7. কাটরা মসজিদ
মুর্শিদাবাদের উত্তরপশ্চিম দিকে আরও একটি আত্যন্ত জনপ্রিয় দর্শনীয় স্থান হল কাটরা মসজিদ। ১৭২৪ সালে নবাব মুরশিদ কুলি খাঁ এর ইচ্ছানুযায়ী তাঁর অনুগামী মুরাদ ফরশ খাঁ এই মসজিদ তৈরি করেন। এই মসজিদের পূর্ব প্রান্তের প্রবেশ দ্বারের সিঁড়ির তলায় নবাবের সমাধি শায়িত আছে। নবাব মুরশিদ কুলি খাঁ এর ইচ্ছা ছিল তাঁর মৃত্যুর পর কোন মসজিদে তাঁকে সমাধিস্ত করা হোক, সেই উদ্যেশ্যেই এই মসজিদ নির্মিত হয়। এই মসজিদের সবথেকে বিস্ময়কর ব্যাপার হল এর দুই ধারে দুটি মিনারের গায়ে যুধ্বের সময়ের জন্য অস্ত্র ব্যাবহারের জায়গা বানানো আছে। এই ঐতিহাসিক ভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থান বাদে মুর্শিদাবাদ সফর অসম্পূর্ণ।
8. ওয়াসিফ মনজিল
নবাব ওয়াসিফ আলী মীর্জা খাঁ এই প্রাসাদটি তৈরি করেন। এটি নিজামত ইমামবাড়া ও হাজার দুয়ারির মধ্যবর্তি এলাকায় দক্ষিণ দরজায় অবস্থিত। এটি নবাবের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হত, এবং পরে এটিকে একটি সংগ্রহশালা হিসেবে সাধারণ মানুষের কাছে খুলে দেওয়া হয়। ১৮৯৭ সালের ১২ই জুন এই প্রাসাদ ভূমিকম্পে অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কয়েক মিনিটের মধ্যে এই অট্টালিকার দ্বিতল মাটির স্নগে মিশে যায়, তাঁর সঙ্গে এর ে পাশে কৃত্রিম পাহাড় ও বাগান ও ধ্বংস হয়ে যায়, পরে অট্টালিকাটি আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা গেলেও এই পাহাড় ও বাগান কে কিছু করা যায়নি। তবে এখনও এই প্রাসাদে যে দুষ্প্রাপ্য সামগ্রীর ও স্বেত পাথরের দ্রাব্যের প্রাচুর্জ্য আছে তা দর্শনীয়।