আমাদের জীবনে এমন অনেক মুহূর্ত আসে, যখন আমাদের মনে হয় আমরা আমাদের মানসিক ক্ষমতার একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছি। সামনে জীবন কোনদিকে যাবে কিছু বোঝা যাচ্ছেনা; ভবিষ্যৎ অন্ধকার। এই এমনি দেয়ালে পিঠ ঠেকে যাওয়া অবস্থা সবার জীবনেই কখনো না কখনো আসে আর সেই সময়েই পরিচয় পাওয়া যায় তার শিরদাঁড়ার ক্ষমতার। যতদূর চোখ গেছে ততদূর নিশ্ছিদ্র অন্ধকার দেখা যায়, আর সেখান থেকে যে উঠে আসতে পারে, জীবন হয় তার। তারা জীবনকে তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখে, জীবন তাদের নিয়ন্ত্রন করে না। আর এমনি সময় আমাদের কিছু বাণীর সাথে পরিচিত ঘটে যা আমাদের জীবনের মূল্য ও জীবনবোধ কে পরিশীলিত করে। এমনই কিছু বাণী এখানে দেয়া হল।
-
1
Bangla Motivational Quotes – বাংলা মোটিভেশনাল কোটস
- 1.1 1. কথা কম কাজ বেশি।
- 1.2 2. যে মানুষ নিজেকে চেনে, সে সারা পৃথিবী চেনে।
- 1.3 3. ইচ্ছাই মানুষের শক্তি।
- 1.4 4. কঠিন পরিশ্রমের কোনো শর্ট কাট নেই।
- 1.5 5. পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে যেতে হবে।
- 1.6 6. নেই মামার থেকে কানা মামা ভালো।
- 1.7 7. কর্ম কর ফলের চিন্তা করোনা।
- 1.8 8. একজন মানুষের ভাবনাই তাকে তৈরী করে।
- 1.9 9. যারা ভাবে তারা ভিড়ের মধ্যেও একা থাকে।
- 1.10 10. চলার পথের শেষটাই সবথেকে বেশি সুন্দর।
- 1.11 শেষ কথা
Bangla Motivational Quotes – বাংলা মোটিভেশনাল কোটস
বাংলায় মুনি ঋষিদের বলে যাওয়া কিছু কথা, এছাড়া শ্রী রামকৃষ্ণ পরমহংস দেবের কথামৃত ইত্যাদি বরাবরই সাধারণ মানুষের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। যেগুলিকে আমরা সাধারণত bangla inspirational quotes বলে থাকি, বা বাংলায় যাকে বলে অনুপ্রেরণা মূলক উদ্ধৃতি ও বলে থাকি। এখানে রইল স্বামীজী, আইনস্টাইন, আরও অনেকের বিভিন্ন উদ্ধৃতি একত্রে দেওয়া হল।
1. কথা কম কাজ বেশি।
যে মানুষের কাজের তাগিদ বেশি, সেই মানুষের অমনি কথা ক্কম ধবে; কারণ সে কাজে মনোনিবেশ করলে বাকি পৃথিবী তার কাছে শূন্য হয়ে যাবে। পাহাড়ি নদী যার গতি বেশি তার বয়ে চলার শব্দও বেশি হয় কারন তার জলের পরিমান কম, জলই চলার পথের পাথরে ধাক্কা খায় বেশি ও সেই ধাক্কার আওয়াজ ও হয় বেশি; তবে বড় নদী যার গভীরতা জট বেশি তার জলের পরিমাণও তত বেশি, ফলে সে নদীর রাস্তায় জট পাথর বা বাধা বিপত্তি থাকে ট্টাকে সে তার তোড়ে ভাসিয়ে নিয়ে যায়।
2. যে মানুষ নিজেকে চেনে, সে সারা পৃথিবী চেনে।
হিন্দু শাস্ত্র থেকে শুরু করে বুদ্ধ দেব- সবাই বলেছেন আত্মার সঙ্গে পরিচয় যার ঘটে, তার ই মনুষ্য জন্ম স্বার্থক; কারন আত্মাই হল ঋত্বিক এবং ঋত্বিক ই হল আত্মা। তাই পৃথিবী ও ব্রহ্মহান্ড সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে হলে আগে নিজেকে জানতে হবে।
3. ইচ্ছাই মানুষের শক্তি।
যে মানুষের মানসিক শক্তি যেমন, তার জীবনের গতিও তেমন। আবারো সেই নদীর গভীরতার মতই খানিক- যে নদীর গভীরতা জট বেশি তার শক্তি তত বেশি, তত জোড়ে তত দুরে সেই নদী বইতে পারে। আর তেমনই যে মানুষের মানসিক শক্তি জট ববেশী তার জীবনের গতি, গভীরতা ততটাই বেশি।
4. কঠিন পরিশ্রমের কোনো শর্ট কাট নেই।
যে কোনো বড় কাজ সারতে গেলে লাগে একাগ্রতা, আর সেই কাজ শেষ না হওয়া ওব্দি তার পেছনে লেগে থাকার মত ধৈর্য্য। কঠোর পরিশ্রম ছাড়া কোনো কিছুই সম্ভব না।
5. পাপের ঘড়া পূর্ণ হলে যেতে হবে।
দুর্বলতা এমন একটি জিনিস যা মানুষকে তার নিজের ক্ষমতার ওপর সন্দেহপ্রবণ করে তোলে। কোনো মানুষের এভারেস্টে চড়ার ক্ষমতা থাকলেও দুর্বল চিত্ত তাকে সেই কাজ কর্রার থেকে থামিয়ে রাখবে। তাই কোনো মানুষের মধ্যে দুর্বলতা থাকাই তার সব থেকে বড় দোষ।
6. নেই মামার থেকে কানা মামা ভালো।
দূরের জিনিস দেখতে যতই সুন্দর হোক না কেন, কাছের জিনিসের থেকে বেশি মূল্যবান নয়। দুরের জিনিসটি আপনি চাইলেই যে পাবেন তার কোনো নিশ্চিন্ততা নেই, কিন্তু আপনার কাছে যে জিনিসটি রয়েছে সেটা আপনার কাছে এখনই রয়েছে তা চলে যাওয়ার কোনো রকম অবস্থা নেই।
7. কর্ম কর ফলের চিন্তা করোনা।
গীতায় বর্ণিত আছে যে আমরা মনুষ্য জন্ম পেয়েছি কিছু কর্মের জন্য। সবার জীবনের স্বার্থকতা থাকে তাদের সেই কর্ম সম্পাদনে। এবং সেই কর্মেই আমাদের অধিকার আছে তার ফলে নেই; তাই আমরা যখন কাজ করি তখন তার কর্মের কথাই ভাবা উচিত ফলের কথা না।
8. একজন মানুষের ভাবনাই তাকে তৈরী করে।
একজন মানুষ যেমন ভাবেন তাঁর জীবন তেমনি হয়। যে দিনের শুরু একটি ইতিবাচক ভাবনা নিয়ে করেন, তার দিনটাও তাকে ঠিক তেমনি কিছু উপহার দেয়; আর যার দিনের শুরু হয় একটি নেতিবাচক ভাবনা দিয়ে শুরু হয়, তবে তার দিনটাও নেতিবাচক কাটে।
9. যারা ভাবে তারা ভিড়ের মধ্যেও একা থাকে।
ভিড়ে হাঁটলে স্রোতের সাথে মিশে হাটতে থাকবেন, আর আপনি ততদুরই যাবেন যতদূর ভিড় যাবে, কিন্তু আপনি যদি এক হাঁটেন তবে আপনি যতদূর চান ততদূর যেতে পারবেন, আটকে থাকতে হবেনা।
10. চলার পথের শেষটাই সবথেকে বেশি সুন্দর।
এমন অনেক সময় আসে আমাদের জীবনে যখন আমরা হাটতে হাটতে ক্লান্ত হয়ে পড়ি, আমাদের পা আর এগোতে চায়না, দুর্বল মনে হয় নিজেদের, ডিম বন্ধ যে আসে জীবনের প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হতে যখন আমাদের মনোবল তলানিতে এসে ঠেকে তখন আমাদের চলার পথের শেষ মাথাটা মনে পড়লে আবার নতুন উদ্যমে জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়া যায়। সেই কথাটাই এখানে বলা হয়েছে।
শেষ কথা
জীবনের ঝড় ঝঞ্ঝার কমতি নেই, কখনোই খুব বেশিদিন খুব বেশিক্ষন শান্ত জীবন আমরা কেউ ই পাইনা, আর আমাদের জীবন আছে মানেই আম্ররা কিছু না কিছু বাধার মুখে পর্ব এ অসম্ভাবী। কিন্তু মনে রাখতে হবে আমাদের সব বাধার সামনে বার বার দুর্বল হলে চলবেনা, থেমে গেলে চলবেনা সমস্ত বাধা বিপত্তি পেরিয়ে এগিয়ে চলতে হবে. ঝঞ্ঝা মাঝের বটবৃক্ষ সম দাঁড়িয়ে থাকতে হবে আমাদের নিজের জীবনের নিশানী উড়িয়ে। তার জন্যেই এখানে রইল কিছু bengali bani (বাংলা বাণী) যা আপনাদের দুর্বল মুহূর্তে এগিয়ে যেটা সাহায্য করবে।