Bangla Funny Quotes – বাংলা মজার কোটস

“আমি কতই রঙ্গ দেখি দুনিয়ায়,আমি যেই দিকেতে চাই দেখে অবাক বনে যাই, আমি অর্থ কোনও খুঁজে নাহি পাই রে”। এ বঙ্গদেশে রঙ্গ চারিদিকে ছড়াছড়ি। কথায় বলে “মজায় থাকলেই রাজার মতো বাঁচা যায়”।আর হিউমার বস্তুটা বেশিরভাগ বাঙ্গালির বেসিক ডিফেন্স মেকানিজম। বাঙ্গালির গোদাগোদা মাসল না থাকতে পারে, কিন্তু আমাদের হিউমারই আমাদের শক্তিশালী করে।বাংলা সিনেমা কিংবা বাংলা লেখা; এই মাটিতে শিবরাম থেকে তুলসি চক্রবর্তী, হালের চন্দ্রিল ভট্টাচার্য হাসির যোগান দেয় হরদম।হাসি এমন একটা মাধ্যম যার মধ্য দিয়ে অনেক ভারি গম্ভীর কথা আরামে  বলা যায়। ননসেন্সের ভিতরে যে আদতে কতটা সেন্স লুকিয়ে থাকে তার জলজ্যান্ত নজির সুকুমার রায়। আর রবি ঠাকুরের “সহজ কথা যায় না বলা সহজে” এই কথাকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে সুকুমার, শিব্রামরা বারে বারে বলে যান লোক হাসালেও, লোক ভাবানো যায়। এখন অনেকটা সেই সময় যখন আমাদের হাসতে হয় নিয়ম করে। এই তুমুল ভুল বোঝাবুঝির জমানায় হাসির খোরাকের আগেও দিতে হয় “সতর্কতাবাণী”।তবুও আজও শীতের কালে মিষ্টি দোকানে চ্যাংড়া ছোড়া বলে ওঠে “ মাসিমা মালপুয়া খামু”।মেঘের আড়াল থেকে “ভানু”বাবু হেসে ওঠেন। হয়ত বেপাড়ায় কোন প্রেমিক বলে ওঠে “একটা উচা লম্বা মই হবে”? এই চক্রবৃদ্ধি হারে গজিয়ে ওঠা হাসিখুশি ক্লাবের বাজারে কোনও “রবি” হঠাৎ হেসে দেন। খেতে ভালবাসা কোনও জ্ঞানপাপী কাকু উত্তর কলকাতার গলিতে যখন তেলে ভাজাতে কামড় বসান ডানা মেলে দেয় “টেনিদা”।“হাঁদা ভোঁদা”, “নন্টে ফন্টে”রা আজও সেই বাচ্চার কান্না মুছে দেয় যার পুজোতে একটাও জামা হয়নি। হাসি দিয়ে অনেক কিছু মোছা যায়,কালো রাত কে চমকে দিয়ে দিন বদলানো যায়। তাই আপনার জন্য রইল bangla funny sms picture .

Bangla Funny Quotes – বাংলা মজার কোটস

এ শহরে বহু মানুষ কান্না চেপে হেঁটে বেড়ায়, তারা অনিচ্ছাকৃত “রাম গরুরের ছানা”।তবুও তারা হেসে ওঠে, নেচে ওঠে অন্য সকাল।ডারউইনের নিয়মে হাঁটতে হবে সবাইকেই, দৌড়তে গিয়ে হোঁচট খাবেও কিছু। তবু বাঁচার লড়াই গেলে ক্লান্ত মনকে শান্ত করতে হলে হাসতে হবে। “রোতে রোতে রোতে হাসনা শিখো” , “লাফটার ইস দা বেস্ট মেডিসিন” কথাগুলো সহজ বলা প্রচণ্ডই। কিন্তু হাজার আঘাতে হাসতে পারলে  তুমিই মহারাজা, নইলে পরে ওই “গোমরাথেড়িয়াম”।নিচে কিছু কথা  দেওয়া হল যা আপনাকে বাসের ভিড়ে হাসতে শেখাবে, কিছু কথা (funny bengali quotes) যা আপনাকে ভীষণ রোদে ঠান্ডা রাখবে, মনখারাপের বিকেলে আবার করে গলা সাধাবে।


1. গোঁফ চুরি – সুকুমার রায় 

“রেগে আগুন তেলে বেগুন, তেড়ে বলেন তিনি
  কারোর কথার ধার ধারিনে,সব ব্যাটাকেই চিনি”
 -সুকুমার রায়

বস মশাই এক অদ্ভুত জাতি তারা রাগ করেন,এমনটা আপনি ভাবেন। খালি পরেরবার রাগ হলে ভাববেন তার যদি হঠাৎ গোঁফ খানা চুরি যেত।
কি? হাসি ফুটলও তো?

2. সাড়ে চুয়াত্তর। 

“মাসিমা মালপুয়া খামু”

-ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়

খুব কঠিন দিন, কিচ্ছু ভালোলাগছে না? এক কাজ করুন বাড়ির কোন বয়স্ককে কথা খানা বলুন।নিজে হাসুন আর ফোকলা দাঁতের হাসি দেখে নিজের আনন্দকে বাড়িয়ে তুলুন।

3. মাছির মিষ্টি খাওয়া। 

“বাবা মাছিতে মিষ্টি খেয়ে যায়”
-গোপাল ভাঁড়
 একবার গোপাল দোকানে গিয়ে মিষ্টি খেতে শুরু করেন তাকে বাধা দিতে আসে দোকানির ছেলে। তারপর গোপাল বলে বাবা কে বলো আমার নাম মাছি।
ছেলেটিও চেঁচিয়ে বলে বাবা মাছিতে মিষ্টি খেয়ে যায়।

4. দেবতার জন্ম – শিবরাম চক্রবর্তী 

“দাদা এই কিছুদিনে দেবতার জন্ম হয়ে গেল”
 -শিবরাম চক্রবর্তি
শিবরাম বাবু তার সহজ লেখা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেছেন কি করে মানুষ অন্ধ বিশ্বাস কে হাতিয়ার করে, ব্যাবসা করে। সহজ কথা শিবরাম বলেন অতি সহজে।

5. কুমড়ো পটাশ – সুকুমার রায় 

”যদি কুমড়ো পটাশ নাচে যেও না কেউ খবরদার হট্টমুলার দেশে”   
– সুকুমার রায়

শিশু মন আজ আনন্দ পায় কুমড়োপটাশের গপ্পে। তারা দেখতে সেই ছবি।আজকাল বাচ্চারা রুপকথা জানেনা,তারা টিভি তে মুখ গুজে থাকে তাই। তবু তাদেরকে ভাবায় সুকুমার রায়।


6. বসন্ত বিলাপ। 

“একটা উচা লম্বা মই হবে”?
– রবি ঘোষ
পাড়ার বখাটে ছেলে প্রেমিকার সাথে দেখা করতে যেতে চায়। সেই বাড়িতেই মই চেয়ে বসে। অফিস থেকে ফিরে আজ একবার বসন্ত বিলাপ ছবিটা দেখুন , বেড়ে ঘুম হবে রাতে।

7. টেনিদা। 

“প্যালা যা তো চপ নিয়ে আয়”
-টেনিদা

কিছু মানুষ খেতে ভালবাসেন, টেনিদা তাদের ক্যাপ্টেন। আজও একফালি মিঠে রোদ্দুর উপহার দেন নারায়ন গাঙ্গুলি।বাঙালির গলিময় নস্টালজিয়া,সাথে সময়মাফিক হিউমার,
আহা কি স্বাদ তার, আহা আহা থুরি হা হা হা হা।

8. রাম গরুড়ের ছান। 

“হাসির কথা শুনলে বলে

  হাসবো না না না না ”।

– সুকুমার রায়

 রাম গরুররের ছানা যারা হাসে না তাদের জন্য রইল কাতুকুতু বুড়োর দাওয়াই, আর যারা আজও হাসতে ভোলেননি তারা হাসি খানিক ভাগ করুন না ।আপনিও হাসবেন আর ওরাও।

9.  ভূতের ভবিষ্যৎ। 

 “এ কে রে শান্তিগোপাল? এতো আজব কালেকশন”
-শ্বাশত চট্টোপাধ্যায়
ভূতের গপ্পো বাঙালির আবেগ, চানাচুর মুড়ি লোডশেডিং থাক আর বললাম না।
তবে বাঙালি ভূতও কম কিছু নয়। ভূতের ভবিষ্যৎ ছবিতে “হাতকাটা কাত্তিক”
ওরফে শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের এই সংলাপ আমাদের খানিকটা নয় অনেকটাও হাসায়, ভুলিয়ে দেয় ভুতকে ভয় পেতে।

10. ভানুর কমিক। 

 “আপনি আমায় ধরতে পারবেন না,
আমি এখন জল পুলিশের আন্ডারে”
– ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়
“আশি তে আসিও না” বাংলা চলচিত্রের আইকনিক একটা চবি। আর ভানুবাবু সে ছবির আইকন, যাই হোক, জলে ঝাঁপিয়ে নিজেকে জলপুলিশের আন্ডারে বলা, ভাবলেও
হাসির আগমন আবশ্যক।

  শেষ কথা 

কি হাসি পেল না? হাসলেন তো মশাই। কি বলেছিলাম হাসতে আপনাকে হবেই। তাই ছাড়ুন দুঃখ, শ্বাস নিন, আরাম  করুন। হাসতে থাকুন। সুস্থ থাকুন। মনখারাপের গপ্পোরা তো রোজকারের, থাকবেই। কেন বেকার বুকে পাথর রাখা? একটা পুড়িয়া নিন, আর মনকেমনকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলুন, বাঁচতে ভালবাসি, হাসতে ভালোবাসি। তাই এখানে রইল কিছু funny bengali quotes যা আপনাদের হাসতে শেখাবে।