কলকাতায় বরাবরই মানুষ আসে তাদের জীবনে কিছু একটা করতে, কোন জায়গায় পৌঁছতে পড়াশোনা বা কর্মক্ষেত্র যেকোনো জায়গায়। এমন একটি জায়গায় যে সকালের জলখাবার মায়ের হাতের পাওয়া যাবেনা তা বলাই বাহুল্য। তবে একেবারে যে পাওয়া যায়না তা নয়, দিনের শুরুর খাওয়ারটি স্বাস্থ্যসম্মত না হলে সারাদিন মানুষ ঠিক করে কাজ করতে পারে না। কলকাতায় এমন কতগুলি রেস্তোরাঁ আছে যারা সকালের জলখাওয়ার অর্থাৎ ব্রেকফাস্ট পরিবেশন করে, যা অত্যন্ত জনপ্রিয়। এর মধ্যে কিছু আছে যারা বিদেশি খাবারে বিশেষজ্ঞ, আর কিছু আছে যারা দেশি খাবারে বিশেষজ্ঞ। কলকাতায় এত ধরনের মানুষ বসবাস করে যে ব্রেকফাস্টের মেনুতে বহু পুরনো কচুরি তরকারী থেকে শুরু করে প্যানকেক, আবার ব্রেড বাটার অমলেট থেকে ধোকলা সবই পাওয়া যায় এই কলকাতা শহরে। এবং এই সমস্ত রকম খাওয়ার মানুষ তাদের জাতি আঞ্চলিকতা নির্বিশেষে খায়।
Best Breakfast Joints in Kolkata – কলকাতার সেরা 10টি ব্রেকফাস্ট জয়েন্ট
কলকাতার সকাল বরাবর হয়েছে চায়ের কাপে আর কচুরি তরকারি বা জিলিপি শিঙাড়ায়, এমতাবস্থায় এসে পড়ল কর্নফ্লেক্স, ম্যাগী আর প্যান কেক। তবু এখনও এমন কিছু জায়গা আছে কলকাতায় কিছু জায়গা যেখানে পাওয়া যায় অসাধারণ স্বাদের জলখাবার, আর সেই খোঁজ ই দেওয়া হল এখানে। কলকাতার সেরা ১০ টি ব্রেকফাস্ট জয়েন্ট ।
1. THE BIKERS CAFE (দ্য বাইকার্স ক্যাফে, এলগীণ)
কলকাতার বুকে অসাধারণ ডেকর সমৃদ্ধ এই ক্যাফের নামেই বোঝা যায় এর থিম, বাইকার অর্থাৎ বাইক আরোহীদের মনোগ্রাহী একটি পরিবেশ। চারিদিকে বাইক ও বাইক সম্বন্দীয় নানান সামগ্রী দিয়ে সাজানো এই ক্যাফে কলকাতাবাসীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন বাইকারস অ্যাসোসিয়েশন এখানে নিয়মিত আসে। ফলে এখানে ভিড় থাকে বেশ। এখানকার নানান ফ্লেভারের প্যানকেক ও ওয়াফেল বেশ জনপ্রিয়। এছাড়া এখানে নানান স্বাদের স্মুদি ও শেক পাওয়া যায় যা আপনার ব্রেকফাস্টকে সম্পূর্ণ করে।
- কি খাবেন- চকলেট ওয়াফেল, চকো চীপ প্যান কেক।
- খরচ- ২ জনের জন্য প্রায় ১১০০ টাকা।
2. MAHARANI (মহারানী, লেক মার্কেট)
কলকাতার অন্যতম ব্যস্ত এলাকা লেক মার্কেট এলাকায় অবস্থিত বহু পুরনো ও বিখ্যাত দোকান মহারানি, এখানকার কচুরি তরকারী ও জিলিপি সারা কলকাতায় বিখ্যাত। এখানকার হীঙের কচুরি ও ঘীয়ে ভাজা জিলিপির অসাধারণ স্বাদ আপনার দিনের শুরু টা করে তুলবে মনোরম। এখানে দাঁড়িয়ে খেতে হলেও, এর স্বাদের মহীমায় এখানে ভীড় হয় প্রায় প্রত্যেকদিন। গাড়িতে থাকলে, গাড়িতেও সার্ভ করে এরা। এখানকার হিঙের কচুরি খাওয়ার জন্য সারা কলকাতার মানুষ জড়ো হয়। আর মহারাণীর চায়ের তো তুলনাই নেই। এই দোকানের নামের সাথে এর খাওয়ারের স্বাদ একেবারে আক্ষরিক অর্থেই মিলে যায়।
- কি খাবেন- কচুরি তরকারী, জিলিপি, ও ভাঁড়ে চা।
- খরচ- ২ জনের জন্য খরচ প্রায় ১০০ টাকা।