কয়েক বছরের মধ্যেই কলকাতায় সিঙ্গারা-জিলিপি, বা কচুরির জায়গা খুব ধীরে হাতবদল হয়ে গেছে অন্য কয়েকটি খাওয়ারে যার মধ্যে সবথেকে জনপ্রিয় হল মোমো। ময়দার চাদরে মোরা অনেকটা আমাদের বাড়ির বানানো পীঠের মতো দেখতে সব্জি ও মাংসের পুরে ভরা এই অভাবনীয় খাওয়ার টি এখন কলকাতার ৮ থেকে ৮০ সবার কাছে সমান জনপ্রিয়। আদতে তিব্বতি খানা ডামপ্লিং (dumpling momo kolkata), যা আমাদের আরেক প্রিয় চরিত্র শ্রীমান কুং ফু পাণ্ডাকে খেতে দেখা যায় টিভির পর্দায়, সেই ডামপ্লিং থেকেই এই মোমোর উৎপত্তি। এর তিব্বতি সংস্করণ শুধুমাত্র মাংস দিয়েই বানানো হয়, কিন্তু কলকাতায় পাওয়া যায় এর ভারতীয় সংস্করণ, যা আপনি পেতে পারেন যে কোন পুরের; সব্জি, পনির, ডিম ইত্যাদি বিভিন্ন রকমের পুর দিয়ে। কলকাতার যে কোন জনবহুল এলাকায় একটি বা একটির বেশি মোমো জয়েন্ট পাবেন দু’পা অন্তর অন্তর। এই সমস্ত দোকানে পাওয়া যায় দুরকমের মোমো- সেদ্ধ ও ভাজা, তার সাথে থাকে জিভে জল আনা কিছু সস ও স্যুপ। আর এই অসাধারণ চোখ ও জিভ ধাঁধানো সমস্ত মোমোর দোকান আছে কলকাতার নানান প্রান্তে ছড়িয়ে। এই সমস্ত মোমো পসরার মধ্যে কয়েকটি, যা আপনার জিভ কে দেবে স্বর্গীয় সুখ সেরমই কয়েকটা মোমো জয়েন্টের খোঁজ দেবো আমরা।
কলকাতার সেরা মোমো জয়েন্ট
কলকাতায় এখন সবথেকে প্রিয় জলখাবার হল মোমো। পুরে ভরা এই তিব্বতি খাওয়ারের আদপে নাম ডামপ্লিঙ। যা এখন কলকাতার ৮ থেকে ৮০র প্রিয়।কলকাতার মধ্যে সেরা মোমো জয়েন্ট (momo in kolkata) গুলির খোঁজ দেওয়া হল এখানে।
1. BLUE POPPY (ব্লু পপি, মিড্লটন ষ্ট্রীট)
সারা সপ্তাহের কাজের ভারে নুয়ে পড়েছে শরীর? আর ভার বইতে পারছেনা পিঠ, তার সঙ্গে অভিমান পেটের ও? পেট এখন মোমো-পন্থি হয়েছে; মোমো না হলে এই হাহাকার থামবে না। কিন্তু কি ভাবছেন? তার মান ভাঙাতে গেলে পকেটের অভিমান হবে? আজ্ঞে না। একেবারেই নয়। পকেটও হাল্কা হবেনা আবার পেটের গোঁসাও ভাঙবে, সোজা চলে যান ব্লু পপি তে। অসাধারণ সমস্ত খাওয়ার আর তার সাথে সুন্দর ছোট্ট একটা ঘরোয়া আবহাওয়ায় খান, খাওয়ান- আনন্দ পান।
- কি কি চেখে দেখবেন- চিকেন স্টীমড্ মোমো, মিক্সড চাউমিন, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস, গার্লিক চিকেন গ্রেভি, পর্ক মোমো
- জনমত- “মোমো তো সুস্বাদুই তার সাথের গ্রেভি টিও অসাধারণ খেতে, এছাড়া এখানকার পরিবেশ ও বেশ ঘরোয়া আর দাম টা কম হওয়ায় সারাক্ষন ই প্রায় এখানে কাছাকাছির সেন্ট জেভিয়ার্স, লরেটোর মত কলেজের ছাত্র ছাত্রিদের ভিড় লেগেই থাকে।”
“এখানকার অন্দরসজ্জায় তিব্বতি একটা ছোঁয়া থাকায় বেশ সুন্দর লাগে, তা ছাড়া এখানকার কর্মচারীরা অত্যন্ত ভালো, আর শেফ তো ভালো বটেই। এর আর একটি ভালো ব্যাপার হল ব্লু পপি তে অর্ডার করার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়না, যা অবশ্যই অন্যান্য জায়গা গুলিতে হয়।
- জনপ্রিয়তার কারন- এখানকার সমস্ত পর্কের ডিশ ও তিব্বতি ধাঁচের অন্দরসজ্জা।
- শাখা- এল এ, সেক্টর তিন, সল্ট লেক, পার্ক ষ্ট্রীট।