Places to Visit in South Kolkata – সাউথ কলকাতার সেরা 10টি দর্শনীয় স্থান

আগেই বলে নিচ্ছি কেননা আপনারা পরে ভুলে যান। বাকি বন্ধুদের সাহায্যের উদ্দেশে লাইক আর শেয়ারটা  মনে করে করে দেবেন। শুরু করছি আজকের বিষয় – 

নমস্কার বন্ধুরা আমি শান্তনু আপনাদের সবাইকে আমার এই chalokolkata.com এ স্বাগতম। আশা করি সবাই আপনারা ভালোই আছেন আর  সুস্থ আছেন। আমরা আজ জানবো যে – কলকাতা ভ্রমণ গাইড, কলকাতা ভ্রমণ টিপস, কলকাতার সৌন্দর্য, কলকাতার কাছে ঘোরার জায়গা, কলকাতা ভ্রমণ 2020, কলকাতায় ঘোরার জায়গা। কম খরচে কলকাতা ভ্রমণ। 

কলকাতা শহরের আত্মা যদি হয় উত্তর কলকাতা, তবে মন হল দক্ষিণ কলকাতা। নতুন ভাবে নতুন রূপে, মোহময়ী হয়ে উঠছে কলকাতার এই দক্ষিণ ভাগ। উত্তর কলকাতার সীমানা ছাড়িয়ে বেড়ে ওঠা, কলকাতার এই দক্ষিণ ভাগে আছে অত্যাধুনিক সমস্ত অফিস, মল, এবং বিভিন্ন আকর্ষণীয় দর্শনীয় স্থান। কলকাতার ঐতিহ্যবাহী নানান সংস্থা, বাজার, ও নানা বিখ্যাত মানুষের বসবাস এই এলাকায়। এখানে যেমন দেখতে পাওয়া যাবে বড় বড় আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্পন্ন হাইরাইজ তেমনই দেখতে পাওয়া যাবে পুরনো কলকাতার ধাঁচে তৈরি বাড়ি, যার আনাচে কানাচে আছে পুরনো কলকাতার গল্প। এছাড়া এখানে এখনও কলকাতার বিখ্যাত ‘পাড়া কালচার’ বজায় আছে- মুদিয়ালি, বালিগঞ্জ ইত্যাদি এলাকায় কলকাতার সবথেকে পুরনো পাড়া গুলি আছে। পর্যটকদের কাছে দক্ষিণ কলকাতা অত্যন্ত জনপ্রিয়, এখানে বিভিন্ন সংগ্রহশালা, পার্ক, লেক ইত্যাদি আছে। এছাড়াও পশ্চিম বঙ্গের শিল্প ও বাণিজ্যের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠছে দক্ষিণ কলকাতা। কলকাতাকে জানতে হলে যেমন জানতে হবে কলকাতার পুরনো ইতিহাস, তেমনি জানতে হবে নতুন কলকাতার আগামীর কথা, যেখানে আছে সমস্ত রকম আধুনিকতা ও প্রযুক্তি। দক্ষিণ কলকাতার এরকমই কয়েকটা পর্যটন মূলক  স্থানের (south kolkata places to visit) কথা বলব এখানে।

Places to Visit in South Kolkata – সাউথ কলকাতার সেরা 10টি দর্শনীয় স্থান

দক্ষিণ কলকাতা এখন কলকাতা বাসীর কাছে এক অন্যতম প্রিয় জায়গা অবসর সময় বা ছুটির দিন কাটানোর জন্য। এখানে যেমন আছে নানান নতুন মল, পার্ক, মাল্টিপ্লেক্স, তেমনই এখানে বিভিন্ন পুরোনো পাড়া, পুরোনো বাজার, ঐতিহ্যবাহি মন্দির ও আছে। এমন কিছু জায়গা, (tourist places in south kolkata) যেখানে আপনি   একটি দিন তেমনই কিছু জায়গার খোঁজ দেয়া হল এখানে।

1. Birla Industrial & Technological Museum (বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজিকাল মিউজিয়াম)

দক্ষিণ কলকাতার সবথেকে জনপ্রিয় ও বিনোদন মূলক পর্যটন ক্ষেত্র হল বিড়লা ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড টেকনোলজিকাল মিউজিয়াম (Birla Industrial & Technological Museum)। এটি ভারত বর্ষের অন্যতম বড় শিল্পসংস্থা বিড়লা গ্রুপ এর অন্তর্গত একটি সংগ্রহশালা যেখানে বিজ্ঞান, শিল্প, প্রযুক্তি ইত্যাদি নানা বিষয় সম্বন্দে  সুন্দর ভাবে সাজানো সংগ্রহ আছে, যা থেকে ছাত্র ছাত্রীরা তো উপকৃত হনই তার সাথে বড়োরাও পান আবার করে ছেলেবেলায় ফিরে যাওয়ার সুযোগ। কলকাতার বুকে গুরুসদয় রোডের উপর দাঁড়িয়ে থাকা এই প্রাসাদোপম বাড়ীটি আদতে আগে ঠাকুর বাড়ীর সম্পত্তি ছিলো, এখানে কবিগুরুর চতুর্থ সন্তান মীরা দেবী বহু বছর বসবাস করেছেন, এছাড়াও এখানে বিভিণ্ণ গুনিজন যেমন সিসটার নিবেদিতা, চিত্তরঞ্জন দাশ, অরবিন্দ ঘোষ, মোহীণীমোহন মিত্রের মত মানুষের আনাগোনা ছিলো এবং ১৯১৯ খ্রিষ্টাব্দে শিল্প পতি জে ডী বীড়লা কবিগুরুর থেকে এই বাড়ীটি কিনে একে এখনকার রূপ প্রদান করেন। এখাণে প্রচুর লাইভ শো, নকল কয়লা খনি, তারা মন্ডল ইত্যাদি আছে, যা সমস্ত বয়সি মানুষের ভালো লাগবে। এছাড়াও পড়াশোনা সম্পর্কিত বিজ্ঞানের বিভিণ্ণ বিষয় ও খুব সুন্দর ভাবে এখানে হাতে কলমে ব্যবহারিক ভাবে বোঝানো আছে যা ছাত্র ছাত্রীদের পক্ষে  অত্যন্ত উপকারি।

  • কখন যাবেন– সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
  • কী করবেন– বিভিণ্ণ রকম শো তো আছেই, তার মধ্যে ৩ডি শো গুলি অত্যন্ত জনপ্রিয়। এছাড়া বেলুন এণ্ড বাবল শো, মক কয়লা খনি ও তারা মণ্ডল ও খুব সুন্দর ও জনপ্রিয়।

2. Malighat Kali Mandir (কালীঘাট কালী মন্দির)

কলকাতার দক্ষিণ ভাগে একেবারে শহরের সবথেকে জনবহুল জায়গায় কলকাতার আধ্যাত্মিকতার তুড়িয় রূপ অবস্থিত, কালীঘাট মন্দির; ৫১ টি শক্তি পীঠের মধ্যে একটি, এই মন্দির ঘিরে কথিত আছে যে দেবী সতীর ডান পা এর পাতাটি এইখানে পড়ে এবং তার থেকেই এই মন্দিরের উৎপত্তি। এই মন্দির প্রায় ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এখানে আছে। এখানেই আইনত শেষ পশু বলী হয়। এই মন্দির দেখার জন্য সারা ভারত বর্ষ থেকে বহু মানুষ আসে, এছাড়া দেশ বিদেশেও এই এই মন্দিরের খ্যাতি আছে। এখানে মন্দির চত্বর জুড়ে ছড়িয়ে আছে ২০০ বছরের ইতিহাস যা এখানে পৌছোলেই উপলব্ধী করা যায়। এই মন্দিরের প্রতীমা সারা ভারত বর্ষের কালী প্রতীমার থেকে আলাদা। বলা হয় মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সাবর্ণ রায়চৌধুরির বাড়ীর কূল দেবতার আদলে তৈরি করা হয় বলে এই মূর্তিটি একেবারে আলাদা। আপনি শাক্ত হোন বা না হোন, আপনি ভগবানে বিশ্বাস করেন বা না করেন, যা ই হোক না কেন একবারে এই মন্দিরে যেতেই হবে যা আপনার চোখের সামনে ২০০ বছরের পুরনো ইতিহাস ও তার আধ্যাত্মিক গুরুত্ব  তুলে ধরবে।

  • কখন যাবেন– ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
  • কী করবেন– সর্বপ্রথম কাজ হবে মা কালীর কাছে পূজো দেওয়া, যদি না চান তবু এখানকার প্যাঁড়া খানিকটা নিয়ে ফিরলে বাড়িতে কেউ আপত্তি করবেনা।

3. Rabindra Sarobar Lake (রবীন্দ্র সরোবর) 

দক্ষিণ কলকাতার সবথেকে মনোরম ও সুন্দর পরিবেশে সময় কাটাবার জায়গা হল রবীন্দ্র সরোবর লেক বা ঢাকুরিয়া লেক। দক্ষিণ কলকাতার ঢাকুরিয়া-বালিগঞ্জ এলাকায় প্রায় ১৯০ একর জুড়ে থাকা এই সরোবর ও তার সংলগ্ন পার্ক সাধারণ মানুষের জন্য এক মনোরম পরিবেশ  সৃষ্টি করে। এখানে বহু মানুষ প্রাতঃভ্রমণে আসেন, এছাড়া বিকেলে হেটে বেড়ানো বা আড্ডা দেওয়ার জন্য এটি হল আদর্শ জায়গা। এই এলাকায় একটি ওপেন এয়ার থিয়েটার, ও বহু ক্রীড়া সংস্থা আছে। এখানে কলকাতার সবথেকে পুরনো ও ঐতিহ্যশালী ক্যালকাটা  রোয়ীং ক্লাব  অবস্থিত। এখানে বিভিন্ন রকম খেলাধুলা, অনুষ্ঠান  ইত্যাদি নানা জিনিস হয়ে থাকে। সরোবরের চারিদিকে ঘিরে থাকা সবুজের মধ্যে প্রায় ১০০ বছর পুরনো গাছও আছে, ২০১২র গননা অনুসারে এখানে প্রায় ৫০ রকম প্রজাতির গাছ আছে। শীতকালে এখানে বিভিন্ন পরিযায়ী পাখির ঝাঁক ও আশে, এই সময় এখানকার পরিবেশ খুব সুন্দর হয়ে ওঠে।

  • কী করবেন–  এই সবুজে ঘেরা শান্ত পরিবেশের সরোবর হল সমস্ত শহরের মধ্যে কয়েকটি হাতে গোনা জায়গার মধ্যে একটি যেখানে পাখির ডাক গাড়ির আওয়াজকে ছাপিয়ে যায়, তাই কান ও মন দুটিকেই শান্তি দিতে এখানে এসে কাটাতে পারেন শরতের সুন্দর বিকেল।

4. Gariahat Market (গড়িয়া হাটের বাজার)

A post shared by Siddhartha Rana (@scarred_sidd) on

দক্ষিণ কলকাতার মধ্যমনি হল গড়িয়াহাট, এখানকার আসমুদ্র বিস্তৃত বাজার কলকাতার মধ্যে  বিখ্যাত বাজার, এখানে পাওয়া জায়না এমন কিছু নেই। গড়িয়াহাট রোড জুড়ে বিস্তৃত রাস্তার দুইদিক জুড়ে থাকা এই বাজারে শাড়ি থেকে সুরু করে খাতা পেন এমনকি মনিহারি জিনিস ও পাওয়া যায়, রাস্তার ধারে ছোটো ছোটো দোকান ছারাও এখানে বহু পুরনো বিখ্যাত কলকাতার দোকান ও আছে যেখানে আপনি আপনার পছন্দের জিনিস কিনতে পারেন। এখানে দুটি বড় বড় অত্যাধুনিক মল, এক্টি মাল্টিপ্লেক্স ও প্রচুর জিভে জল আনা খাওয়ারের দোকানও আছে, ফলে সারাদিনের জন্য যদি আপনি এখানে আসেন তবে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা এখানে আছে।

  • কখন যাবেন– রাত ১০ টা অব্দি এই বাজার খোলা থাকে।

5. Birla Temple (বিড়লা মন্দির)

বালিগঞ্জের আশুতোষ চৌধুরী এভিনিউ এ দাঁড়িয়ে থাকা এই বিশালাকৃতির মন্দিরটি তৈরি হতে সময় লাগে প্রায় ২৬ বছর। ১৯৭০ সালে শুরু হওয়া এই মন্দিরের কাজ শেষ হয় ১৯৯৬ সালে, এবং এর প্রান প্রতিষ্ঠা করেন শ্রী চিদানন্দজি মহারাজ। প্রায় ৪৪ কাঠা জমির ওপর অবস্থিত এই মন্দিরের সারা গায়ে  ভগবৎ গীতার বিভিন্ন গল্পের অনুসরণে কারুকাজ করা আছে, এছাড়াও এখানে রাজস্থানি ধারার কারুকাজ আছে। বিড়লা পরিবারের উদ্যোগে তৈরি এই মন্দিরের তিনটি চুড়া আছে, জাড় মধ্যে মাঝখানেরটি হল রাধা- কৃষ্ণের, বাম দিকেরটি হল মা দুর্গার ও ডান দিকেরটি হল মহাদেব শিবের। এই মন্দির ভুবনেশ্বরের  লিঙ্গরাজ মন্দিরের অনুকরণে বানানো। এই মন্দির কলকাতায় একটি অবশ্য দর্শনীয় স্থান।।

  • কখন যাবেন– ভোর ৫টা ৩০ মিনিট থেকে দুপুর ১১টা, ও বিকেল ৪টে ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা।

6. National Library (ন্যাশনাল লাইব্রেরি)

দক্ষিণ কলকাতার আলীপুরে অবস্থিত কলকাতা ন্যাশনাল লাইব্রেরি। ৩০ একর জমি জুড়ে অবস্থিত এই লাইব্রেরি ভারতবর্ষে সবথেকে বড় ও পুরনো। এই লাইব্রেরিতে প্রায় ২.২ মিলিয়ন বই আছে। চারিদিকে সবুজ দিয়ে ঘেড়া এই বাড়িটি আগে ব্রিটিশ সরকারের কর্মচারীদের বাসস্থান হিসেবে ব্যবহৃত হত , এবং স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতে এটি এই লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহৃত হতে শুরু হয়। এখানে ভারত বর্ষে প্রকাশিত সমস্ত বই তো আছেই তাছাড়া এখানে বিভিন্ন দেশি-বিদেশী দুষ্প্রাপ্য বই ও আছে। বই পোকাদের জন্য তো এটা একটা আবশ্যিক গন্তব্য, তা ছাড়াও যেকোনো মানুষ এখানে একবার গেলে আশাহত হবেন না। এত বছরের ইতিহাস, এত সুন্দর স্থাপত্য, অসাধারণ সমস্ত বইয়ের মাঝে কিছুক্ষণ কাটানো একটা স্মরণীয় ঘটনা হয়ে থাকবে। এছাড়া এই লাইব্রেরি জুড়ে আছে কিছু ভুতুড়ে কাহিনীও, সব মিলিয়ে একেবারে হাতে গরম অপশন। তবে এখানকার রিডিং এরিয়ায় প্রবেশ অনুমতি একমাত্র এখানকার সদস্যদেরি আছে কীনতু তা বাদে আপনি এই জায়গা ঘুরে দেখতে পারবেন।

  • কখন যাবেন-   সোমবার থেকে শুক্র বার সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা অবদী, ও শনি ও রবিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬টা।

7. Alipur Zoological Garden (আলীপুর চিড়িয়াখানা)

ন্যাশনাল লাইব্রেরির একেবারে পাশেই অবস্থিত আলীপুর চিড়িয়াখানা যা ভারত বর্ষের  সবথেকে পুরনো ও বড় চিড়িয়াখানা। এটি ব্রিটিশ কলকাতায় ১৮৭৬ সালে স্থাপিত হয়, এবং এই চিড়িয়াখানাকেই সর্ব প্রথম খাতায় কলমে চিড়িয়াখানা বা পশু সংগ্রহশালার স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এখানে বিভিন্ন রকমের জন্তু- জানোয়ার আছে তা ছাড়া এটি সবথেকে বেশি বিখ্যাত ছিল প্রায় ২০০ বছর বয়সি কচ্ছপ অদ্বৈত-র জন্য। এছাড়াও এখানে নানা প্রজাতি উপজাতির বাঁদর, হনুমান, এবং পাখি ইত্যাদি আছে। এখানে একটি আলাদা সরিসৃপ বীভাগ আছে, আর এখানকার বিখ্যাত সংগ্রহ হল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার, ও ভারতীয় সিংহ। বিশাল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই চিড়িয়াখানায় বিভিন্ন প্রান্তে আছে শান্ত গাছে ঢাকা বসার জায়গা ও নানা খাওয়ার ইত্যাদির দোকান। ফলে ছোটো বড় নির্বিশেষে এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় স্থান।

  • কখন যাবেন– সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা
  • কী করবেন– সমস্ত এলাকা জুড়ে থাকা পশু পাখি দেখবেন অবশ্যই তবে তাদের অসুবিধে হয় বা আপনার প্রাণ সংশয় হয় এমন কোন কাজ করবেননা।

8. Royal Calcutta Golf Club (রয়্যাল ক্যালকাটা গ্লফ ক্লাব)

১৮২৯ সালে স্থাপিত কলকাতার রয়্যাল ক্যালকাটা গলফ ক্লাব বিশ্বে সবথেকে পুরনো গ্লফ ক্লাব। ব্রিটেন এর বাইরে সবথেকে পুরনো হল এটি। প্রথমে এটি ছিল কলকাতা এয়ার পোর্টের কাছে তারপর এটি ময়ডাণে কিছুদিনের জন্য স্থানানতরিত হয়। এবং শেষে এর বড়ট্মাণ আবশঠাণ টালিগঞ্জে আশে। এটি একটি ১৮-হোল বীশীষ্ট গ্লফ কোর্স, অত্যন্ত কিমি. খড়চে আপনি এখানে এসে খেলতে পারেন সদস্য না হলেও, তবে অন্য কিছু সুবিধা নিতে গেলে এখানকার সদস্যের অতিথি হিসেবে যেতে হবে। এই ক্লাবের একটি বর্ধিত অংশ আছে কলকাতা ময়দানে।

  • কখন যাবেন– সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা

9. CIMA Art Gallery (সীমা আর্ট গ্যালারী)

A post shared by Sohail (@sohail_lynx) on

আশুতোষ চৌধুরী এভিনিউ এ অবস্থিত এই গ্যালারী সারা বছরই কোন না কোন একজীবীশন চলে। এখানে আকা ও অন্যান্য শিল্পের প্রদর্শনী তো হয়ই তা ছাড়াও এখানে নানা রকম গয়না ও বস্ত্র শিল্পের প্রদর্শনীও হয়। এখানে আপনি সারা বছর যেতে পারেন, খালি হাতে কখনই ফিরবেননা।

  • কখন যাবেন– সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যে ৭টা
  • কী করবেন– এর বিভিন্ন রকম প্রদর্শনী আপনাকে রোজকার জীবন থেকে ছুটি পেতে সাহায্য করবে।

10. Moulana Azad Museum (মৌলানা আজাদ মিউজিয়াম)

Photo Credits- www.museumsofindia.org

ভারত বর্ষের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীনতা সংগ্রামী, ও স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা মন্ত্রী মৌলানা আবূল কালাম আজাদ এর বসতবাড়ি, একেই এখন একটি মিউজিয়ামে রূপান্তরিত করা হয়েছে, হল একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ দর্শনীয় স্থান। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক ভাবেই নয় এই মিউজিয়ামের সাংস্কৃতিক ভাবেও অনেক গুরুত্ব রয়েছে। কলকাতা সফরে এটি একটি অত্যন্ত অর্থবহ গন্তব্য।

  • কখন যাবেন– সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিট।
  • কী করবেন– মৌলানা আজাডেড় সারা জীবনের বিভিন্ন কাজ এখানে প্রদর্শিত আছে, সারা দিনের জন্য এখানে এই ঐতিহাসিক একটি সময় কাটানোর জন্য আসতেই হবে।

মাথায় রাখবেন- দক্ষিণ কলকাতার (tourist places in south kolkata) যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত ভালো, বাস, ট্রেন, ট্রাম, ট্যাক্সি যে কোন ভাবেই আপনি দক্ষিণ কলকাতা ঘুরে দেখতে পারেন, অত্যন্ত কম খরচে। এই সমস্ত জায়গা গুলি ছাড়া টালিগঞ্জ ক্লাব [সদস্যের অতিথি হিসেবে] ও  গোলপার্ক রামকৃষ্ণ মিশন ইণ্সটীটিউট অফ কালচার ও ঘুরে দেখতে পারেন দক্ষিণ কলকাতায় একটু অন্যরকম অভিজ্ঞতার জন্য।

লেখক: পূজা বিশ্বাস।