Whatsapp Status in Bengali – বাংলায় হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস

হোয়াটস অ্যাপ এখন আমাদের জীবনে রোজকার নাওয়া খাওয়ার মতই প্রয়োজনীয়। আমাদের জীবনের ফোনে কথা বলার জায়গা এখন দখল করেছে হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ।  খুব প্রয়োজনীয় কাজের কথা, এক্কেবারে অপ্রয়োজনীয় আড্ডা সবই এখন হোয়াটস আপে হয়। আমাদের রোজকার জীবনের  আলাপচারিতা, সৌজন্য মূলক কথা, এমনকি পড়াশোনার টুকিটাকিও এখন আমরা হোয়াটস অ্যাপ এই  পাই। এই ধরনের মেসেজিং অ্যাপ আরো অনেক আছে তবে হোয়াটস অ্যাপ এদের মধ্যে অবিসংবাদিত রাজা।  হোয়াটস অ্যাপ এ আমরা মাঝে মাঝেই নানান ধরনের আপডেট পাই, যা আমাদের বিভিন্ন রকমের নতুন নতুন ফিচার্স দে যেগুলি আমরা ব্যবহার করে আমাদের রোজকার এই কথোপকথনের কোনটাকে আরো কাছের করে পাই।  এমনি একটি আপডেট আমরা কয়েক মাস আগে পাই, যা আমাদের আরো একটি ভূষণ জনপ্রিয় আপ স্ন্যাপচ্যাটের মত স্টোরি  রোজকার দিনের কিছু অংশ কিছু ভাবনা প্রায় ২৪ ঘন্টার জন্য শেয়ার করতে দেয়, যা আমাদের বন্ধুরা দেখতে পাবে সারাদিন। এমনই  হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস (whatsapp status in bengali language) যেখানে সব মানুষই চাই একটু বিদ্ধিদীপ্ত কিছু রাখতে যা তাদেরকে তাদের বন্ধুদের কাছে একটা দারুন ইমপ্রেশন রাখবে।

Whatsapp Status in Bengali – বাংলায় সেরা ১০ টি হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস

বন্ধু হোক বা অচেনা কেউ, বা হোক  যেও যার কাছে আপনি আপনার একটি খুব সুন্দর ইমেজ তৈরী করতে চাইছেন  সোজাসুজি কথা  না বলে , তাহলে উপায় ? কিছুইনা নিচে দেওয়া এই দশটি সেরা হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাসের (bengali status) মধ্যে একটি দিয়ে দিন, আর দেখুন কেমন সবার মধ্যে আপনি হয়ে ওঠেন জনপ্রিয়।

1.  সুকুমার রায়ের থেকে ভালো আর কি বা হতে পারে। 

“ছায়ার সাথে যুদ্ধ করে গাত্রে হল ব্যাথা !”

আমাদের জীবনে আমরা সবথেকে বেশি যদি কারোর সঙ্গে সম্মুখ সমরে গিয়ে থাকি তবে তা হল আমরা নিজেরা। আমাদের নিজেদের মস্তিষ্কের বিভিন্ন ভাগ বিভিন্ন রকম ব্যবহার করে, সময় বুঝে। এবং সেই বিতর্ক সামলাতে আমাদের বেগ পেতে হয় বেশ।  আর ছোটদের কবিতার মধ্যে একটি লাইনে খুব সুন্দর করে তা বুঝিয়ে দিয়েছেন কবি সুকুমার রায়।

2. শিলাজিতের একটি কালজয়ী গান, যা  ছুঁয়ে যায় আজও। 

“কিশোরীর গেঁয়ো দুচোখ হিংসে মাখা
তার সাথে খেলতে হবে খেলনা বাড়ি”

প্রেম এমন এক জিনিস যা একটি মেয়ের ভাবনা চিন্তা আমূল বদলে দিতে পারে, মেয়েটির জীবন বোধ ও যায় বদলে। মহা দস্যি কারোর কথা না শোনা মেয়েটাও শান্ত লাজুক একটা ফুলের কুড়ির মত হয়ে ওঠে। আর এই একটি জায়গায় গিয়ে সব মেয়ের ই চাহিদা গুলো এক হয়ে যায়।  কিশোরী বেলার খেলনা বাতির ইচ্ছে ধীরে ধীরে মূর্ত হয়ে উঠতে থাকে ভালোবাসার মানুষটির আশ্বাস পেয়ে।

3. শাখা প্রশাখা – সত্যজিৎ রায়

“কাজের মানুষ এখানে কেন?”

একজন মানুষের জীবন বা তার অস্তিত্বের স্বার্থকতা আমারা অনেক সময়েই তাদের কাজ, বা জীবনের সফলতা দিয়ে পরিমাপ করে থাকি।যা বহু ক্ষেত্রেই ঠিক না, অবশ্যই একটা মানুষের কাজ তার জীবনের অংশ কিন্তু তার অস্তিত্ব কখনোই শুধুমাত্র তার কাজ দিয়ে ব্যাখ্যা হয় না. সেই মানুষটার জীবন বোধ, ভালোবাসার ক্ষমতা, আত্মিক সম্বলের উপর ও নির্ভর করে। বহু মানুষ জীবনে কাজ টাকেই বা অর্থনৈতিক সফলতা টাকেই সর্বশেষ সফলতা ভেবে জীবনটাকে একেবারে যান্ত্রিক করে তোলে। সত্যজিৎ রায়ের যুগান্তকারী সৃষ্টি শাখা প্রশাখার এই প্রশ্নটি আজও সমস্ত মানুষকে তার জীবন বোধের সামনে এনে দাঁড় করায়, জীবনের স্বার্থকতা কোথায় বুঝতে সাহায্য করে।

4. যা সাধারণত প্রেমে পড়লে আমরা করে থাকি। 

হ্যাঁ খালি আমারই স্টেটাস দেখ!

আমরা জট দিন যাচ্ছে আমাদের যান্ত্রিক অস্তিত্বের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছি। প্রেমে পড়লাম তাই তাকে পিছু নেয়া আরম্ভ হল ডিজিটালি, ঝগড়া হল কথা বন্ধ তার সাথে কথোপকথন স্টেটাসের ঝড়।

5. ক্ষত – অনুত্তমা ব্যানার্জি 

“বুঝতে পারোনি তুমি,
না তা বলে দোষ দিচ্ছিনা
তুমিও ওষুধ নও –
ক্ষত আমি দেখাতে পারিনা।”

কখনো কখনো সম্পর্কে এমন কিছু আসে, যখন সব কথা মুখে বলে বোঝানো যায় না, বা হয়তো বললেও সামনের মানুষটা অব্দি তা পৌছোয়না, আর সেই যোগাযোগের অভাবে সন্তর্পনে একটা দূরত্ব এসে জমা হয় দুটি মানুষের মাঝে।  এক সুন্দর বুনটের সম্পর্ক ধীরে ধীরে আলগা হয়। সময় মত খেয়াল হলে তাকে আবার নতুন কর বোনা যায়, কিন্তু তার জন্য হতে হয় অত্যন্ত সচেতন।  কারন সম্পর্ক যে নিজের সন্তানের মত সচেতন ভাবে তাকে লালন পালন করতে হয়।

6. পুরোনো চাল ভাতে বাড়ে। 

“বন্যেরা বনে সুন্দর
শিশুরা মাতৃ ক্রোড়ে
তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পর
আমার স্টেটাসের না পড়ে !”

আমরা আজকাল আমাদের জীবনের বেশ খানিকটা সময় অনলাইনে কাটাই, নিজের কিছু জিনিস অন্যের সাথে শেয়ার করে, আবার অন্যের শেয়ার করা কিছু জিনিস নিজেরা দেখে।  এমন অনেক ক্ষেত্রে হয় যে আমাদের সারাদিনে অন্তত একবার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগে থাকা মানুষ গুলো, বিশেষত অন্তর্জালে যুক্ত থাকা মানুষ গুলো কি বলছে, কি ভাবছে না জানলে আমাদের দিন কাটেনা যেন, তাই এখন আমাদের কাছে ভালো লাগা, ভালো থাকা সবটাই এই হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস বা ফেসবুক স্টেটাস এর মধ্যে ঘোরা ফেরা করে।

7. নাক গলানো স্বভাবের কিছু মানুষের জন্যে। 

“কে আপনি?
এখানে কি চাই ?”

কিছু মানুষ আবার এমন আছেন যারা আমাদের এই শেয়ার করাটার অপব্যবহার করেন, তারা আমাদের জীবনের ওপর একটা অদৃশ্য পাহারা রাখতে চায়, দেখতে চায় সবসময় যে আমরা কি করছি, কি ভাবছি কেন করছি কোথায় যাচ্ছি এবং সেইগুলি কে ব্যবহার করে বিভিন্ন ভাবে আমাদের নাজেহাল করার চেষ্টা করে যা আমাদের একেবারেই পছন্দ নয়।  তাদের জন্য এই স্টেটাস টা।

8. কাজে কম্মে নেই। 

“নিজে অকম্মার ঢেঁকি
তা বলে কি আমিও ?”

এমন অনেক মানুষ আছে যারা তাদের কাজ কর্ম ফেলে রেখে সারাদিন ফেসবুক আর হোয়াটস অ্যাপ এ থাকে। তাদের নিয়ে তাদের আসে পাশের মানুষের বেশ ঝক্কি, তারা কখনোই শারীরিক ও মানষিক ভাবে এক জায়গায় থাকেনা। আপনার সামনে বসে থেকে তারা থাকে একেবারে অন্য জগতে।  যা শুধুমাত্র অনুচিতই নয় বেশ দুঃখজনক। তাদের জন্যই এই কথা।

9. সখি, হোয়াট আপ করে কয় ?

“ফেসবুক হল প্রেম।
হোয়াটস আপ হল ভালোবাসা।”

ঝগড়া হোক বা প্রেম, কাজে সাফল্য হোক বা জীবনে ব্যর্থতা এই সবেরই প্রতিফলন এখন একমাত্র দেখা যায় স্টেটাস।  একজন মানুষের মনের অবস্থা জানতে গেলে এখন তার সাথে কথা বলার থেকে বেশি ভালো করে জানা যায় তার স্টেটাস দেখলে। তাই এখন হোয়াটস অ্যাপ স্টেটাস ই কোনো মানুষের কাছাকাছি আসার প্রথম হাতিয়ার।

10. নিজের মাল নিজের দায়িত্বে রাখুন। 

“আর স্টেটাস পরে কাজ নেই
নিজের চরকায় তেল দিন!”

এই শেষটা কি আর বোঝাবার দরকার আছে ?

শেষ কথা 

হোয়াটস অ্যাপ হোক বা ফেসবুক সবটাই এখন আমাদের মূল অস্তিত্বের সঙ্গেই জুড়ে গেছে। ভার্চুয়াল জগতে আমাদের অস্তিত্ব জট পরিচিত আর জনপ্রিয় হবে তত আমাদের জীবন হয়ে উঠবে রঙিন এই bangla funny status গুলি দিয়ে।  এই আমাদের ভাবনা, তেমনি কিছু ভাবনা আমরা এখানে দেয়ার চেষ্টা করলাম যাতে আপনার কেত খানিকটা জল পায়।  কাজে লাগলে বাধিত হব; আর শেয়ার করতে ভুলবেন না এই whatsapp status in bengali font

স্টেটাস ক্রেডিট – সুখমিতা পাল, ও অনুশ্রী সেন।