত্র সেন অভিনীত ‘হারানোর সুর’ সিনেমার কাহিনি এবার এক ব্যক্তির জীবনে বাস্তবতা হয়ে দেখা দিল। হারানো সুরে অলক মুখার্জি (উত্তম) ট্রেন দুর্ঘটনায় তার স্মৃতি হারান। পরে আরেক দুর্ঘটনায় তিনি স্মৃতি ফিরে পান। চলচ্চিত্রকার তার ইচ্ছানুযায়ী গল্প সাজিয়েছেন।

ধর্মবীর সিংয়ের গল্প সাজানো নয়। বাস্তব। ধর্মবীরের জীবনের গল্প না শুনে তা কল্পনা করাও হয়তো বড় বড় কাহিনিকারদের জন্য অসম্ভব। সিনেমার গল্পের ঘাত-প্রতিঘাত ও ক্লাইমেক্সের চেয়ে ধর্মবীরের জীবনের বাস্তবতা আরো নাটকীয় ও বিস্ময়কর।

9. প্রজাপতি বিস্কুট 

মুক্তির সময়- ২০১৭

পরিচালনা – অনিন্দ্য চট্টপাধ্যায়

অভিনয়ে  – আদিত্য সেনগুপ্ত, এশা সাহা, রজতাভ দত্ত, অপরাজিতা।

বাংলা নতুন ছবি প্রজাপতি বিস্কুট ২০১৭ সালের পুজোতে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও উইনডোজ ব্যনারে প্রযোজনা করছেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় ও নন্দিতা রায়। এটি নির্মিত হচ্ছে যৌথ পরিবারের একটি নব দম্পতির মধ্যেকার ভালোবাসার সম্পর্কের উপর। প্রজাপতি বিস্কুট চলচ্চিত্রটির ফাস্ট লুক প্রথম প্রকাশিত হয় ৭ আগস্ট ২০১৭। চলচ্চিত্রটিতে মুখ্য চরিত্রে ঈসা সাহা ও আদিত্য সেনগুপ্ত নব দম্পতি হিসাবে অভিনয় করেছে।প্রসেনের সুরে ও ঋতম সেনের কথায় চন্দ্রাণীর গাওয়া ‘তোমাকে বুঝি না প্রিয়’ গানটি ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুমুল জনপ্রিয় হয়েছে।

10. হামি 

মুক্তির সময়- ২০১৮

পরিচালনা – নন্দিতা রায় এবংশিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়

অভিনয়ে  – শিবপ্রসাদ  মুখোপাধ্যায়, কনীনিকা ব্যানার্জি, খরাজ মুখার্জী, গার্গী গার্গী রায়চৌধুরী।

হ্যামি (২০১৮) নন্দিতা রায় এবংশিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় পরিচালিত একটি বাংলা চলচ্চিত্র। এটি এসর ইন্টারন্যাশনাল দ্বারা মুক্তি পায় সমগ্র ভারতে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে চলচ্চিত্রটির ট্রেলার মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রটি একটি ছোটদের বিদ্যালয়ের বন্ধুত্বের একটি গল্প বলে।

11. সোনার পাহাড় 

মুক্তির সময়- ২০১৮

পরিচালনা – পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়

অভিনয়ে  – তনুজা মুখোপাধ্যায়,যিশু সেনগুপ্ত,পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়,অরুণিমা ঘোষ,সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়অভিনেতা – 

দূর থেকে দেখা যাচ্ছে পাহাড়, ভোরের সূর্যের ছটায় সোনালি আভা ছড়িয়ে পড়ছে চারিদিকে। তবে অভিমানী মেঘ মাঝে মধ্যেই ঢেকে ফেলে পাহাড়কে। চারিদিকে সবুজ গাছপালা, মধ্যিখান দিয়ে বয়ে চলেছে শান্ত স্নিগ্ধ নদী…ছেলেবেলার ড্রইং খাতা ভরে থাকত এরকমই সব রঙিন তুলির টানে। আসলে সেই ছবির মধ্য দিয়েই ফুটে ওঠে মনের মধ্যে সযত্নে লালিত করা সোনার পাহাড়ের স্বপ্ন। যেখানে গেলেই মিলবে গুপ্তধনের খোঁজ। পাহাড়ের কোল ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকা একলা বৌদ্ধ মঠে উড়ে আসে হারিয়ে যাওয়া আবোল তাবোল, টুনটুনির বইয়ের ছেঁড়া পাতা। মোম রঙে আঁকা অপটু হাতের সূর্য, গাছ, ঘুড়ি আর ভালোবাসার স্মৃতি মাখা বিষাদের সুর ঘুরে বেড়ায় এক পাহাড় থেকে আরেক পাহাড়ে।

 

শেষ কথা 

এমন অনেক পুরোনো বাংলা সিনেমা আছে যা হয়তো কোনোদিন আমরা ভুলতে পারবো না। আমরা ভুলতে পারবো না আমাদের মহানায়ক উত্তম কুমারকে, আমরা ভুলতে পারবোনা সুচিত্রা দেবী কেও। তবে এখন দিন পাল্টেছে সময়ের সাথে সাথে সাদা কালো থেকে রঙিন ছবি হয়েছে। মানুষের স্বাদ টাও আজ পাল্টেছে। তবে শেষ কথা বলতে একটা কথা বলতেই হয় যে সব সময় (old is gold) ওল্ড ইস গোল্ড। পুরোনো ছবি আজ আমাদের মন করে সেরকম নতুন অনেক ছবি আছে বা হচ্ছে তাতেও কিন্তু স্বাদ কম নেই।

লেখক – শান্তনু পাল